ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবির ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্চারিত অধ্যায়ঃ বীরাঙ্গনা প্রসঙ্গ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশেষ

আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫২৭ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সানজিদা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বশেমুরবিপ্রবির অধ্যাপক মাননীয় উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনগণ এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মা বোনদের ব্যাপারটা ছিল একটু ভিন্নতর। তাদের মেধা, শ্রম ও তাদের সম্ভ্রম এর বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীন হয়েছে। এছাড়া তিনি  মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনকর্ম তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের জানা উচিত পরিপূর্ণভাবে, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি সর্বোপরি মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতোটা গভীর, কতোটা আন্তরিক ছিল।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম এবং অধ্যাপক খুরশিদ জাহানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা
কানন গোমেজ এবং বশেমুরবিপ্রবির মানবিকী অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া। এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের সভাপতি, অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

সমাপনী বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি সানজিদা পারভীন বলেন, পৃথিবীর
শুরু থেকে আজ অব্দি যত যুদ্ধ হয়েছে সেখানে সবচেয়ে বেশি নারী এবং শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের যে আন্তর্জাতিক
নীতি রয়েছে তা গোটা বিশ্বকে অনুসরণ করা উচিত তাতে নারী এবং শিশু নির্যাতিত, ধর্ষিত
কিংবা লাঞ্ছিত হবে না। একই সাথে তিনি বলেন, যেসকল বীরঙ্গনা মায়েদেরকে
খুঁজে পাওয়া যায়নি সেকল বীরঙ্গনা মায়েদেরকে খুঁজে তাদের কে প্রাপ্য
সম্মান এবং মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এছাড়াও এসময় ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অপরেজয় বাংলা ফাউন্ডেশন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বশেমুরবিপ্রবির ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০১:০৫:৫৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্চারিত অধ্যায়ঃ বীরাঙ্গনা প্রসঙ্গ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশেষ

আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫২৭ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সানজিদা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বশেমুরবিপ্রবির অধ্যাপক মাননীয় উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনগণ এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মা বোনদের ব্যাপারটা ছিল একটু ভিন্নতর। তাদের মেধা, শ্রম ও তাদের সম্ভ্রম এর বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীন হয়েছে। এছাড়া তিনি  মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনকর্ম তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের জানা উচিত পরিপূর্ণভাবে, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি সর্বোপরি মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতোটা গভীর, কতোটা আন্তরিক ছিল।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম এবং অধ্যাপক খুরশিদ জাহানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা
কানন গোমেজ এবং বশেমুরবিপ্রবির মানবিকী অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া। এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের সভাপতি, অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

সমাপনী বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি সানজিদা পারভীন বলেন, পৃথিবীর
শুরু থেকে আজ অব্দি যত যুদ্ধ হয়েছে সেখানে সবচেয়ে বেশি নারী এবং শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের যে আন্তর্জাতিক
নীতি রয়েছে তা গোটা বিশ্বকে অনুসরণ করা উচিত তাতে নারী এবং শিশু নির্যাতিত, ধর্ষিত
কিংবা লাঞ্ছিত হবে না। একই সাথে তিনি বলেন, যেসকল বীরঙ্গনা মায়েদেরকে
খুঁজে পাওয়া যায়নি সেকল বীরঙ্গনা মায়েদেরকে খুঁজে তাদের কে প্রাপ্য
সম্মান এবং মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এছাড়াও এসময় ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অপরেজয় বাংলা ফাউন্ডেশন।