ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশের পর সার্টিফিকেট প্রমোশন ইনক্রিমেন্ট নিয়োগ সবই ভূয়া তবুও ব্যবস্থা নেই খোরশেদ আলমের (পর্ব ৩)

আরিফুল ইসলাম :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৪৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

জাল সার্টিফিকেট অবৈধ নিয়োগে খোরশেদ আলম সি: ইলেক্ট্রিক্যাল ফোরম্যান পদে অবৈধভাবে পদায়ন ও পরপর দু’টি ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন ও মিলগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অসংখ্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা দৈনিক সময়ের কন্ঠকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও খোরশেদ আলমের সঠিক বিচার দাবী করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন খোরশেদ আলম বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষমতাধর ব্যক্তির শরনাপন্ন হয়ে চাকুরীতে বহাল তবিয়্যতে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের একাধিক ভূক্তভোগী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন খোরশেদ আলমের কুট কৌশলে বেশকিছু কর্মচারীর চাকুরী হারাতে হয়েছে ও এখনও বেশ কিছু কর্মকর্তাÑকর্মচারী খোরশেদ আলমের রোশানলে রয়েছেন। এমনটি তাদের চাকুরী নিয়েও খোরশেদ আলমের ভয়ে দিন পার করছেন। তারা আরও বলেন ইতিমধ্যে যেহেতু খোরশেদ আলমের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে তাই যতদ্রæত সম্ভব খোরশেদের মতো অবৈধ লোককে দ্রæত বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়েরের মাধ্যমে চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনকে মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ, অষ্টম শ্রেণীর সার্টিফিকেট জাল, চারটি প্রমোশন অবৈধ, দু’টি ইনক্রিমেন্ট বিধি মোতাবেক হয়নি। তাকে এখনও বরখাস্ত না করার কারণে ক্ষোব প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষের প্রতি। এছাড়া খোরশেদ আলমের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মূখ খুলেছেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপুর একাধিক দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ কুট কৌশলী খোরশেদ আলমের কাছে থাকায় যতকিছুই হোক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না এমন মন্তব্য খোরশেদ আলম তার নিকট করেছেন। এছাড়া সংবাদ প্রকাশের পর খোরশেদের আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হতে শুরু করেছে। একাধিক সূত্র দাবী করেছেন পূর্বরাগ হোটেলের প্রাক্তন ম্যানেজারের স্বাক্ষরিত ০৬/১১/১৯৮৯ ইং তারিখ সূত্র নং পূর্বরাগ/পার্ট টাইম/৪৬/৮৯/৩৩০ পত্র দ্বারা চিনি শিল্প কর্পোরেশনকে খোরশেদ আলম ও আঃ খালেকের জীবন বৃত্তান্তসহ সকল কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন ও পরবর্তীতে ২৯/০৪/১৯৯০ ইং তারিখে একটি আবেদন দেন, যা বর্তমানে খোরশেদের ব্যক্তিগত নথিতে উল্লেখিত পূর্বের কোনই কাগজপত্র নাই। কারণ ঐ সকল কাগজপত্র অনুযায়ী খোরশেদের অবসরে যাওয়ার বয়স অনেক আগেই শেষ হয়েছে, তাহলে খোরশেদের পদন্নতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ঐ সকল কাগজে খোরশেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৩য়/৪র্থ শ্রেনী দেওয়া আছে। ফলে খোরশেদ আলম তার ব্যক্তিগত নথি চুরি করে পূর্বের আবেদন, সাটিফিকেটসহ ফাইলের আরও কিছু কাগজপত্র গায়েব করেছেন। খোরশেদের আপাদমস্তক দুর্নীতি ও অনিয়মে ভরা কার্যকলাপের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হবে কিনা? চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের অনিয়মের প্রমাণ খোরশেদদের কাছে খাকায় তিনি আসলেই ব্যবস্থা নিতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আরিফুর রহমানের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি এসএমএস পাঠিয়ে পরিচয় দিয়ে আবারও কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সংবাদ প্রকাশের পর সার্টিফিকেট প্রমোশন ইনক্রিমেন্ট নিয়োগ সবই ভূয়া তবুও ব্যবস্থা নেই খোরশেদ আলমের (পর্ব ৩)

আপডেট টাইম : ০৭:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

জাল সার্টিফিকেট অবৈধ নিয়োগে খোরশেদ আলম সি: ইলেক্ট্রিক্যাল ফোরম্যান পদে অবৈধভাবে পদায়ন ও পরপর দু’টি ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন ও মিলগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অসংখ্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা দৈনিক সময়ের কন্ঠকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও খোরশেদ আলমের সঠিক বিচার দাবী করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন খোরশেদ আলম বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষমতাধর ব্যক্তির শরনাপন্ন হয়ে চাকুরীতে বহাল তবিয়্যতে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের একাধিক ভূক্তভোগী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন খোরশেদ আলমের কুট কৌশলে বেশকিছু কর্মচারীর চাকুরী হারাতে হয়েছে ও এখনও বেশ কিছু কর্মকর্তাÑকর্মচারী খোরশেদ আলমের রোশানলে রয়েছেন। এমনটি তাদের চাকুরী নিয়েও খোরশেদ আলমের ভয়ে দিন পার করছেন। তারা আরও বলেন ইতিমধ্যে যেহেতু খোরশেদ আলমের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে তাই যতদ্রæত সম্ভব খোরশেদের মতো অবৈধ লোককে দ্রæত বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়েরের মাধ্যমে চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনকে মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ, অষ্টম শ্রেণীর সার্টিফিকেট জাল, চারটি প্রমোশন অবৈধ, দু’টি ইনক্রিমেন্ট বিধি মোতাবেক হয়নি। তাকে এখনও বরখাস্ত না করার কারণে ক্ষোব প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষের প্রতি। এছাড়া খোরশেদ আলমের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মূখ খুলেছেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপুর একাধিক দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ কুট কৌশলী খোরশেদ আলমের কাছে থাকায় যতকিছুই হোক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না এমন মন্তব্য খোরশেদ আলম তার নিকট করেছেন। এছাড়া সংবাদ প্রকাশের পর খোরশেদের আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হতে শুরু করেছে। একাধিক সূত্র দাবী করেছেন পূর্বরাগ হোটেলের প্রাক্তন ম্যানেজারের স্বাক্ষরিত ০৬/১১/১৯৮৯ ইং তারিখ সূত্র নং পূর্বরাগ/পার্ট টাইম/৪৬/৮৯/৩৩০ পত্র দ্বারা চিনি শিল্প কর্পোরেশনকে খোরশেদ আলম ও আঃ খালেকের জীবন বৃত্তান্তসহ সকল কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন ও পরবর্তীতে ২৯/০৪/১৯৯০ ইং তারিখে একটি আবেদন দেন, যা বর্তমানে খোরশেদের ব্যক্তিগত নথিতে উল্লেখিত পূর্বের কোনই কাগজপত্র নাই। কারণ ঐ সকল কাগজপত্র অনুযায়ী খোরশেদের অবসরে যাওয়ার বয়স অনেক আগেই শেষ হয়েছে, তাহলে খোরশেদের পদন্নতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ঐ সকল কাগজে খোরশেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৩য়/৪র্থ শ্রেনী দেওয়া আছে। ফলে খোরশেদ আলম তার ব্যক্তিগত নথি চুরি করে পূর্বের আবেদন, সাটিফিকেটসহ ফাইলের আরও কিছু কাগজপত্র গায়েব করেছেন। খোরশেদের আপাদমস্তক দুর্নীতি ও অনিয়মে ভরা কার্যকলাপের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হবে কিনা? চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের অনিয়মের প্রমাণ খোরশেদদের কাছে খাকায় তিনি আসলেই ব্যবস্থা নিতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আরিফুর রহমানের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি এসএমএস পাঠিয়ে পরিচয় দিয়ে আবারও কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।