ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

চিনি ও শিল্প কর্পোরেশনের অনিয়ম ও দূর্নীতি খোরশেদের বিরুদ্ধে শিল্প মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ( পর্ব ৩)

খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বিন মুস্তানজিদ শিল্প মন্ত্রী বরারবর একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সদর দপ্তরে খোরশেদ আলমকে অবৈধভাবে দৈনিক মুজরী ভিত্তিক অস্থায়ী ইলেকট্রিক্যাল হেলপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং স্বজন প্রীতির মাধ্যমে তাহাকে ১৯৯৭ সালে ইলেকট্রিশিয়ান এবং ২০০২ সালে সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান, ফোরম্যান, সিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান পদে পদন্নতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য চিনি শিল্প ভবনটি প্রজেক্ট বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করানো হয়। প্রজেক্ট বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠানটিই চিনিশিল্প ভবনের ইলেকট্রিক্যাল, সেনিটারী কাজসহ যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করিয়া কমপ্লিট ভবন সংস্থার নিকট হস্তান্তর করেন। কিন্ত দুঃখের বিষয় ২০০৬ সালে কাজী আমিনুল ইসলাম সংস্থার চেয়ারম্যান থাকা কালে খোরশেদ আলমকে উক্ত ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সফলতা দেখাইয়া স্বজন প্রীতির মাধ্যমে দুইটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট প্রদান করেন যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ। আরো উল্লেখ্য যে, ঐ বছরেই অনুমোদিত সেটÑআপ বর্হিভূতভাবে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাহাকে অবৈধভাবে ফোরম্যান হিসাবে পদন্নতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য ঢাকা শহরে যে সকল সংস্থার নিজস্ব ভবন আছে সে সব সংস্থার সেটÑআপে ফোরম্যান/সি: ফোরম্যানের কোন পদ নাই। প্রত্যেকটি ভবনেই সুপার ভাইজার/ইন্সপেক্টর/কেয়ারটেকার পদ আছে, উক্ত পদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, চিনি শিল্প ভবন রক্ষণা বেক্ষণ এবং আইটি শাখার লোকবল না থাকলে কাজ চালাইয়া নেয়ার জন্য ২০-০৯-২০১১ ইং তারিখে ১৯৬৯ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে তথ্য গবেষণা প্রযুক্তি ও চিনিশিল্প ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও সরকারী নিয়ম কানুন মেনেই লোক নিয়োগ ও শূন্যপদ পুরণ করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসরণ না করে খোরশেদ আলমকে অবৈধভাবে সি: ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য সদর দপ্তরের অনুমোদিত সেট আপে (এনাম কমিশন) ফোরম্যান/সি: ফোরম্যান এর কোন পদ নাই। কিন্ত পদোন্নতি দিয়া লোক বসানো হইয়াছে অথচ চিনিকল গুলোতে সেট আপে ফোরম্যান এর পদ আছে কিন্ত লোক নাই। যেখানে কর্পোরশনের সিবিএ ইউনিয়ন কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেখানে সিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান পদটি কারখানা আইনের আওতায় মিল কারখানার অন্তভূক্ত কর্মকর্তার পদ মর্যদা ও স্কেলভূক্ত বিধায় এ পদধারি ব্যক্তি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রাখে না। আরো উল্লেখ্য যে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের এ বিষয়ে একটি আদেশ রয়েছে। অতীব দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, কর্পোরেশনের দৈনিক ভিত্তিক কিছু ছেলে মেয়ে চাকুরি করিতেছেন তাহাদের নিকট হইতে খোরশেদ আলম চাকুরী দেয়ার সময় এক দফা টাকা গ্রহণ করেছেন এবং স্থায়ী করণের জন্য সংস্থার চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের কথা বলে ২য় দফা টাকা নেয়া হয়েছে। যাহা দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদেরকে জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। বিশেষভাবে আরও উল্লেখ্য যে বর্তমানে চিনি শিল্প ভবনের আতংক স্বঘোষিত সিবিএ সভাপতি খোরশেদ আলম। খোরশেদ কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছেন এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই এবং একজন বিশেষ দলীয় নেতার প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন অপকর্ম এবং পরবর্তীতে বন্ধ মিলগুলির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে কালোবাজারে চিনি বিক্রয়, বিভিন্ন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ, বিভিন্ন মিল হইতে সদর দপ্তরে বদলী, টেন্ডার বাজি, বিভিন্ন চিনিকল প্রতিষ্ঠানের ক্রয়Ñবিক্রয়, জমি লিজ প্রদানের টেন্ডার গুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে খোরশেদ আলম অবৈধভাবে উর্পাজন করে প্রায় ২০/২২ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের অপকর্মের কথা কেউ মুখে আনলেই কাহারো চাকুরী গিয়াছে, কাহারো হেড অফিস থেকে মিলে বদলি হতে হয়েছে। সিন্ডিকেটের প্রভাব খাটিয়ে খোরশেদ আলম কিছুদিন থেকে কর্পোরেশনের প্রশাসন শাখা ও সংস্থাপন শাখা হইতে বিভিন্ন কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইল অবৈধভাবে নিয়ে যায়। ফাইল নিয়ে গিয়ে স্কুল সাটিফিকেট সহ বিভিন্ন কাগজপত্র ঘাটিয়া কিছু ক্রটি বের কার সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চাকুরী খাওয়ার আবেদন করে চাপ সৃষ্টি করে, ইতিমধ্যে ৬/৭ জন কর্মচারীর চাকুরী খেয়েছে এবং কয়েকজনকে পাইপ লাইনে রেখেছেন। এখানে আমার বক্তব্য খোরশেদ আলম অন্যের স্কুল সার্টিফিকেট/অন্যান্য কাগজপত্র খোজেন। কিন্ত তাহার সার্টিফিকেটই জাল/নিজের তৈরী করা। খোরশেদ আলম চিনি শিল্প কর্পোরেশনে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সাটিফিকেট জমা দিয়েছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ, মোবাইল : ০১৩০৯-১০৬০১৩, বিদ্যালয়ের নাম : দারোরা দিনেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, পো: দারোরা, উপজেলা : মুরাদ নগর, জেলা : কুমিল্লা। কে ফোনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করিলেই জানিতে পারিবেন। খোরশেদ আলম উল্লেখিত স্কুলে লেখাপড়া করেছিলেন কি না?
অতএব, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী তথা দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আপনার সমীপে আকুর আবেদন এই যে, উপরে উল্লেখীত বর্ণনার আলোকে খোরশেদ আলমের জাল/নিজের তৈরি স্কুল সাটিফিকেট দিয়ে অবৈধ ভাবে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক অস্থায়ী চাকুরী নেন যা পরবর্তীতে স্থায়ী হন, প্রমোশন, বিশেষ বেতন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট তৈরি করে দুনীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সহ যাবতীয় বিষয়গুলি নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দুনীতির কারণে ধ্বংস প্রায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন তথা দেশের চিনি শিল্প রক্ষার নিমিত্তে খোরশেদ আলম সিঃ ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান সহ ৭-৮ জন দুনীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের অপকর্ম ও অপতৎপরতা রোধকল্পে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দানে বাধিত করিবেন। অভিযোগের ব্যাপারে খোরশেদ আলমের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগের ব্যাপারে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার মোবাইলে ফোন করলে তিনি তদন্ত ছাড়া কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু

চিনি ও শিল্প কর্পোরেশনের অনিয়ম ও দূর্নীতি খোরশেদের বিরুদ্ধে শিল্প মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ( পর্ব ৩)

আপডেট টাইম : ০২:৪০:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বিন মুস্তানজিদ শিল্প মন্ত্রী বরারবর একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সদর দপ্তরে খোরশেদ আলমকে অবৈধভাবে দৈনিক মুজরী ভিত্তিক অস্থায়ী ইলেকট্রিক্যাল হেলপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং স্বজন প্রীতির মাধ্যমে তাহাকে ১৯৯৭ সালে ইলেকট্রিশিয়ান এবং ২০০২ সালে সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান, ফোরম্যান, সিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান পদে পদন্নতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য চিনি শিল্প ভবনটি প্রজেক্ট বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করানো হয়। প্রজেক্ট বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠানটিই চিনিশিল্প ভবনের ইলেকট্রিক্যাল, সেনিটারী কাজসহ যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করিয়া কমপ্লিট ভবন সংস্থার নিকট হস্তান্তর করেন। কিন্ত দুঃখের বিষয় ২০০৬ সালে কাজী আমিনুল ইসলাম সংস্থার চেয়ারম্যান থাকা কালে খোরশেদ আলমকে উক্ত ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সফলতা দেখাইয়া স্বজন প্রীতির মাধ্যমে দুইটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট প্রদান করেন যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ। আরো উল্লেখ্য যে, ঐ বছরেই অনুমোদিত সেটÑআপ বর্হিভূতভাবে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাহাকে অবৈধভাবে ফোরম্যান হিসাবে পদন্নতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য ঢাকা শহরে যে সকল সংস্থার নিজস্ব ভবন আছে সে সব সংস্থার সেটÑআপে ফোরম্যান/সি: ফোরম্যানের কোন পদ নাই। প্রত্যেকটি ভবনেই সুপার ভাইজার/ইন্সপেক্টর/কেয়ারটেকার পদ আছে, উক্ত পদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, চিনি শিল্প ভবন রক্ষণা বেক্ষণ এবং আইটি শাখার লোকবল না থাকলে কাজ চালাইয়া নেয়ার জন্য ২০-০৯-২০১১ ইং তারিখে ১৯৬৯ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে তথ্য গবেষণা প্রযুক্তি ও চিনিশিল্প ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও সরকারী নিয়ম কানুন মেনেই লোক নিয়োগ ও শূন্যপদ পুরণ করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসরণ না করে খোরশেদ আলমকে অবৈধভাবে সি: ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য সদর দপ্তরের অনুমোদিত সেট আপে (এনাম কমিশন) ফোরম্যান/সি: ফোরম্যান এর কোন পদ নাই। কিন্ত পদোন্নতি দিয়া লোক বসানো হইয়াছে অথচ চিনিকল গুলোতে সেট আপে ফোরম্যান এর পদ আছে কিন্ত লোক নাই। যেখানে কর্পোরশনের সিবিএ ইউনিয়ন কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেখানে সিনিয়র ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান পদটি কারখানা আইনের আওতায় মিল কারখানার অন্তভূক্ত কর্মকর্তার পদ মর্যদা ও স্কেলভূক্ত বিধায় এ পদধারি ব্যক্তি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রাখে না। আরো উল্লেখ্য যে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের এ বিষয়ে একটি আদেশ রয়েছে। অতীব দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, কর্পোরেশনের দৈনিক ভিত্তিক কিছু ছেলে মেয়ে চাকুরি করিতেছেন তাহাদের নিকট হইতে খোরশেদ আলম চাকুরী দেয়ার সময় এক দফা টাকা গ্রহণ করেছেন এবং স্থায়ী করণের জন্য সংস্থার চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের কথা বলে ২য় দফা টাকা নেয়া হয়েছে। যাহা দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদেরকে জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। বিশেষভাবে আরও উল্লেখ্য যে বর্তমানে চিনি শিল্প ভবনের আতংক স্বঘোষিত সিবিএ সভাপতি খোরশেদ আলম। খোরশেদ কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছেন এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই এবং একজন বিশেষ দলীয় নেতার প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন অপকর্ম এবং পরবর্তীতে বন্ধ মিলগুলির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে কালোবাজারে চিনি বিক্রয়, বিভিন্ন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ, বিভিন্ন মিল হইতে সদর দপ্তরে বদলী, টেন্ডার বাজি, বিভিন্ন চিনিকল প্রতিষ্ঠানের ক্রয়Ñবিক্রয়, জমি লিজ প্রদানের টেন্ডার গুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে খোরশেদ আলম অবৈধভাবে উর্পাজন করে প্রায় ২০/২২ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের অপকর্মের কথা কেউ মুখে আনলেই কাহারো চাকুরী গিয়াছে, কাহারো হেড অফিস থেকে মিলে বদলি হতে হয়েছে। সিন্ডিকেটের প্রভাব খাটিয়ে খোরশেদ আলম কিছুদিন থেকে কর্পোরেশনের প্রশাসন শাখা ও সংস্থাপন শাখা হইতে বিভিন্ন কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইল অবৈধভাবে নিয়ে যায়। ফাইল নিয়ে গিয়ে স্কুল সাটিফিকেট সহ বিভিন্ন কাগজপত্র ঘাটিয়া কিছু ক্রটি বের কার সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চাকুরী খাওয়ার আবেদন করে চাপ সৃষ্টি করে, ইতিমধ্যে ৬/৭ জন কর্মচারীর চাকুরী খেয়েছে এবং কয়েকজনকে পাইপ লাইনে রেখেছেন। এখানে আমার বক্তব্য খোরশেদ আলম অন্যের স্কুল সার্টিফিকেট/অন্যান্য কাগজপত্র খোজেন। কিন্ত তাহার সার্টিফিকেটই জাল/নিজের তৈরী করা। খোরশেদ আলম চিনি শিল্প কর্পোরেশনে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সাটিফিকেট জমা দিয়েছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ, মোবাইল : ০১৩০৯-১০৬০১৩, বিদ্যালয়ের নাম : দারোরা দিনেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, পো: দারোরা, উপজেলা : মুরাদ নগর, জেলা : কুমিল্লা। কে ফোনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করিলেই জানিতে পারিবেন। খোরশেদ আলম উল্লেখিত স্কুলে লেখাপড়া করেছিলেন কি না?
অতএব, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারী তথা দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আপনার সমীপে আকুর আবেদন এই যে, উপরে উল্লেখীত বর্ণনার আলোকে খোরশেদ আলমের জাল/নিজের তৈরি স্কুল সাটিফিকেট দিয়ে অবৈধ ভাবে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক অস্থায়ী চাকুরী নেন যা পরবর্তীতে স্থায়ী হন, প্রমোশন, বিশেষ বেতন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট তৈরি করে দুনীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সহ যাবতীয় বিষয়গুলি নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দুনীতির কারণে ধ্বংস প্রায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন তথা দেশের চিনি শিল্প রক্ষার নিমিত্তে খোরশেদ আলম সিঃ ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান সহ ৭-৮ জন দুনীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের অপকর্ম ও অপতৎপরতা রোধকল্পে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দানে বাধিত করিবেন। অভিযোগের ব্যাপারে খোরশেদ আলমের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগের ব্যাপারে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার মোবাইলে ফোন করলে তিনি তদন্ত ছাড়া কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।