গোবিন্দগঞ্জে বিসমিল্লাহ আল্ট্রাসনো এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রির্পোটে প্রান গেল নবজাতকের

- আপডেট টাইম : ১০:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
- / ১৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বেঙ্গের ছাতার মত নতুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হচ্ছে। নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই,নেই কোন লাইসেন্স তার পরেও চলছে সেবার নামে ব্যবসা। তেমনি এক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ আল্ট্রাসনো ও ডায়াগানষ্টিক সেন্টার। সরকারী হাসপাতাল সংলগ্ন এই প্রতিষ্ঠান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে বহাল তবিয়তে চলছে। বিভিন্ন সময় এই ডায়াগনস্টিক এর নানা অভিযোগ থাকলেও প্রতিকার মিলছে না। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৪ই নভেম্বর থানায় এজাহার করেন আইযুল আলী নামে এক ব্যাক্তি। এজাহার সুত্রে জানা যায়, বোয়ালিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী গত ১১ তারিখ দুপুরে তার স্ত্রী সম্পা(২৫)কে নিয়ে বিসমিল্লাহ আল্ট্রাসনো ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসে গর্ভবতী স্ত্রীর আল্ট্রাসনো করার জন্য। ডাক্তার মশিউর রহমান সাদিক সম্পা বেগমের আল্ট্রাসনো সম্পূর্ণ করে রির্পোট প্রদান করে। রির্পোটে উল্লেখ করে রোগীর গর্ভে একটি সন্তান আছে এবং প্রসবের সময় আরো দুই মাস আছে। কিন্তু রোগীর প্রসবেব ব্যথা হয় পরের দিন ১২ নভেম্বর। কোন দিসকুল না পেয়ে রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তারা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রির্পোট দেখে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করে ফলে একটি বাচ্চা নরমাল ডেলিভারী হয়। রোগীর প্রসব ব্যথা না কমায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ভালো ভাবে পর্যাবেক্ষন করে এবং বলেন প্রসূতি মায়ের পেটে আরো একটি সন্তান আছে। তাৎক্ষণিক ভাবে রোগীকে পরবর্তীতে সিজার করা হয় ফলে প্রসূতি মা বেচে গেলেও বাচ্চাটি মৃত্যু বরন করে। রোগীর স্বামী আইয়ুব আলী এবিষয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানে গীয়ে জানতে রির্পোট কেন ভুল হলো চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে থাকা লোকজন তাকে হুমকি ও ভয়ভিতী দেখায় এবং বলেন আপনার কোথায় অভিযোগ করেন আমাদের কিছু যায় আসে না।
এবিষয়ে ডাক্তার মশিউর রহমান সাদিকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আল্ট্রাসনোতে দুইটি বাচ্চাই ধরা পরার কথা কিন্তু কেন এটা হলো তা বুঝতে পারলাম না। তিনি আরো বলেন ঐ রোগী তো আরো অন্যন্য জায়গায় আল্ট্রাসনো করাতে পারে তারা কেন দেখলো না। আমি কেন একা দোষী হবো।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইজার উদ্দিনের বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই। তাই এ বিষয়ে বক্তব্যর কিছু নাই।