ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এখন রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ ইসলাম পিলখানা হত্যাকাণ্ড হুমকির মুখে বাংলাদেশ, সেনাবাহিনীর প্রধান অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা

চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগ বিসিআইসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

এ আর মোল্লা সিনিয়র নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
 বিসিআইসির উপব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাতা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে দপ্তরটি সহ নানা মহলে। তার দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্য, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে হতাশ ও ক্ষেপন প্রকাশ করেছেন দপ্তরটির একাধিক কর্মকর্তা। সম্প্রতি আবদুল্লা আল-মামুন নামের এক ব্যক্তি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছেন মোঃ নুরুল ইসলাম (মোবাইলঃ ০১৯১৮১৬২৪০০), উপ-ব্যবস্থাপক, ই.এম.ডি (এষ্টেট) শাখা দীর্ঘদিন যাবৎ একই শাখায় চাকরি করিয়া আসিতেছে। আমার সাথে তার বহুদিন আগেই একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। সেই পরিচয় থেকে আমার একজন ছোট ভাই মাষ্টার্স শেষ করে বেকার জীবন যাপন করিতেছে। উক্ত উপ-ব্যবস্থাপকের নিকট আমার ঐ ছোট ভাইয়ের জন্য একটি চাকরির ব্যাপারে ৩ মাস পূর্বে আলাপ-আলোচনা করি। তখন উক্ত উপ-ব্যবস্থাপক আমাকে বলেন যে, এই মুহূর্তে আমার নিকট মাষ্টার রোলের অফিসার পদে চাকরি আছে যাহা দু’বছরের মধ্যে স্থায়ী হয়ে যাবে কিন্তু টাকা লাগবে ৮,০০,০০০/-(আট লক্ষ) টাকা। তারপর তার সাথে দরাদরী করে ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকায় মাষ্টার রোলে অফিসার পদের চাকরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এবং নগদ ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকা প্রদান করি এই শর্তে যে, আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আমাকে চাকরি দেবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন যে, এই টাকার ভাগ আমি একা নিতে পারবো না তা বিসিআইসি’র সচিব ও অন্যান্য অফিসারদেরকেও দিতে হবে। তারপর তিনি প্রমাণস্বরূপ মাষ্টার রোলে ই.এম.ডি শাখায় পিয়ন পদে একটি মেয়েকে চাকরি প্রদান করেন, ঐ মেয়েটির নাম মিতু। চেয়ারম্যানের সাথে তার এক গভীর সম্পর্ক যে, চেয়ারম্যানকে তিনি যাহা বলেন চেয়ারম্যান তাহাই করেন এবং তার সাথে চেয়ারম্যানের টাকা-পয়সার লেনদেনের ব্যাপারে সরাসরি কথা হয়। এমনিভাবে ঐ কর্মকর্তা আরো অনেকের সাথে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়া অনেকের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।
এছাড়াও বিসিআইসি’র যত ঝামেলার জায়গা এবং মামলা-মোকদ্দমার যত স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তা দেখাশুনার দায়িত্ব ঐ উপ-ব্যবস্থাপক কর্মকর্তার বিধায় তিনি লোকজনদের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা ধরণের দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে।একই জায়গায় তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবৎ রয়েছেন এবং তার হাত না’কি অনেক লম্বা বা তার অনেক ক্ষমতার দাপট রয়েছে। তার নামে বিসিআইসি কলেজের পেছনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার ছেলের নামে মিরপুর রোডে ফ্ল্যাট রয়েছে ৩টি এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে-বেনামে বহু সম্পত্তি, ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বহু জায়গা-জমি রয়েছে। অথচ সে একজন সাধারণ টি-বয় দিয়ে চাকরি শুরু করেন। যা তদন্ত স্বাপেক্ষে বের হয়ে আসবে।

এছাড়া ঐ কর্মকর্তা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন তার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ধরা খাওয়ার পর বিসিআইসি এর নেতাদের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান ঘটে। যা অফিসে প্রমাণ রয়েছে।

এছাড়া তিনি তদন্ত সাপেক্ষে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে নরুল ইসলামের মতামত নিতে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে পরিচয় দিয়ে এসএমএস করে আরো কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সাথে কথা বললে তিনি বলেন তদন্ত ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারি না।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগ বিসিআইসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
 বিসিআইসির উপব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাতা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে দপ্তরটি সহ নানা মহলে। তার দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্য, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে হতাশ ও ক্ষেপন প্রকাশ করেছেন দপ্তরটির একাধিক কর্মকর্তা। সম্প্রতি আবদুল্লা আল-মামুন নামের এক ব্যক্তি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছেন মোঃ নুরুল ইসলাম (মোবাইলঃ ০১৯১৮১৬২৪০০), উপ-ব্যবস্থাপক, ই.এম.ডি (এষ্টেট) শাখা দীর্ঘদিন যাবৎ একই শাখায় চাকরি করিয়া আসিতেছে। আমার সাথে তার বহুদিন আগেই একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। সেই পরিচয় থেকে আমার একজন ছোট ভাই মাষ্টার্স শেষ করে বেকার জীবন যাপন করিতেছে। উক্ত উপ-ব্যবস্থাপকের নিকট আমার ঐ ছোট ভাইয়ের জন্য একটি চাকরির ব্যাপারে ৩ মাস পূর্বে আলাপ-আলোচনা করি। তখন উক্ত উপ-ব্যবস্থাপক আমাকে বলেন যে, এই মুহূর্তে আমার নিকট মাষ্টার রোলের অফিসার পদে চাকরি আছে যাহা দু’বছরের মধ্যে স্থায়ী হয়ে যাবে কিন্তু টাকা লাগবে ৮,০০,০০০/-(আট লক্ষ) টাকা। তারপর তার সাথে দরাদরী করে ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকায় মাষ্টার রোলে অফিসার পদের চাকরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এবং নগদ ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকা প্রদান করি এই শর্তে যে, আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আমাকে চাকরি দেবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন যে, এই টাকার ভাগ আমি একা নিতে পারবো না তা বিসিআইসি’র সচিব ও অন্যান্য অফিসারদেরকেও দিতে হবে। তারপর তিনি প্রমাণস্বরূপ মাষ্টার রোলে ই.এম.ডি শাখায় পিয়ন পদে একটি মেয়েকে চাকরি প্রদান করেন, ঐ মেয়েটির নাম মিতু। চেয়ারম্যানের সাথে তার এক গভীর সম্পর্ক যে, চেয়ারম্যানকে তিনি যাহা বলেন চেয়ারম্যান তাহাই করেন এবং তার সাথে চেয়ারম্যানের টাকা-পয়সার লেনদেনের ব্যাপারে সরাসরি কথা হয়। এমনিভাবে ঐ কর্মকর্তা আরো অনেকের সাথে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়া অনেকের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।
এছাড়াও বিসিআইসি’র যত ঝামেলার জায়গা এবং মামলা-মোকদ্দমার যত স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তা দেখাশুনার দায়িত্ব ঐ উপ-ব্যবস্থাপক কর্মকর্তার বিধায় তিনি লোকজনদের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা ধরণের দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে।একই জায়গায় তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবৎ রয়েছেন এবং তার হাত না’কি অনেক লম্বা বা তার অনেক ক্ষমতার দাপট রয়েছে। তার নামে বিসিআইসি কলেজের পেছনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার ছেলের নামে মিরপুর রোডে ফ্ল্যাট রয়েছে ৩টি এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে-বেনামে বহু সম্পত্তি, ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বহু জায়গা-জমি রয়েছে। অথচ সে একজন সাধারণ টি-বয় দিয়ে চাকরি শুরু করেন। যা তদন্ত স্বাপেক্ষে বের হয়ে আসবে।

এছাড়া ঐ কর্মকর্তা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন তার স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ধরা খাওয়ার পর বিসিআইসি এর নেতাদের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান ঘটে। যা অফিসে প্রমাণ রয়েছে।

এছাড়া তিনি তদন্ত সাপেক্ষে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে নরুল ইসলামের মতামত নিতে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে পরিচয় দিয়ে এসএমএস করে আরো কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সাথে কথা বললে তিনি বলেন তদন্ত ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারি না।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন