ফুলবাড়ী উপজেলার শ্রীপুর যমুনা নদীতে রাবার ড্রাম নির্মাণ করলে কয়েক হাজার জমি সেচ সুবিধা পাবে

- আপডেট টাইম : ০৫:১৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউপির শ্রীপুর ছোট যমুনা নদীটি খনন করে উজান এলাকার শ্রীপুর ঘাটে রাবার ড্রাম নির্মাণ করলে কয়েক হাজার একর জমি চৈত্র মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যমুনা নদীটি দুইশতাধি বছর ধরে খনন না করায় নদীর উপরের অংশে পলি জমে গেছে। চৈত্র মৌসুমে এই নদীতে আর কোন পানি থাকেনা। ধুধু বালুচর। চর এলাকায় স্থানীয় লোকজনেরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন। বর্তমান নদীটি খনন না করার ফলে নদীটি এখন মরা নদী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকার দেশের নদীগুলিকে খনন করে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু ফুলবাড়ী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীটি খননের কোন উদ্যোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে নদী এলাকার কৃষকদের শতশত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শিবনগর, খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর দুই ধার রক্ষার্থে ব্লক দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু ফুলবাড়ী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর কোন কাজ কর্ম করছে না। ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের শতশত বিঘা জমি। অপরদিকে নদীটি খনন করে ভাটি এলাকার শ্রীপুর যমুনা নদীর উপর রাবার ড্রাম নির্মাণ করলে সারা বছর এই যমুনা নদীতে পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব। আর এই পানি দিয়ে কৃষকেরা শতশত বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারবে। কিন্তু কবে নাগাদ এই রাবার ড্রাম নির্মাণ হবে এলাকাবাসী তা বলতে পারেনা। সারাবছর পানি ধারণ থাকলে মৎস্যজীবীরা মাছ চাষও করতে পারবে এবং তাদেরও জীবন জীবিকার পথ প্রশস্ত হবে। মাছ চাষীরা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। কেননা এই নদীতে কোথাও কোন পানি থাকেনা। এলাকাবাসী বহুবার রাবার ড্রাম নির্মাণের জন্য এবং নদীটি খননের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদেরকে বারবার বলা সত্ত্বেও এই এলাকার ছোট যমুনা নদীটি খনন কল্পে ও রাবার ড্রাম নির্মাণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার পানি নেমে গেলে সেই সাবেক চর জেগে ওঠে। এই নদীর পানি সংরক্ষণ করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষকেরা লাভবান হবে অন্যদিকে মাছ চাষীরাও লাভবান হবে। এক শ্রেণির লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে চাষীদের জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন জানলেও মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও আবারও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীর মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নদীটি খনন করলে ঐ এলাকার কৃষকেরা লাভবান হবে এবং রাবার ট্রাম নির্মাণ করলে সারা বছর পানি ধরে রাখতে পারলে এলাকায় কয়েক হাজার জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। এ বিষয়ে ভবিষতে এমন প্রকল্প করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই নদীটি সংস্কার ও রাবার ড্রাম নির্মাণ করার জন্য এল.জি.ই.ডি মন্ত্রী ও পানি সম্পদ মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন মহল। তাছাড়াও এ বিসয়টির উপর উন্নয়ন বান্ধব বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মহদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রস্তাব পেষ করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানান ফুলবাড়ির সর্বস্তরের জনগণ।।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
দিনাজপুর।