ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

বামনায় শুভসংঘের দপ্তর সম্পাদকের ওপর কিশোর গ্যাং এর হামলা, গ্রেফতার ১ 

বরগুনার বামনা উপজেলা কালের কন্ঠ শুভসংঘ এর দপ্তর সম্পাদক, বামনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর মেধাবি শিক্ষার্থী ও যুব রেডক্রিসেন্ট সরকারি কলেজ দলনেতা প্রসেনজিত মিত্র প্রান্ত(১৭) কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনায় গত বুধবার রাতে আহতের পিতা উপজেলা কৃষি অফিসের বীজ সংরক্ষন কর্মকর্তা প্রতিক মিত্র থানায় দুই জনকে আসামী ও বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামী করে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নামীয় আসামীরা হলেন, উপজেলার নিজ আমতলী গ্রামের মন্টু খান এর ছেলে মো. ইমন(২০) ও একই গ্রামের বাচ্চু চৌকিদারের ছেলে তুষার(১৮)।
বামনা থানাপুলিশ গত বৃধবার সন্ধ্যায় সোনাখালী বাজার এলাকা থেকে মামলার আসামী ইমনকে গ্রেপ্তার করেন। তবে অপর আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার(৩ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গা উৎসবের আনুষ্টানিকতা শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় বামনা উপজেলা সদরের হাসপাতাল সড়কে দৈনিক সাগরকূল পত্রিকা কার্যালয়ে কাছে হামলার শিকার হয় মেধাবী শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ মিত্র। তবে কি কারনে তার ওপর হামলা হয়েছে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না স্বজনরা।
প্রান্ত’র পিতা প্রতিক মিত্র জানায়, বামনা সদর মন্দির থেকে অষ্টমীপুজা শেষে রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টি থাকায় ছেলে প্রান্ত একটি ছাতা নিয়ে তাদের থেকে কিছুটা সামনে সামনে হাটতে থাকে। তারা একটি দোকানে কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলার কারণে প্রান্ত অনেকটা সামনে হেটে চলে যায়। এরমধ্যে সাগারকুল অফিস পার হয়ে যাওয়ার পরে প্রান্ত,র চিৎকারের শব্দ শুনে তারা সামনে এগিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকজন ছেলেকে তারা দৌড়ে চলে যেতে দেখলেও চিনতে পারেনি। পরে তারা গিয়ে তার সন্তানকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আছে। তার মাথায় ও গালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। বর্র্র্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত প্রসেনজিৎ মিত্র দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমাকে মন্দিরে বসে একজন বলেছিলো প্রান্তকে কারা যেন মারবে। তবে আমি কখনো কারো সাথে কোন খারাপ আচারণ করিনি বিধায় বিষয়টি আমি বিশ্বাস করিনি। আমি ভেবেছি অন্য এক প্রান্ত আছে তাকে হয়তো বলেছে। আম পুজা শেষে বাসায় যাওয়ার সময় প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে আমার পিছন থেকে তারা আঘাত করে। আমি রাস্তায় পরে যাই। বৃষ্টির কারনে আমি তেমন ভালো কাউকে চিনতেও পরিনি। পরে যখন তারা দৌড়ে কিছুটা সামনে সাগরকূল পত্রিকা অফিসের কাছে যায় তখন গেঞ্জী দেখে দুইজনকে মোটমুটি চিনেছি। এর আগে তাদের দুজনকে উপজেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কাছে আমি দেখে ছিলাম। তবে কিকারনে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে তা এখনো আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, প্রসেনজিত মিত্র একজন ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থী। তার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। আমরা ইতিমধ্যে একজন আসামী গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসসামীদের গ্র্রেপ্তার করা হবে। এছারাও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কে কে এই হামলায় জড়িত ছিলো তা সনাক্ত করা হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

বামনায় শুভসংঘের দপ্তর সম্পাদকের ওপর কিশোর গ্যাং এর হামলা, গ্রেফতার ১ 

আপডেট টাইম : ১২:২০:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

বরগুনার বামনা উপজেলা কালের কন্ঠ শুভসংঘ এর দপ্তর সম্পাদক, বামনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর মেধাবি শিক্ষার্থী ও যুব রেডক্রিসেন্ট সরকারি কলেজ দলনেতা প্রসেনজিত মিত্র প্রান্ত(১৭) কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনায় গত বুধবার রাতে আহতের পিতা উপজেলা কৃষি অফিসের বীজ সংরক্ষন কর্মকর্তা প্রতিক মিত্র থানায় দুই জনকে আসামী ও বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামী করে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নামীয় আসামীরা হলেন, উপজেলার নিজ আমতলী গ্রামের মন্টু খান এর ছেলে মো. ইমন(২০) ও একই গ্রামের বাচ্চু চৌকিদারের ছেলে তুষার(১৮)।
বামনা থানাপুলিশ গত বৃধবার সন্ধ্যায় সোনাখালী বাজার এলাকা থেকে মামলার আসামী ইমনকে গ্রেপ্তার করেন। তবে অপর আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার(৩ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গা উৎসবের আনুষ্টানিকতা শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় বামনা উপজেলা সদরের হাসপাতাল সড়কে দৈনিক সাগরকূল পত্রিকা কার্যালয়ে কাছে হামলার শিকার হয় মেধাবী শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ মিত্র। তবে কি কারনে তার ওপর হামলা হয়েছে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না স্বজনরা।
প্রান্ত’র পিতা প্রতিক মিত্র জানায়, বামনা সদর মন্দির থেকে অষ্টমীপুজা শেষে রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টি থাকায় ছেলে প্রান্ত একটি ছাতা নিয়ে তাদের থেকে কিছুটা সামনে সামনে হাটতে থাকে। তারা একটি দোকানে কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলার কারণে প্রান্ত অনেকটা সামনে হেটে চলে যায়। এরমধ্যে সাগারকুল অফিস পার হয়ে যাওয়ার পরে প্রান্ত,র চিৎকারের শব্দ শুনে তারা সামনে এগিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকজন ছেলেকে তারা দৌড়ে চলে যেতে দেখলেও চিনতে পারেনি। পরে তারা গিয়ে তার সন্তানকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আছে। তার মাথায় ও গালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। বর্র্র্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত প্রসেনজিৎ মিত্র দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমাকে মন্দিরে বসে একজন বলেছিলো প্রান্তকে কারা যেন মারবে। তবে আমি কখনো কারো সাথে কোন খারাপ আচারণ করিনি বিধায় বিষয়টি আমি বিশ্বাস করিনি। আমি ভেবেছি অন্য এক প্রান্ত আছে তাকে হয়তো বলেছে। আম পুজা শেষে বাসায় যাওয়ার সময় প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে আমার পিছন থেকে তারা আঘাত করে। আমি রাস্তায় পরে যাই। বৃষ্টির কারনে আমি তেমন ভালো কাউকে চিনতেও পরিনি। পরে যখন তারা দৌড়ে কিছুটা সামনে সাগরকূল পত্রিকা অফিসের কাছে যায় তখন গেঞ্জী দেখে দুইজনকে মোটমুটি চিনেছি। এর আগে তাদের দুজনকে উপজেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কাছে আমি দেখে ছিলাম। তবে কিকারনে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে তা এখনো আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, প্রসেনজিত মিত্র একজন ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থী। তার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। আমরা ইতিমধ্যে একজন আসামী গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসসামীদের গ্র্রেপ্তার করা হবে। এছারাও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কে কে এই হামলায় জড়িত ছিলো তা সনাক্ত করা হবে।