সালিশি বৈঠক থেকে উঠে গিয়ে মারামারি মামলা দিয়ে টলার ভেঙ্গে মেশিন ও বসতঘর লুটপাটে অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
- / ১৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
খুটা জল পাতা নিয়ে দুই গ্রুপে ঝামেলা মীমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের ধারাস্তর হলে সেখান থেকে উঠে গিয়ে মারামারি করে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে রাতের আঁধারে ভাসা জাল কেটে ফেলে নৌকা ভাঙচুর করে মেশিন ও বসত ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতরবিবার (০২ অক্টোবর) গভীর রাতে সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট বালিয়াতলী হিন্দু পাড়া গ্রামে। অভিযোগকারী হলেন, মৃত্যু সয়েজদ্দি সরদারের ছেলে নজরুল সরদার,লতিফ মোল্লার ছেলে খলিল মোল্লা,মৃত্যু মেহের মল্লিকের ছেলে মোঃ ফোরকান, মৃত্যু রসিদ মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা, মৃত্যু সেন্টু মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা, নজরুল সরদারের ছেলে ফাহাদ, মৃত্যু সেয়েজদ্দি সরদারের ছেলে জাকির সরদার,খলিল মোল্লার ছেলে ইদ্রিস মোল্লা,সেন্টু মোল্লার ছেলে সাকিল মোল্লাসহ প্রায় আরো ২০/২২ জনে এ ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রেনু বলেন, খুটা জালের জেলেরা আমাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে নদীতে নামতে দেয় না! আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠকের কথা থাকলে সেখানেও তারা মারামারি করে মিথ্যা মামলা দিযে আমাদেরকে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে আমরা বাড়িতে না থাকায় সোমবার দিন আমাদের মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করে মেশিন চুরি করে নিয়ে যায় এবং কিছু লোক আমার বসত ঘরে ঢুকে ঘর ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই আমি কি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকবো।
অন্য এক ভুক্তভোগী বলেন, এই ভাসা জাল ফেলেই আমাদের সংসার চলে বাচ্চাদের লেখাপড়া চলে এখন কি করে সংসার চালাবো। কি ভাবে বাচ্চাদের লেখাপড়া করাবো। আমাদের প্রায় এক একটি নৌকায় ৮০থেকে ৯০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে আমরা প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয় অভিযোগকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি একটি মীমাংসা জন্য আমার এখানে শালিশী বৈঠকের কথা ছিল শুক্রবার। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা দু’পক্ষ মারামারি করে। এতে মামলা হয় পরবর্তীতে গতকাল রাতে শুনি এক পক্ষের মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর ও মেশিন চুরি হয়েছে এবং বসতঘর ভাঙচুর করেছে । তবে মারামারিতে কারা কারা ছিলো তা আমার এখানে সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে আছে। প্রশাসনকে বলবো সততা যাচাই-বাছাই করে এর একটি সুষ্ঠু বিচার করা হোক। আমিও দুই পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করতেছি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, এবিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভো / এম