মাদরীপুরে শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লীর অবকাঠামো বিল লুটপাটের মহোৎসব
- আপডেট টাইম : ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
- / ২৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
মাদারীপুর শিবচর থানাধীন ৯২ নং কুতুবপুর মৌজায় হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দি শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্পের আংশিক অধিগ্রহনের অবকাঠামো তালিকা প্রস্ততের কাজ সম্পন্ন হয়ে ৮ ধারা নোটিশ চুরান্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুমদখল (এলএ) শাখার কর্মকর্তা ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন বিল প্রস্তত করতে নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পায়তারা করছে্।এই তাঁতপল্লী নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত খালি জমির ওপর রাতারাতি অন্যস্থান থেকে পুরনো ঘর এনে নতুন করে তুলে সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি দালাল চক্র।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,কুতুবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দিএলাকার ফয়জুল খা পিতা মৃত-মানিক খা,মোঃ নুরুল আমীন খা পিতা মৃত-আব্দুর রাজ্জাক খা, মোঃ হালিম খা পিতা মৃত-সাহেদ আলী খা সর্বসাং-হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দি ব্যাক্তিগনের ৩টি বাড়িতে মাত্র ৬০ ফুট প্রশ্বস্ত জায়গার মধ্যে অন্যস্থান থেকে পুরনো ঘর এনে নতুন করে তুলে সরকারী টাকা হজম করতে পার্শবর্তী নাওডোবা এলাকার চিহ্নিত দালাল দেলোয়ার মুন্সী পিতা মৃত রশিদ মুন্সী সাং-নাওডোবা বাজার সংলগ্ন হাজী মন্নাফ ফকির কান্দি,পদ্মা সেতু দক্ষিন থানা ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার পিতা লাল মিয়া হাওলাদার এর মাধ্যমে মাদারীপুরের জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার মাইনুল ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন কে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বহু সংখ্যক ঘর অনিয়মের মাধ্যমে অবকাঠামো বিলের জন্য অন্তর্ভুক্ত করে।
খোঁজনিয়ে জানাগেছে সেখানে অতিরিক্ত অধিকাংশ ঘরই উত্তোলন করেছে দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার এবং তার সহযোগী অন্য দালালরা।তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এরকম ভৌতিক অবকাঠামো ঘর দেখিয়ে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর সরকারী প্রকল্পের অর্খ আত্মসাৎ করা।
স্থানীয় ফয়জুল খা,নুরুল আমীন খা,হালিম খা জানিয়েছে “দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদারের সাথে তাদের মধ্যে স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়েছে, চুক্তি মোতাবেক দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা আমাদের জমিতে নতুন করে অন্যস্থান থেকে পুরনো উপড়ে নীচে পাটাতন করা ঘর এনে সেথায় স্থাপন করেছে, জেলাপ্রশাসকের এল.এ শাখার সার্ভেয়ার ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওনকে দিয়ে থুয়ে যা টাকা আসবে তা আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেব”।
ইতোপুর্বেও পদ্মাসেতু রেলওয়ে ১৮টি মৌজার ২য় দফা আংশিক অধিগ্রহন প্রকল্পে যার এল.এ কেইস নং০৫/২০১৯-২০২০তে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি প্রমানিত হয়।যার কারনে সেই সময় সংবাদ পত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারী কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়।এছারাও শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের সময় ৯২ নং কুতুবপুর মৌজার ১০৬৭৪,১০৬৭৫,১০৬৯৭,১০৭০০বিআরএস দাগের এক একর সাড়ে ১১ শতাংশ জমির ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে করিমখা গং এবং তৎকালীন মাদারীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার, এতে সব ধরনের সহযোগীতা করেন সার্ভেয়ার মাইনুল।এসব বিলের বিষয়ে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছ।
মানীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে একের পর এক মহাপ্রকল্প হাতে নিয়ে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে অথচ সরকারের এসব মহতী উদ্যোগের সুযোগে নিচের সারির কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে দালালদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এতে করে বহুলাংশে সরকারী ব্যায় বৃদ্ধি পায় নানা প্রকল্পগুলোতে।