হেলাল উদ্দিনের জনপ্রিয় যত সঙ্গীত ও কবিতা মানুষের মুখে মুখ
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সাহিত্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও কবি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তাঁর নিজের লেখা এবং সুর করা বেশ কয়েকটি গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে শ্রোতামহলে।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তাঁর শ্রোতা কোটি ছাড়িয়ে গেছে। “হেলাল গীতি” নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর লেখা গজল ও গান বর্তমানে রিলিজ হচ্ছে।
সাহিত্য জগতের হাতেখড়ি স্কুল জীবনে হলেও পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিনের প্রতিভার বিকাশ ঘটে বিগত এক দশকে। ২০১৭ সালে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর লেখা “সাফল্যের পথে” বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্হের নাম “বিশ্বময় বাংলা ভাষা”।
২০১৯ সালে তার নিজের লেখা ও সুর করা প্রথম গজল ” কেমন আছেন পূর্বপুরুষ মাটির ঘরে ভাই” ইউটিউবে রিলিজ হয়; যা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। বর্তমানে ফেসবুক ও ইউটিউব মিলিয়ে এ গজলটির দর্শক ভিউ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। অত্যন্ত জন নন্দিত এ গজলটি অগণিত দর্শকের হ্রদয়ের মানসপটে স্হান করে নিয়েছে।
এরপর ২০২০ সালে “হেলাল গীতি” নামে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয় তার নিজের লেখা ও সুর করা ইসলামি সংগীত ‘মিলেমিশে এক হয়ে যাই সকল মুমিন ভাই’; ‘তাবুর মাঝে হুরগণ ঐ জান্নাতে থাকবে’ ইত্যাদি জনপ্রিয় ইসলামি সঙ্গীত।
এ পর্যন্ত তার নিজের লেখা ও সুর করা প্রকাশিত সংগীত হলো,” আহাদ ও সামাদ কেবলি তুমি”, “প্রাণের মা আমার সাথে সঙ্গ দিয়েছেন”,”সবার প্রিয় রাসুল আমার হেরার আলোয় ভরা”, “দিনের বেলা রাখব রোযা খালিস দিলে খাস”, “ইব্রাহিম নবী দিলেন ত্যাগী তাঁরই প্রিয় ছেলেখানি” ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি “আব্বু- আম্মু এবার চল দাদা বাড়ির পানে”; “কাফনের ভিতর লুকাবে মোরে”; “বাংলাদেশের একটি গাঁয়ে মোদের প্রিয় ঘর” ইত্যাদি গানগুলো লিখেছেন।
এছাড়াও তিনি অনেক সুন্দর – সুন্দর কবিতা লিখেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতারাজির মধ্যে “ভেঙ্গে দাও জাতীয়তার দেয়াল”; “শান্তির বার্তা”; “যুবকের আর্তনাদ” ইত্যাদি ব্যাপক শ্রোতা নন্দিত হয়েছে।
এছাড়াও তিনি “আমাদের বন”; “যে কালে ময়না পালে”; “হাটের ছড়া” ইত্যাদি ছড়াগুলো লিখেছেন।
সংগীত বিষয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি মনে করি সংগীত সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একটি অংশ। বিনোদনের নামে মানুষকে বেহায়াপনা দেখানো হচ্ছে। ফলে মানুষ অপ সংস্কৃতির মোহে পড়ে যায়। আমি আশাবাদী, আগামী দিনে মানুষ সুস্থ ও সুন্দর বিনোদন উপহার হিসেবে পাবে। অপ সংস্কৃতি মুক্ত হোক আমাদের সমাজ — প্রতিটি মানুষের কাছে এটাই আমার প্রত্যাশা।