কদম তলায় নকশা বিচ্যুতি ভবন নির্মাণ ইমনের তদারকিতে কাজ চলমান
- আপডেট টাইম : ০৫:৪১:৫১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
রাজধানীর ৮১ তলায়, হীরাঝিল গলির ৯ নং রোড, বাসাবোতে একটি নকশা বিচ্যুতি করে ভবন নির্মান কাজ চরমান রয়েছে ভবনটির আর এস দাগ নং-১১০৭১। নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক আয়েশা খাতুন লিলি গং। নির্মাণাধীন ভবনটির রাজউক আইন অনুযায়ী কোন তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড করেননি। তবে রাজউক সূত্রে জানা গেছে ভবনটি ১০ তলা আবাসিক অ-২ ইমারতের নকশা অনুমোদন লাভ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্মান কাজ শুরুর ১৫ (পনের) দিন পূর্বে (৩০৭) নং ফর্ম পূরণ করে রাজউককে অবহিত করতে হবে এবং রাজউক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু ভবন মালিক রাজউকের এমন শর্তের পাত্তা না দিয়ে রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে তিনি নির্মাণ কাজ তার খেয়াল খুশিমতো শুরু করেছেন। তারপরও ভবনটি কোনরূপ বাঁধা ছাড়াই বর্তমানে ৬ তলার কাজ চলমান। এতদিন ভবনটিতে তামান্না নিশু তদারকি করলেও বর্তমানে দায়িত্ব পেয়েছেন পরিদর্শক ইমন। ভবনটির বিরূদ্ধে তামান্না নিশুর কয়েকটি নোটিশ প্রদান ছাড়া তেমন কোন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়নি অদ্যবধি পর্যন্ত। খাতাকলমে রয়েছে কাজ বন্ধের চুড়ান্ত নোটিশ বাস্তবতায় নেই অর্থাৎ কাজ চলমান। ভবনটি নকশা অনুযায়ী সেটব্যাক (সামনেরর দিকে) ২.৭৮/২.৪৩ মি: কিন্তু প্রাপ্ত সেটব্যাক ১.৮৩মি: অর্থাৎ ০.৬০মি: ডেভিয়েশন। পেছনের দিকে ৩.৭১/৩.০০/২.৫২মি: কিন্তু প্রাপ্ত সেটব্যাক ০.৭০মি: অর্থাৎ১.৮২ মি: ডেভিয়েশন। ভবনটির ডানপাশে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সেটব্যাক ২.৩১/২.৩৬ মি: কিন্তু প্রাপ্ত সেটব্যাক ১.৪০ মি: অর্থাৎ ০.৯১ মি: ডেভিয়েশন। এছাড়া ভবনটির পেছনের দিকে নকশা অনুযায়ী সেটব্যাগ ২.৩০মি: কিন্তু প্রাপ্ত সেটব্যাক ১.০৯মি: অর্থাৎ ১.২১ মি: ডেভিয়েশেন। এছাড়া ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে মোট জায়গার ৪০% খালি রেখে ভবনটির নকশা অনুমোদন হলেও ভবনটি নির্মাণের জন্য তেমন কোন খালি জায়গা রাখা হয়নি। ভবনটিতে নানাবিধ সমস্যার কারণে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে এটি রাজহাঁসের মতো কাজ করেছে অর্থাৎ প্রতিনিয়ত এটি দায়িত্বশীলদের ডিম দিয়ে আসছে। তাই এত অপরাধের পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেই ভবনটির বিরুদ্ধে। লোকদেখানো কাজ বদ্ধের কয়েকটি নোটিশ দেয়া পর্যন্তই কেবলমাত্র ব্যবস্থা। ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালায় বলা হয়েছে ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালায় ব্যঘাত ঘটিয়ে কেউ ইমারত নির্মান করলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে ইমারত ভেঙ্গে ফেলা বা অপসারণের নির্দেশ দিতে পারবে। আবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্দ্যোগে অবৈধ ইমারত ভেঙ্গে ফেলতে বা অপসারণ করতে পারবে। ভোগ দখলকারীকে উচ্ছেদ করতে পারবে। আইন অমান্য কারীকে কোনরূপ পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ কর্তৃপক্ষ গ্রেফতারও করতে পারবে। খাতাকলমে কঠোর আইন থাকা সত্তে¡ও ভবনটি কিভাবে ৬ তলা পর্যন্ত হলো এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বর্তমান দায়িত্বশীল কর্মকর্তা পরিদর্শক ইমনকে ফোন করলে তিনি তামান্নার উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে বলেন এটি তামান্না তদারকি করেন। কিন্তু তামান্নার সাথে কথা বলে যানা যায় বর্তমানে ভবনটি পরিদর্শক ইমনই তদারকি করছেন। অর্থাৎ হাঁসের ডিম এতদিন তামান্না খেলেও হাঁসটি ইমনের হাতে। দেখার বিষয় ইমন কি পদক্ষেপ গ্রহন করেন?
ভবনটির কাজ বন্ধের ব্যপারে সবুজবাগ থানার ওসি মোরাদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা চিঠি পাওয়ার পর কাজ বন্ধের জন্য ভবন মালিককে নোটিশ করেছিলাম। আপনাদের কথা না শুনে কাজ চলমান তাহলে আপনি জরিতদের গ্রেফতার করেননি কেন? উত্তরে তিনি বলেন রাজউকের ম্যাজিষ্ট্রেট অর্ডার করলে আমরা গ্রেফতার করতে পারবো। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজউকের আইন কর্মকর্তা মো: মাহফুজুল করিমের সাথে কথা বললে তিনি পুলিশের গ্রেফতারের বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেননি। তবে তিনি ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে পরামর্শ করতে বলেন। কিন্তু রাজউকে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত না থাকায় গ্রেফতারের বিষয়টি পরিষ্কার করা যায়নি।