তালতলীতে মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধর
- আপডেট টাইম : ০৩:২৯:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনার তালতলীতে মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ীর চলাচলের পথ নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কের এক পর্যায় মারধর করে ঐ মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবারকে শিক্ষক মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৪২) ও তার স্ত্রী ভক্তি রানী (২৯) উপর চড়াও হয়ে প্রতিবেশী শংকর ও তার ছেলে, বরুণ চন্দ্র হাওলাদার (৩৫), তরুণ চন্দ্র হাওলাদার(৩০), এবং ভাইয়ের ছেলে শিশির চন্দ্র হাওলাদার(২৫) তপন চন্দ্র হাওলাদার(৪৫) ও তার মেয়ে ইরাবতী (৪০) অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
হামলায় মিলনসহ তার স্ত্রীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বরগুনা জেনারেল হসপিটালে ভর্তি হন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী ভক্তি রানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করা হয় বর্তমানে মিলন তার স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে আছেন।
ঘটনাস্থলের সাংবাদিক গেলে মাদ্রাসা শিক্ষক মিলন চন্দ্র হাওলাদার বলেন বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত চলাচলের পথ দিয়ে শংকর তাদের পাওয়ার টিলার (চাষাবাদের মেশিন) আনা নেওয়া করে। এ সময় আমি বাধা দিলে আমাকে ও আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে লোহার রড, পাইপ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং আমার অন্তঃসত্তা স্ত্রীর তলপেটে লাথি মারে এবং বলে তোর বংশ নির্বংশ করে দেব।
এ বিষয় কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম (নাসির) বলেন, একজন শিক্ষককে এইভাবে মারধর করার ঘটনা বিরল। এই ঘটনা আমি কখনো দেখিনি তাই এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই । অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক যাতে করে এভাবে আর কোন শিক্ষক সমাজকে মারধর করার সুযোগ কেউ না পায়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।