প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা খান চেয়ারম্যানের ছেলে
- আপডেট টাইম : ০১:০৭:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনার বামনা উপজেলার ১নং বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের ছেলের বিকাশে চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা চলছে প্রায় এক বছর ধরে।
অভিযোগে জানা যায়, বামনা বুকাবুনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হোসেনের প্রতিবন্ধী ছেলে মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার মাতুব্বরের ছেলে রানার বিকাশ নাম্বারে নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী আবুল বাশার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী কার্ড অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য আবুল বাশার। পরে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এসে প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের বিকাশ নাম্বার না দিয়ে ইউপি সদস্যের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বছর যাবত সেই বিকাশ নম্বরের টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ভাতা টাকা না পেয়ে প্রায় এক বছর যাবত মেম্বার আবুল বাশারের কাছে ঘুরছি। ভাতার টাকা চাইলে মেম্বার বলেন, অপেক্ষা কর, পাবা, সমস্যা আছে।
পরে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় বামনা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি মেম্বারের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে ১ বছর ধরে ভাতার টাকা যায়। পরে আমরা কান্নাকাটি করলে সমাজসেবা অফিসার আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা বামনা ইউএনওর কাছে গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মিজান সালাউদ্দীন জানান, এ ব্যাপারে এখনো কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বামনা উপজলো নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।