ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি

প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা খান চেয়ারম্যানের ছেলে

মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বরগুনা সদর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০১:০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনার বামনা উপজেলার ১নং বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের ছেলের বিকাশে চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা চলছে প্রায় এক বছর ধরে।

অভিযোগে জানা যায়, বামনা বুকাবুনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হোসেনের প্রতিবন্ধী ছেলে মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার মাতুব্বরের ছেলে রানার বিকাশ নাম্বারে নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী আবুল বাশার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী কার্ড অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য আবুল বাশার। পরে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এসে প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের বিকাশ নাম্বার না দিয়ে ইউপি সদস্যের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বছর যাবত সেই বিকাশ নম্বরের টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন।

ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ভাতা টাকা না পেয়ে প্রায় এক বছর যাবত মেম্বার আবুল বাশারের কাছে ঘুরছি। ভাতার টাকা চাইলে মেম্বার বলেন, অপেক্ষা কর, পাবা, সমস্যা আছে।

পরে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় বামনা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি মেম্বারের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে ১ বছর ধরে ভাতার টাকা যায়। পরে আমরা কান্নাকাটি করলে সমাজসেবা অফিসার আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা বামনা ইউএনওর কাছে গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিই।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মিজান সালাউদ্দীন জানান, এ ব্যাপারে এখনো কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বামনা উপজলো নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা খান চেয়ারম্যানের ছেলে

আপডেট টাইম : ০১:০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরগুনার বামনা উপজেলার ১নং বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী যুবকের ভাতার টাকা ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের ছেলের বিকাশে চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা চলছে প্রায় এক বছর ধরে।

অভিযোগে জানা যায়, বামনা বুকাবুনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হোসেনের প্রতিবন্ধী ছেলে মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার মাতুব্বরের ছেলে রানার বিকাশ নাম্বারে নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী আবুল বাশার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী মো. আবুল বাশারের প্রতিবন্ধী কার্ড অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে যায় ইউপি সদস্য আবুল বাশার। পরে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে এসে প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের বিকাশ নাম্বার না দিয়ে ইউপি সদস্যের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বছর যাবত সেই বিকাশ নম্বরের টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন।

ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ভাতা টাকা না পেয়ে প্রায় এক বছর যাবত মেম্বার আবুল বাশারের কাছে ঘুরছি। ভাতার টাকা চাইলে মেম্বার বলেন, অপেক্ষা কর, পাবা, সমস্যা আছে।

পরে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় বামনা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি মেম্বারের ছেলে রানার ০১৭১৯৯০২৬৮৫ এই বিকাশ নাম্বারে ১ বছর ধরে ভাতার টাকা যায়। পরে আমরা কান্নাকাটি করলে সমাজসেবা অফিসার আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা বামনা ইউএনওর কাছে গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিই।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মিজান সালাউদ্দীন জানান, এ ব্যাপারে এখনো কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বামনা উপজলো নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।