অর্থলোভী ফিরোজ শিকদারের পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনের গোপন তথ্য ফাঁস
- আপডেট টাইম : ০৪:২১:০৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ২০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
কলাপাড়া উপজেলা( ৭নং ওয়ার্ডে) দ্বিতীয়বারের মতো সদস্য প্রার্থী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিব আদর্শের নির্ভীক সৈনিক সর্বজন পরিচিত কর্মীবান্ধব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নির্যাতিত ত্যাগী নির্মোহ ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদার ইতিমধ্যে তিনি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২টি ইউনিয়নে ও দুটি পৌরসহরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসলে এই প্রচারণা পুরাটাই উল্টো। এটা তার আসল রুপ না।আসল রুপ হলো নির্বাচন প্রচারণার পর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নির্বাচন থেকে ফিরে আসা এমনটাই ভাবছেন সুশীল সমাজের মানুষ। তিনি আগেও নির্বাচন করে এমনটাই করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। এ যেন এক পাতানো খেলায় মেতে উঠা।
মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদার ১৯৭৯ সালে পৌর শহরের শিকদার বাড়ির মধ্যবিত্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তার বাবা মোঃ হাকিম শিকদার একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত থাকলেও ঘুষ বানিজ্য ছিল তার তিনি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিচারে রায় ঘোষণা করতেন বলে জানান অনেকেই। , ফিরোজ শিকদার কলাপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তবে এখানেও নাকি সমিতির টাকার গড়মিল আছে কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার ভূমিকা অপরিসীম, দলের সকল পর্যায়ে নেতা ও কর্মীদের কাছে তিনি একজন সৎ শিক্ষিত যোগ্য বিচক্ষণ ত্যাগী ও পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত সকলের সাথে
সদালাপি ও মিষ্টভাষীর অধিকারী বলে পরিচিত হলেও তার ভিতরে রুপ নেতাকর্মীদের অজানা।তিনি বাহিরে এক ভিতর আরেক তাই নেতাকর্মীরা কোনভাবেই এই চতুর লোকটিকে চিনতে এবং বুঝতে পারে না।
তিনি আবারও নির্বাচিত হতে পারলে পূর্বের তুলনায় জেলা পরিষদের মাধ্যমে উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবেনা বলে মনে সাধারণ মানুষ।, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মেতে উঠেছে নির্বাচন নামের বানিজ্যে ।
এবারও উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদের সদস্যর
বৃন্দ।
সরকারি জনসাধারণের ভোটাধিকার না থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে আনন্দ না থাকলেও রয়েছে বিভিন্ন মহলে আনন্দসহ নানান গুঞ্জন। তবে খুব বেশি গুনজন শোনা যায় এই পাতোনো নির্বাচনে ফিরোজ শিকদারের নাম।চায়ের দোকানে গুনজন শোনা যায় যে ফিরোজ শিকদার তো নির্বাচন করবেনা নির্বাচনের নাম করে টাকার বিনিময়ে বসে যাবে এমনটাই বলছে অনেকেই। অন্যদিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে সকলে এই নির্বাচন উপভোগ করবেন বলে স্থানীয় সূত্র জানা যায়।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে,
২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদের সদস্যরা এ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করবেন ৭ নং ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৫ জন জেলা পরিষদের টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৪ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর, ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।
ঐ দিন ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিবেন।
এ বিষয়ে ফিরোজ শিকদারের সাথে একান্তে আলাপ কালে তিনি দৈনিক সময়ের কণ্ঠকে বলেন, আমি গত পাঁচ বছরে পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তাদের কল্যাণে কাজ করেছি এবার ১২ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় আবারো দ্বিতীয়বারের মতো জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। কিন্তু আসলেই তার মনের কথা না এমনটিই বলছে অনেকে।এবার জনগণ সঠিক সময়ে সঠিক মানুষকে ভোট দিবে এবং ফিরোজ শিকদার যদি নির্বাচনের নাম করে টাকার বিনিময়ে বসে যায় তাহলে তারা তাকে ছাড়ও দিবে না বলে জানা যায়।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পাতায় চোখ রাখুন