৯০ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
- আপডেট টাইম : ০৮:২৩:০৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো পর্যটন ও বনজীবী মৎস্যজীবীদের সুন্দরবনে পদচারণা।
বনের নদ-নদীতে মাছের প্রজনন মৌসুমের কারণে তিন মাসের সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়ে শুরু হলো পর্যটনের নতুন মৌসুম। দীর্ঘ বন্ধের পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন।
পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা থেকে সড়ক পথে পাথরঘাটা তথা সুন্দরবনের পূর্বাংশের দূরত্ব কমে এসেছে। মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পাথরঘাটায় যাওয়া যাচ্ছে। ফলে এবারের পর্যটন মৌসুমে যোগ হবে বাড়তি মাত্রা।
বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে পর্যটকরা সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, টাইগার পয়েন্ট, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীর ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ট্যুরিস্ট লঞ্চ, ট্যুবোট, ট্রলারে চেপে এই বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন।
এ পর্যটন মৌসুম চলবে আগামী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার। সেই কারণে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী- ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে।
এ বছর থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রথমবারের মতো এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সময় বৃদ্ধি করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বন্ধ করা হয় সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট ও নৌ-চলাচল। ফলে তিন মাস গোটা সুন্দরবন ছিল জেলে ও পর্যটকশূন্য।
তিনি আরও জানান, ৩ মাস অতিক্রান্ত হওয়ায় আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। একই সাথে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করতে পারছেন বনজীবীরাও।
তিন মাসের এই নিষেধাজ্ঞা বনের ২১০ প্রজাতির মাছের পাশাপাশি ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রানীর প্রজনন ও বংশবিস্তারে সুফল বয়ে আনবে বলে ধারণা বন বিভাগসহ বিশেষজ্ঞদের।