ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ

রাজধানী খিলগাঁও থানার উপ পরিদর্শকের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:১২:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২
  • / ২২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তিলপাপাড়ার একটি বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক বজলুর রশিদের স্ত্রী নীলা আক্তার আঁখির (৩৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ১১ নম্বর রোডের ১৮৫/৩/এ নম্বর বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

ময়নাতদন্তের জন্য এদিন বিকেলে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত নীলা পাবনার সুজানগর উপজেলার মো. হাতেম আলীর মেয়ে। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন। মৃতের পরিবার বলছে, নীলুফা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগও নেই।

নীলুফার বড় ভাই বিপ্লব জানান, নীলা শারীরিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার মানসিক সমস্যাও ছিল। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে ঘটনার সময় নীলার স্বামী বজলুর রশিদ করোনা টেস্ট করাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে যান। এসময় তাদের ছেলে ছিল উত্তরায়। দুই মেয়ে বাসায় থাকলেও তারা ছোট। বড় মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। বাসা একরকম ফাঁকা পেয়ে রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন নীলা। পরে দুই মেয়ে দেখে দা দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নিচে নামায়। কিন্তু এর আগেই নীলা মারা যান। পরে খবর পেয়ে আমরা সবাই ছুটে যাই। নীলা মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।

এসআই বজলুর রশিদ বলেন, আমি সকালে করোনা টেস্ট করার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে বাড়ির মালিক আমাকে ফোন করলে আমি বাসায় এসে দেখি সে (স্ত্রী) গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, নীলা’র ডায়াবেটিস সবসময় ২০-২৫ থাকত। সে কয়েকবার স্ট্রোকও করেছে। আমার সঙ্গে তার কোনো মনোমালিন্য বা ঝগড়া কোনো কিছুই হয়নি। কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল, সেটাই বুঝতে পারছি না।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরো বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানী খিলগাঁও থানার উপ পরিদর্শকের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৪:১২:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তিলপাপাড়ার একটি বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক বজলুর রশিদের স্ত্রী নীলা আক্তার আঁখির (৩৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার ১১ নম্বর রোডের ১৮৫/৩/এ নম্বর বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

ময়নাতদন্তের জন্য এদিন বিকেলে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত নীলা পাবনার সুজানগর উপজেলার মো. হাতেম আলীর মেয়ে। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন। মৃতের পরিবার বলছে, নীলুফা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগও নেই।

নীলুফার বড় ভাই বিপ্লব জানান, নীলা শারীরিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার মানসিক সমস্যাও ছিল। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে ঘটনার সময় নীলার স্বামী বজলুর রশিদ করোনা টেস্ট করাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে যান। এসময় তাদের ছেলে ছিল উত্তরায়। দুই মেয়ে বাসায় থাকলেও তারা ছোট। বড় মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। বাসা একরকম ফাঁকা পেয়ে রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন নীলা। পরে দুই মেয়ে দেখে দা দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নিচে নামায়। কিন্তু এর আগেই নীলা মারা যান। পরে খবর পেয়ে আমরা সবাই ছুটে যাই। নীলা মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।

এসআই বজলুর রশিদ বলেন, আমি সকালে করোনা টেস্ট করার জন্য বাসা থেকে বের হই। পরে বাড়ির মালিক আমাকে ফোন করলে আমি বাসায় এসে দেখি সে (স্ত্রী) গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, নীলা’র ডায়াবেটিস সবসময় ২০-২৫ থাকত। সে কয়েকবার স্ট্রোকও করেছে। আমার সঙ্গে তার কোনো মনোমালিন্য বা ঝগড়া কোনো কিছুই হয়নি। কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল, সেটাই বুঝতে পারছি না।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরো বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন