নানা অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আপডেট টাইম : ০৮:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
- / ২২০ ৫০০০.০ বার পাঠক
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ রোকসানা হ্যাপির বিরুদ্ধে
হাসপাতাল পরিচালনায় ব্যার্থতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর কিছু দিন ভালো ভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করলেও ধীরে ধীরে তার গাফিলতি সামনে আসতে থাকে। তার বিরুদ্ধে গত ১৯ আগষ্ট ২০২১ ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংরক্ষিত এলাকা থেকে ১টি বড় রেন্ট্রি কড়াইয়ের গাছ কাঁটার অভিযোগ আছে। তিনি উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের বিহারিপুর গ্রামের মোঃ লতিফকে মৌখিক অনুমতি দিয়ে গাছটি কেটে ফেলে। সে সময় গাছ কাটার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।
গত ৫ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে হাসপাতালের অফিসের গ্ৰীল কেটে চুরি হয়। তবে সেদিন অফিসের আলমারিতে ল্যাপটপসহ দামি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ওষুধ ও টাকা থাকলেও শুধুমাত্র অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
এছাড়া ওষুধ বন্টনের অনিয়ম, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ না থাকা, তার স্বামীকে দিয়ে হাসপাতালের অফিস, ডাক্তার ও স্টাফদের তদারকি করানোসহ বিস্তর অভিযোগ আছে।
তিনি সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়ি নিজ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেন সে বিষয়ে ইতোপূর্বে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়।
গত ৩ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে প্রসুতি মা বাচ্চা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তবে ৫ জুলাই তার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খারাপ ব্যবহার করে কমপ্লেক্সে থেকে বের করে দেয়। এবিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১০ জুলাই আলী আহসান নামের তিন বছরের একটি বাচ্চার চিকিৎসাপত্রে এইস সিরাপ (২৫০ এমজি) জ্বর হলে মলদ্বারে নিতে নির্দেশ দেওয়া আছে। মূলত বাচ্চাদের জ্বর হইলে সাপোজিটার দেওয়ার নিয়ম আছে।
একই দিনে মোহাম্মদ আলী নামের ৪ বছরের একটি বাচ্চার চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়েটিক ওষধ এ্যাজিন (৫০) চার বার দের চামচ করে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওষধ নির্দেশিকায় ৭ বছরের নিচে বাচ্চাদের এক চামচের বেশি এই সিরাপ সেবনে মৃত্যু ঝুঁকি পর্যন্ত আছে। সেখানে একজন ডাঃ কিভাবে চার বার দের চামচ করে ৪ বছরের বাচ্চাকে দেয় এটা বোধগম্য নয়। এবিষয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ রোকসানা হ্যাপির সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন বিষয়ে কথা বলতে পারবেনা বলে জানান।