ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর মদদে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের ১৫ চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-৩)

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের মদদে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে

দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেও জেলা প্রশাসন নীরব থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে.দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য,চুন কারখানার মালিকরা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় টাকার বিনিময় সকল কিছু ম্যানেজ করে থাকে,এই বিষয়ে চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি ও এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম এর মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় যে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে কেনো আপনারা ১৫ টি চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন,এ-ই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তো কি হয়েছে আমরা চুন কারখানার মালিকরা তো আর উৎপাদন বন্ধ রাখতে পারি না,আরেক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার ইসলাম বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সকল কিছু ম্যানেজ করেই আমরা আমাদের ১৫টি চুন কারখানার উৎপাদন কাজ অব্যাহত রেখেছি এখানে আপনি সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না এ-ই বলে তিনি মোবাইল লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন,পরবর্তীতে অন্য এক চুন কারখানার মালিক আলী হোসেন এ-ই প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন আমাদের চুন কারখানার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছেন আপনার এত বড় সাহস আমারা কারখানার মালিকরা প্র‍য়োজনে আপনার পিছনে ৫ কোটি টাকা খরচ করে আপনাকে দেখে নিবো(হুমকিদাতা আলী হোসেন এর ভয়েস রেকর্ড সংরক্ষিত আছে) এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলার চুন কারখানার গুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে,নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ চুন কারখানাগুলোর বিষয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া সচিব ফারহিনা আহমেদ কে অবগত করে,এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে,

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর মদদে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের ১৫ চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-৩)

আপডেট টাইম : ০৮:১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের মদদে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে

দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেও জেলা প্রশাসন নীরব থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে.দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য,চুন কারখানার মালিকরা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় টাকার বিনিময় সকল কিছু ম্যানেজ করে থাকে,এই বিষয়ে চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি ও এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম এর মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় যে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে কেনো আপনারা ১৫ টি চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন,এ-ই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তো কি হয়েছে আমরা চুন কারখানার মালিকরা তো আর উৎপাদন বন্ধ রাখতে পারি না,আরেক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার ইসলাম বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সকল কিছু ম্যানেজ করেই আমরা আমাদের ১৫টি চুন কারখানার উৎপাদন কাজ অব্যাহত রেখেছি এখানে আপনি সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না এ-ই বলে তিনি মোবাইল লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন,পরবর্তীতে অন্য এক চুন কারখানার মালিক আলী হোসেন এ-ই প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন আমাদের চুন কারখানার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছেন আপনার এত বড় সাহস আমারা কারখানার মালিকরা প্র‍য়োজনে আপনার পিছনে ৫ কোটি টাকা খরচ করে আপনাকে দেখে নিবো(হুমকিদাতা আলী হোসেন এর ভয়েস রেকর্ড সংরক্ষিত আছে) এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলার চুন কারখানার গুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে,নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ চুন কারখানাগুলোর বিষয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া সচিব ফারহিনা আহমেদ কে অবগত করে,এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে,