ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বদলে যাচ্ছে পুলিশের লোগো, থাকছে না নৌকা বস্তাবন্দী ৩ মরদেহ পড়েছিল পুকুর পাড়ে মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করল চীন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে গাজীপুরের কাশিমপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে বালু তোলার ৩৫ ড্রেজারে হুমকির মুখে পাঁচ কিলোমিটার অঞ্চল মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ০২ জন আসামী গ্রেফতার করেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সারা দেশে সাংবাদিক দের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত প্রয়াত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার স্মরণে ঐতিহ্যবাহী নবীনগর প্রেসক্লাবে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মাঝে গরু বিতরণ স্থগিত

বাজারে সংকট সৃষ্টিকারী অভিশপ্ত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
  • / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
ব্যবসা একটি পবিত্র ইবাদত ও জীবিকা উপার্জনের উৎকৃষ্ট মাধ্যম; যদি তা হয় সততা, ইনসাফ, আমানতদারি তথা শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পন্থায়। নবি-রাসূলদের মধ্যে অসংখ্য নবি-রাসূল জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসাবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছিলেন।

আমাদের প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান, ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি ছিল তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। মোটকথা তিনিও ছিলেন একজন বিচক্ষণ সৎ ও সফল ব্যবসায়ী।

মহান রাব্বুল আলামিন ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং যারা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে সততার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) বিশেষ সুসংবাদ প্রদান করেছেন।

মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা : ২৭৫)। মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। তবে তোমাদের পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসা করা বৈধ। (সূরা নিসা : ২৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামতের দিনে নবিগণ, সিদ্দীকগণ ও শহিদগণের দলে থাকবেন। (তিরমিজি)।

তবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে হবে। ১. ব্যবসার ব্যস্ততা যাতে বান্দাকে মহান আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। ২. ব্যবসা হতে হবে সব ধরনের লোক ঠকানো বা প্রতারণা মুক্ত।

এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এরূপ করে (গাফেল হয়)। তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন : ৯)।

দয়াময় আল্লাহ আরও বর্ণনা করেন, সেসব লোক যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিগুলো উলটে যাবে। (সূরা নূর : ৩৭)।

সম্মানিত পাঠক! কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়িক পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। যার কারণে ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং সমাজে দুর্ভোগ ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয়নবি (সা.) এমন শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন। নবি করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহকারী রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুত করে সংকট সৃষ্টিকারী অভিশপ্ত। (বুখারি)।

তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাদ্যশস্য মজুত করে রাখে, সে আল্লাহ থেকে নিঃসম্পর্ক হয়ে যায় এবং আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। (মিশকাত)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজারে সংকট সৃষ্টিকারী অভিশপ্ত

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
ব্যবসা একটি পবিত্র ইবাদত ও জীবিকা উপার্জনের উৎকৃষ্ট মাধ্যম; যদি তা হয় সততা, ইনসাফ, আমানতদারি তথা শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পন্থায়। নবি-রাসূলদের মধ্যে অসংখ্য নবি-রাসূল জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসাবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছিলেন।

আমাদের প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান, ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি ছিল তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। মোটকথা তিনিও ছিলেন একজন বিচক্ষণ সৎ ও সফল ব্যবসায়ী।

মহান রাব্বুল আলামিন ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং যারা ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে সততার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) বিশেষ সুসংবাদ প্রদান করেছেন।

মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা : ২৭৫)। মহান আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। তবে তোমাদের পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসা করা বৈধ। (সূরা নিসা : ২৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামতের দিনে নবিগণ, সিদ্দীকগণ ও শহিদগণের দলে থাকবেন। (তিরমিজি)।

তবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে হবে। ১. ব্যবসার ব্যস্ততা যাতে বান্দাকে মহান আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। ২. ব্যবসা হতে হবে সব ধরনের লোক ঠকানো বা প্রতারণা মুক্ত।

এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এরূপ করে (গাফেল হয়)। তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন : ৯)।

দয়াময় আল্লাহ আরও বর্ণনা করেন, সেসব লোক যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিগুলো উলটে যাবে। (সূরা নূর : ৩৭)।

সম্মানিত পাঠক! কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়িক পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। যার কারণে ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং সমাজে দুর্ভোগ ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয়নবি (সা.) এমন শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন। নবি করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহকারী রিজিকপ্রাপ্ত আর মজুত করে সংকট সৃষ্টিকারী অভিশপ্ত। (বুখারি)।

তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাদ্যশস্য মজুত করে রাখে, সে আল্লাহ থেকে নিঃসম্পর্ক হয়ে যায় এবং আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। (মিশকাত)