ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি
- আপডেট টাইম : ০৬:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
- / ২০১ ৫০০০.০ বার পাঠক
প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় অজুহাতে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পদে পদে । দিনভর পাসপোর্ট অফিসে বসে থেকে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ নিয়ে দালালের কাছে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করছে গ্রাহক ও সেবাগ্রহীতারা । দপ্তরটিতে সেবার চেয়ে ভোগান্তিই বেশি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তোভোগীরা।
অতি গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরটিতে সেবা গ্রহিতাদের ভিড় বাড়ার সাথে সাথে একদিকে যেমন বেড়েছে দালালদের আনাগোনা, অপরদিকে জনবল সংকটের কারণেই এমন সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। মাত্র তিন জন কর্মচারী দিয়েই চলছে এ অফিসের সব কাজ এবং আউটসোর্সিং এ কাজ করছে আরও ২ থেকে ৩ জন । অনেক সময় পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা হচ্ছে নাইট গার্ড এর মাধ্যমে ।
সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও শহরের ইসলামবাগ এলাকায় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিসের কোন কর্মচারী নেই। পাওয়া যায়নি অফিসের পিয়নকেও । পাসপোর্ট এর জন্য আসা অনেক গ্রাহককে অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়।
জেলার রানিশংকৈল থেকে পাসপোর্ট করতে আসা রাজিব হাসান বলেন, সকাল ১১টায় অফিসে এসেছি এখন দুপুর ১ টা বাজে কিন্তু কারো দেখা নেই। দুই একজনের দেখা পাওয়া গেলেও তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছুই বলছে না। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমাদের দেখে তারা বিরক্ত হচ্ছে। তারাই চাচ্ছে আমরা যেন দালালের কাছে যাই।
জেলা শহরের ভুক্তোভোগীরা জানান, দুই ঘন্টা থেকে অফিসে বসে আছি একটা লোকও নেই। এমন গুরুত্বপূর্ন একটি অফিস এভাবে ফাকা ফেলে রাখা মানে দায়িত্বের অবহেলা। পরিচালককে কয়েকবার কল দিয়েছি উনিও ফোন রিসিভ করেন না। অফিসে কার সাথে কথা বলবো কোন উপায় পাচ্ছি না। পাসপোর্ট করতে এসে এত ভোগান্তিতে পড়েছি যে বলার কিছু নেই। ভোগান্তি থেকে আমরা পরিত্রান চাই। সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি বিষয়গুলো দেখার জন্য।
অভিযোগের বিষয় নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শওকত কামালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সহ আরো দুইজন এই অফিসে কাজ করছি। বাকি যারা কাজ করে তারা সবাই আউটসোর্সিং এর। এত বড় অফিস ৩ জন মানুষ দিয়ে পরিচালনা করার জন্য এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণেই মাঝে মাঝে সেবাগ্রহীতাদের এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তিনি জানান।