কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা
- আপডেট টাইম : ০৪:০৯:৫০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
- / ৪৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
কিশোরগঞ্জ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে ১৬ বস্তা টাকা পাওয় গিয়াছে।
শনিবার(০২জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে এসব টাকা পাওয়া যায়।
এছারা বিপুল পরিমাণ এই নগত টাকা ছাড়া ও দানবাক্স থেকে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রাসহ দান হিসাবে সোনা-রূপার গহনা পাওয়া যায়, সকাল থেকে এসব টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা গণনা শুরু হয়ে।সন্ধান পযন্ত গণনা চলে।লে।
০৮টি দান বাক্সের ভিতর থেকে বের করা ১৬ বস্তা টাকা এসময় নগদ অর্থ পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। এছাড়া কিছু স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মূদ্রা পাওয়া গেছে।
এর আগে সর্বশেষ ১২মার্চ দানবাক্স খোলা হয়েছিল,তখন সর্বোচ্চ তিন কোটি ৭৮লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর খুলা হয় পাগলা মসজিদের দানবাক্স, কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিলম্বে বাক্স খোলা হচ্ছে।
এবার তিন মাস ২০দিন পর মসজিদের দাননবনবাক্স গুলে খোলা হয়।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার প্রধান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া আরো সহযোগিতা করছেন পাগলা মসজিদের অধীনে মাদরাসার শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন জেলা প্রশাসনের ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। টাকা গণনার কাজ নিজ চোখে দেখতে শহরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ মসজিদে ছুটে যান।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা বলছেন, সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২০০ মানুষ ১৬টি বস্তায় পূর্ণ এসব মুদ্রা গণনা করতে শুরু করেন।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব টাকা গণনার কাজ শেষ করতে সন্ধ্যা পার হয়ে যেতে পারে।
অর্থ গণনায় অংশ নিয়েছেন পাগলা মসজিদের অধীন এতিমখানার ১২০ জন ছাত্র, পাঁচজন শিক্ষক, ৫০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির ১০ জন সদস্য।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও সোনা-রূপার গহনা দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।