ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-২)

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • / ২২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে গত ১১ই মে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের,এই নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রিফাত ফেরদৌস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ-ই সব অবৈধ চুন কারখানার বিরুদ্ধে অচিরেই আমরা জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান চালাবো,এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর অবৈধ চুন কারখানা কয়েকজন মালিক এ-ই প্রতিবেদককে বলেন আপনারা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না কারণ আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে প্রশাসনের উপর মহলে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি. সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের চুন কারখানাগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে এবং তা মালিকপক্ষকে বারবার নোটিশ করা হচ্ছে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য এর বেশি তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি.এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-২)

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে গত ১১ই মে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের,এই নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রিফাত ফেরদৌস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ-ই সব অবৈধ চুন কারখানার বিরুদ্ধে অচিরেই আমরা জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান চালাবো,এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর অবৈধ চুন কারখানা কয়েকজন মালিক এ-ই প্রতিবেদককে বলেন আপনারা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না কারণ আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে প্রশাসনের উপর মহলে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি. সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের চুন কারখানাগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে এবং তা মালিকপক্ষকে বারবার নোটিশ করা হচ্ছে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য এর বেশি তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি.এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে।