ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নিতেন টাকা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

প্রবাসী পরিচয়ে বিয়ে, নিজের ঘরের একটি কক্ষকে সাজিয়েছেন ফ্রান্সের বাসাবাড়ির আদলে। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ফ্রাঞ্চের ফোন নম্বর। এরকম বেশভূষায় নিজেকে পরিচয় দিতেন ফ্রান্স প্রবাসী বলে। এভাবে কখনো বিয়ে কিংবা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তরুণীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। ভুক্তভোগী এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় ইমাম হোসেন (৪২) নামের ওই ‘প্রতারক’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমাম হোসেনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও (কোনাপাড়া) গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩-এ ইমাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। আদালতের নির্দেশে গত ২ জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-সিলেটের ওসমানী নগরের দিরারাই গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে বশির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া মিন্টু, তার স্ত্রী মিনু ও বাওধরন গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে রুপন আহমদ।ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘বিশ্বনাথে আমার বড় বোনের বাড়ি। পূর্ব পরিচিত ঘটক বশির উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারেন একজন ফ্রান্স প্রবাসী বিয়ের জন্যে পাত্রী খুঁজছেন। ঘটককে ছবি দিলে পাত্রপক্ষ আমাকে পছন্দ করে। ঘটক পাত্রের ফ্রান্সের নম্বর দেন। পরে ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে নিজেকে ‘আরশাদ মিয়া’ পরিচয়ে কথা বলেন ওই প্রবাসী। পরে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল সিলেট শহরের একটি বাসায় অভিযুক্ত লেবু মিয়া মিন্টু, মিনু ও রুপন আহমদের উপস্থিতিতে অজ্ঞাত নিকাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে তার সঙ্গে বিয়ে হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর আমার পাসপোর্ট করা, ইউরোপ নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজ ও সমস্যা দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমার বোনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা নেন আরশাদ মিয়া। গত বছরের ১৭ মার্চ তার কাছ থেকে কাবিনের একটি কপি অথবা নিকাহ রেজিস্টারের নাম পরিচয় চাইলে তিনি কিছুই দেননি। এরপর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে এ নিয়ে সন্দেহ হলে আমরা জানতে পারি, উনি ভুয়া। তার সঙ্গে অন্যরাও সংঘবদ্ধভাবে এরকম প্রতারণামূলক কাজ করে থাকেন।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম চারটি বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে। তবে ধারণা করছি এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। মোবাইলে অসংখ্য মেয়ে সঙ্গে তার ছবি আছে।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নিতেন টাকা

আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

প্রবাসী পরিচয়ে বিয়ে, নিজের ঘরের একটি কক্ষকে সাজিয়েছেন ফ্রান্সের বাসাবাড়ির আদলে। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ফ্রাঞ্চের ফোন নম্বর। এরকম বেশভূষায় নিজেকে পরিচয় দিতেন ফ্রান্স প্রবাসী বলে। এভাবে কখনো বিয়ে কিংবা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তরুণীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। ভুক্তভোগী এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় ইমাম হোসেন (৪২) নামের ওই ‘প্রতারক’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমাম হোসেনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও (কোনাপাড়া) গ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩-এ ইমাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। আদালতের নির্দেশে গত ২ জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-সিলেটের ওসমানী নগরের দিরারাই গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে বশির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া মিন্টু, তার স্ত্রী মিনু ও বাওধরন গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে রুপন আহমদ।ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘বিশ্বনাথে আমার বড় বোনের বাড়ি। পূর্ব পরিচিত ঘটক বশির উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারেন একজন ফ্রান্স প্রবাসী বিয়ের জন্যে পাত্রী খুঁজছেন। ঘটককে ছবি দিলে পাত্রপক্ষ আমাকে পছন্দ করে। ঘটক পাত্রের ফ্রান্সের নম্বর দেন। পরে ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে নিজেকে ‘আরশাদ মিয়া’ পরিচয়ে কথা বলেন ওই প্রবাসী। পরে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল সিলেট শহরের একটি বাসায় অভিযুক্ত লেবু মিয়া মিন্টু, মিনু ও রুপন আহমদের উপস্থিতিতে অজ্ঞাত নিকাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে তার সঙ্গে বিয়ে হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর আমার পাসপোর্ট করা, ইউরোপ নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজ ও সমস্যা দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমার বোনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা নেন আরশাদ মিয়া। গত বছরের ১৭ মার্চ তার কাছ থেকে কাবিনের একটি কপি অথবা নিকাহ রেজিস্টারের নাম পরিচয় চাইলে তিনি কিছুই দেননি। এরপর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে এ নিয়ে সন্দেহ হলে আমরা জানতে পারি, উনি ভুয়া। তার সঙ্গে অন্যরাও সংঘবদ্ধভাবে এরকম প্রতারণামূলক কাজ করে থাকেন।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম চারটি বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে। তবে ধারণা করছি এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। মোবাইলে অসংখ্য মেয়ে সঙ্গে তার ছবি আছে।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’