ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয় বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

শাহেদ রুপে এরশাদের ভয়ংকর প্রতারনা

এম.ডি.এন মাইকেল।।

করোনা সনদ জাল-জালিয়াতির মাষ্টারম্যান প্রতারক শাহেদ গ্রেপ্তার হলেও রাজধানীতে আরেক শাহেদ রুপে এবিএম এরশাদ হোসেন ভয়ংকর প্রতারনা জাল বিস্তার করে দাঁবিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি মানবপাচার বা আদম ব্যবসার অন্তরালে একাধিক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক সেজে বিভিন্ন বানিজ্যিক সংগঠনের সভাপতি বা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পদ কৌশলে দখল করে এক পর্যায়ে ঐ সংগঠনের অর্থ তহবিল আত্মসাৎ করে সটকে পড়া সহ বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি সৃষ্টিতে বিশাল এক সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রন করেন বলে জানা গেছে। বাজার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার পেছনে কালোবাজারি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা এরশাদ হোসেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে দীর্ঘ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবিএম এরশাদ হোসেন মুলত একজন মানব পাচারকারী আদম বেপারী। ডালাস ট্যূরস এন্ড ট্রাভেলস নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে অফিস করলেও এই ব্যবসায় তার নিজস্ব কোনো লাইসেন্স নেই। বেকার যুবকদের বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। আর টাকা ফেরত না দেয়ায় ইতিমধ্যে চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে শুরু করেন নতুন কৌশলে প্রতারনা। মেসার্স আশা কেবলস নামক বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানীটির অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে না থাকলেও তিনিই এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। ভুয়া ঠিকানা, ভুয়া চুক্তিপত্র সহ প্রকৃত তথ্য গোপন করে ২০১৫ সালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলাধীন বিরতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আশা কেবলস নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। সেখানে এই কোম্পানীটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর এই ট্রেড লাইসেন্সটি ব্যবহার করেই বাগিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সদস্য পদ। তিনি কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকলেও আদম ব্যবসাই তার মুল পুঁজি।

কিন্তু প্রতারনার টার্গেট পূরণ করতে আশা কেবলস নামে ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আবারো একটি ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নেন। আর এই ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দখল করে নিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের পদপদবি। মেসার্স আশা কেবলস যে একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান এটি পরীক্ষা করার জন্য ২০১৫ সাল থেকে এর নিয়মিত ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, বিএসটিআই‌সনদ, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সার্টিফিকেট, ফায়ারের লাইসেন্স সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র গুলো পরীক্ষা করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। কারন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আশা কেবলস এর নামে কোন‌ লাইসেন্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতারক এরশাদ হোসেন এতোটাই দুর্ধর্ষ যে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের চৌকশ কর্মকর্তাদেরও ভুল বুঝিয়ে বোকা বানিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতির পদটি অবৈধ প্রক্রিয়ায় জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। সম্প্রতি ঐ সংগঠনের প্রকৃত সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে এরশাদের এহেন অবৈধ পন্থায় সভাপতির পদ দখলের বিষয়ে শুনানির জন্য তলব করা হয়েছে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থেকে এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরশাদের জাল জালিয়াতির বিষয় গুলো আমলে নিয়ে তদন্ত করলেই তার শাস্তি সুনিশ্চিত হবে। কারণ রাজধানীর ফার্মগেট গ্রীন রোডস্থ ১০৪ ক্যাপিটাল সুপার মার্কেটের ২য় তলার ৫নং দোকানের ঠিকানা অনুযায়ী এবিএম এরশাদের মালিকানাধীন মেসার্স আশা কেবলস নামক কোন বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। একইভাবে
টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা বিরতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আশা কেবলস নামে ২০১৫ সালে যে ট্রেড লাইসেন্সটি নেয়া হয়েছিলো সেখানেও এই কোম্পানির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অথচ এই কোম্পানির নাম ঠিকানা ব্যবহার করেই এরশাদ ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হয়ে এফবিসিসিআই এর সদস্য বাগিয়ে নিয়েছেন।

সুত্র জানায়, কোন প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স করতে হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, ছবি, বিদ্যুৎ বিলের কপি, অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র সহ বিভিন্ন ডুকমেন্ট দাখিল করলেই কেবল বাস্তবে অস্তিত্ব আছে এমন প্রতিষ্ঠানকেই ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সরকারের রাজস্ব বিভাগ। যেহেতু বাস্তবে মেসার্স আশা কেবলস এর কোন অস্তিত্ব নেই, সেহেতু নানা ধরনের জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করিয়া মেসার্স আশা কেবলসের নামে ট্রেড লাইসেন্স বাগিয়ে নিয়েছেন প্রতারক এবিএম এরশাদ হোসেন। তাছাড়া বিএসটিআই’র লাইসেন্স ব্যতীত বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুত করা কারোর পক্ষে কোনো সুযোগ নেই, সুতরাং আশা কেবলস নামক কোম্পানিটি কিভাবে বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুত করে আসছে এই প্রশ্নটিও সামনে চলে আসে বারবার। ফলে বিএসটিআই’র লাইসেন্স প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর নামের তালিকায় মেসার্স আশা কেবলস নামক কোন কোম্পানির নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিএসটিআই’র লাইসেন্স পেতে হলে একটি প্রতিষ্ঠানের সবকিছু সঠিক থাকতে হয়। মিথ্যা বা ভুয়া কোনো কাগজপত্র দাখিল করে বিএসটিআই’র লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব নয়। একারণেই আশা কেবলস বিএসটিআই’র লাইসেন্স তালিকায় নেই।
এদিকে এফবিসিসিআই’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে সংগঠনের সদস্য পদ লাভ করে এবং তা পরবর্তীতে প্রমানিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই’র চেয়ারম্যান প্রতারক এবিএম এরশাদ হোসেনের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংগঠনের সদস্যরা।

সরেজমিনে গেলে ১০৪ ক্যাপিটাল সুপার মার্কেট, সুইট নং-৫ (২য় তলা), গ্রীন রোড, ফার্মগেট, ঢাকা এর ম্যানেজার মোঃ রফিক জানান, মেসার্স আশা কেবলস ও বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন ও ক্রয় বিক্রয়

শাহেদ রুপে এরশাদের ভয়ংকর প্রতারনা

আপডেট টাইম : ১২:১৫:৫৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

এম.ডি.এন মাইকেল।।

করোনা সনদ জাল-জালিয়াতির মাষ্টারম্যান প্রতারক শাহেদ গ্রেপ্তার হলেও রাজধানীতে আরেক শাহেদ রুপে এবিএম এরশাদ হোসেন ভয়ংকর প্রতারনা জাল বিস্তার করে দাঁবিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি মানবপাচার বা আদম ব্যবসার অন্তরালে একাধিক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক সেজে বিভিন্ন বানিজ্যিক সংগঠনের সভাপতি বা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পদ কৌশলে দখল করে এক পর্যায়ে ঐ সংগঠনের অর্থ তহবিল আত্মসাৎ করে সটকে পড়া সহ বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি সৃষ্টিতে বিশাল এক সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রন করেন বলে জানা গেছে। বাজার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার পেছনে কালোবাজারি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা এরশাদ হোসেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে দীর্ঘ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবিএম এরশাদ হোসেন মুলত একজন মানব পাচারকারী আদম বেপারী। ডালাস ট্যূরস এন্ড ট্রাভেলস নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে অফিস করলেও এই ব্যবসায় তার নিজস্ব কোনো লাইসেন্স নেই। বেকার যুবকদের বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। আর টাকা ফেরত না দেয়ায় ইতিমধ্যে চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে শুরু করেন নতুন কৌশলে প্রতারনা। মেসার্স আশা কেবলস নামক বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানীটির অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে না থাকলেও তিনিই এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। ভুয়া ঠিকানা, ভুয়া চুক্তিপত্র সহ প্রকৃত তথ্য গোপন করে ২০১৫ সালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলাধীন বিরতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আশা কেবলস নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। সেখানে এই কোম্পানীটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর এই ট্রেড লাইসেন্সটি ব্যবহার করেই বাগিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সদস্য পদ। তিনি কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকলেও আদম ব্যবসাই তার মুল পুঁজি।

কিন্তু প্রতারনার টার্গেট পূরণ করতে আশা কেবলস নামে ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে আবারো একটি ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নেন। আর এই ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দখল করে নিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের পদপদবি। মেসার্স আশা কেবলস যে একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান এটি পরীক্ষা করার জন্য ২০১৫ সাল থেকে এর নিয়মিত ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, বিএসটিআই‌সনদ, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সার্টিফিকেট, ফায়ারের লাইসেন্স সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র গুলো পরীক্ষা করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। কারন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আশা কেবলস এর নামে কোন‌ লাইসেন্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতারক এরশাদ হোসেন এতোটাই দুর্ধর্ষ যে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের চৌকশ কর্মকর্তাদেরও ভুল বুঝিয়ে বোকা বানিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতির পদটি অবৈধ প্রক্রিয়ায় জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। সম্প্রতি ঐ সংগঠনের প্রকৃত সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে এরশাদের এহেন অবৈধ পন্থায় সভাপতির পদ দখলের বিষয়ে শুনানির জন্য তলব করা হয়েছে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থেকে এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরশাদের জাল জালিয়াতির বিষয় গুলো আমলে নিয়ে তদন্ত করলেই তার শাস্তি সুনিশ্চিত হবে। কারণ রাজধানীর ফার্মগেট গ্রীন রোডস্থ ১০৪ ক্যাপিটাল সুপার মার্কেটের ২য় তলার ৫নং দোকানের ঠিকানা অনুযায়ী এবিএম এরশাদের মালিকানাধীন মেসার্স আশা কেবলস নামক কোন বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। একইভাবে
টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা বিরতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আশা কেবলস নামে ২০১৫ সালে যে ট্রেড লাইসেন্সটি নেয়া হয়েছিলো সেখানেও এই কোম্পানির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অথচ এই কোম্পানির নাম ঠিকানা ব্যবহার করেই এরশাদ ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হয়ে এফবিসিসিআই এর সদস্য বাগিয়ে নিয়েছেন।

সুত্র জানায়, কোন প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স করতে হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, ছবি, বিদ্যুৎ বিলের কপি, অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র সহ বিভিন্ন ডুকমেন্ট দাখিল করলেই কেবল বাস্তবে অস্তিত্ব আছে এমন প্রতিষ্ঠানকেই ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সরকারের রাজস্ব বিভাগ। যেহেতু বাস্তবে মেসার্স আশা কেবলস এর কোন অস্তিত্ব নেই, সেহেতু নানা ধরনের জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র সৃজন করিয়া মেসার্স আশা কেবলসের নামে ট্রেড লাইসেন্স বাগিয়ে নিয়েছেন প্রতারক এবিএম এরশাদ হোসেন। তাছাড়া বিএসটিআই’র লাইসেন্স ব্যতীত বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুত করা কারোর পক্ষে কোনো সুযোগ নেই, সুতরাং আশা কেবলস নামক কোম্পানিটি কিভাবে বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুত করে আসছে এই প্রশ্নটিও সামনে চলে আসে বারবার। ফলে বিএসটিআই’র লাইসেন্স প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক তার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর নামের তালিকায় মেসার্স আশা কেবলস নামক কোন কোম্পানির নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিএসটিআই’র লাইসেন্স পেতে হলে একটি প্রতিষ্ঠানের সবকিছু সঠিক থাকতে হয়। মিথ্যা বা ভুয়া কোনো কাগজপত্র দাখিল করে বিএসটিআই’র লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব নয়। একারণেই আশা কেবলস বিএসটিআই’র লাইসেন্স তালিকায় নেই।
এদিকে এফবিসিসিআই’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে সংগঠনের সদস্য পদ লাভ করে এবং তা পরবর্তীতে প্রমানিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই’র চেয়ারম্যান প্রতারক এবিএম এরশাদ হোসেনের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংগঠনের সদস্যরা।

সরেজমিনে গেলে ১০৪ ক্যাপিটাল সুপার মার্কেট, সুইট নং-৫ (২য় তলা), গ্রীন রোড, ফার্মগেট, ঢাকা এর ম্যানেজার মোঃ রফিক জানান, মেসার্স আশা কেবলস ও বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল কেবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসি।