ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

ব্যস্ত সময় পার করছেন সেমাই কারখানার শ্রমিকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৩৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি:

রমজান ও ঈদকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের সেমাই ও মুড়ি তৈরির কারখানাগুলো এখন সরগরম। করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরে আসায় মিল কারখানায় দিন রাত শ্রম দিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছেন শ্রমিকরা। লাভবান মালিকরাও।

ঈদকে সামনে রেখে বাজারের চাহিদা পুরনে প্রতিদিনিই সদরের ডেইলি ফ্রেশ কারখানার শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তেলে ভাজা নানা রকমের সুস্বাদু সেমাই তৈরিতে একযোগে কাজ করছেন পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা। এ কারখানাটিতে ব্যতিক্রম নানা আইটেমের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করায় চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। বিএসটিআই অনুমোদনের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়েও অন্যান্য কারখানার তুলনায় ভাল বলে দাবি স্থানীয়দের। ঈদ বাজার ধরতে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি সেমাই কারখানাই এখন সরগরম।

পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কারখানায় সেমাই তৈরি ও প্যাকেটিংসহ বাজারজাতে প্রস্তুত করছেন। সেমাই কারখানাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে মুড়ি কারখানাগুলোও। মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত প্রশিক্ষিত শ্রমিকরা।করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কারখানার অস্বাভাবিক উৎপাদনে নিয়মিত কাজ পাওয়ায় খুশি মিল মালিক ও শ্রমিকরা।

আর ব্যস্ততার এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সদরের বিসিকে অবস্থিত থ্রি স্টার, সত্যপীর ব্রীজ এলাকায় ইমরানসহ কিছু কিছু কারখানায় নোংরা তেলে সেমাই ভাজছেন। যা সামান্য বিষয় বলে মনে উড়িয়ে দেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইমরান বেকারির মত প্রতিষ্ঠিত কারখানায় নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন ভোক্তারা। অথচ নিঃসন্দেহে তাদের সেমাই সবচেয়ে বেশি ক্রয় করে থাকেন ভোক্তারা।

ডেইলি ফ্রেশ বেকারির প্রোপাইটর আশরাফুজ্জামান জানান, আমরা ভাল মানটিই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এ কারনে কারখানার পরিবেশ থেকে শুরু করে উৎপাদন ও মোরকজাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করি। বর্তমানে রং বেরংয়ের বিভিন্ন রকম লাচ্ছাসহ এবার চকলেট লাচ্ছা তৈরি করছি আমরা। আমাদের সেমাইয়ের মান ভাল বলেই দুর-দুরান্তের পাইকাররা ছুটে আসছেন।

বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, জেলায় স্বাভাবিক সময়ে পনেরটি কারখানা চালু রেখে সেমাই ও মুড়ি তৈরিতে তিনশ শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে চব্বিশটি কারখানায় প্রতিদিন সহশ্রাধিক শ্রমিক কাজ করছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্যস্ত সময় পার করছেন সেমাই কারখানার শ্রমিকরা

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি:

রমজান ও ঈদকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের সেমাই ও মুড়ি তৈরির কারখানাগুলো এখন সরগরম। করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরে আসায় মিল কারখানায় দিন রাত শ্রম দিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছেন শ্রমিকরা। লাভবান মালিকরাও।

ঈদকে সামনে রেখে বাজারের চাহিদা পুরনে প্রতিদিনিই সদরের ডেইলি ফ্রেশ কারখানার শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তেলে ভাজা নানা রকমের সুস্বাদু সেমাই তৈরিতে একযোগে কাজ করছেন পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা। এ কারখানাটিতে ব্যতিক্রম নানা আইটেমের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করায় চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। বিএসটিআই অনুমোদনের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়েও অন্যান্য কারখানার তুলনায় ভাল বলে দাবি স্থানীয়দের। ঈদ বাজার ধরতে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি সেমাই কারখানাই এখন সরগরম।

পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কারখানায় সেমাই তৈরি ও প্যাকেটিংসহ বাজারজাতে প্রস্তুত করছেন। সেমাই কারখানাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে মুড়ি কারখানাগুলোও। মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত প্রশিক্ষিত শ্রমিকরা।করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কারখানার অস্বাভাবিক উৎপাদনে নিয়মিত কাজ পাওয়ায় খুশি মিল মালিক ও শ্রমিকরা।

আর ব্যস্ততার এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সদরের বিসিকে অবস্থিত থ্রি স্টার, সত্যপীর ব্রীজ এলাকায় ইমরানসহ কিছু কিছু কারখানায় নোংরা তেলে সেমাই ভাজছেন। যা সামান্য বিষয় বলে মনে উড়িয়ে দেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইমরান বেকারির মত প্রতিষ্ঠিত কারখানায় নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন ভোক্তারা। অথচ নিঃসন্দেহে তাদের সেমাই সবচেয়ে বেশি ক্রয় করে থাকেন ভোক্তারা।

ডেইলি ফ্রেশ বেকারির প্রোপাইটর আশরাফুজ্জামান জানান, আমরা ভাল মানটিই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এ কারনে কারখানার পরিবেশ থেকে শুরু করে উৎপাদন ও মোরকজাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করি। বর্তমানে রং বেরংয়ের বিভিন্ন রকম লাচ্ছাসহ এবার চকলেট লাচ্ছা তৈরি করছি আমরা। আমাদের সেমাইয়ের মান ভাল বলেই দুর-দুরান্তের পাইকাররা ছুটে আসছেন।

বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, জেলায় স্বাভাবিক সময়ে পনেরটি কারখানা চালু রেখে সেমাই ও মুড়ি তৈরিতে তিনশ শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে চব্বিশটি কারখানায় প্রতিদিন সহশ্রাধিক শ্রমিক কাজ করছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।