ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন মোড়কে জমি সহ স্থাপনা দখলের চেষ্টা// অবরুদ্ধ পাঁচ দশকের পুরনো হরিপুর মহিলা সমিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম

চাঁদা চাইতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাই খেলো কথিত সাংবাদিক’রা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৯০ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী চাঁদা না দেওয়ায় সাদ্দাম হোসেন ও শাওন নামের দুইজন টিকাদারকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ঠিকাদার সাদ্দাম বাদি হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দুইজনসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঠিকাদার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন ও শাওন নামের দুই ঠিকাদার রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় লালু, এমদাদুল হক, শান্ত ও নূরুজ্জামানসহ অন্তত ছয়জন ঈদকে কেন্দ্র করে সাদ্দামের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা সাদ্দামের ওপর এলাপাথাড়িভাবে মারধর শুরু করতে থাকেন। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রামেকের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিতসা দিয়ে ছুটি দেন কর্তব্যরত চিকিতসক।

আহত ঠিকাদার সাদ্দাম জানায়, অনেক দিন ধরে লালু, এমদাদুল হক, শান্ত ও নূরুজ্জামানসহ ৬/৭ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা রেল ওয়ের বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ধরণা দেয়। সেই সুবাধে তাদের সাথে মুখচেনাচেনি সম্পর্ক হয় সাদ্দামের। তাছাড়া মোটরসাইকেলে তেল কেনার জন্য টাকাও চায় তারা। তাদের প্রায় ২/৪শত টাকা করে দিতো ঠিকাদার সাদ্দাম। গত প্রায় ৭দিন ধরে তারা ঈদের জন্য নতুন বাইনা ধরেছে। তা হলো তারা একটি প্রেসক্লাব পরিচালনা করে। ঈদের খরচ হিসেবে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হবে। এ নিয়ে মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে সাদ্দামকে দেখে তারা চাঁদা চায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় তারা সাদ্দামকে মারধর করে। ডিসকো ফকিরদের ছেড়ে দেয়নি সাধরন জনতা তারাও দিয়েছে গণধোলাই।

পরে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায় তারা। ঠিকাদার শাওন বলেন, এই ধরনের ডিসকো ফকির শহরে ভরে গেছে। বিভিন্ন উসিলায় টাকা চাইছে। জাত পাতের ঠিক নাই। এমন সব পত্রিকার নাম করে যা কোন এজেন্সি বা হকারের কাছে পাওয়া যায়না। এমন সব অনলাইন বা পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়ে দাপটের সাথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাতে করে সাংবাদিক জাতীর কলঙ্কিত করছে এই সব নামধারীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁদা চাইতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাই খেলো কথিত সাংবাদিক’রা

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী চাঁদা না দেওয়ায় সাদ্দাম হোসেন ও শাওন নামের দুইজন টিকাদারকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ঠিকাদার সাদ্দাম বাদি হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দুইজনসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঠিকাদার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন ও শাওন নামের দুই ঠিকাদার রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় লালু, এমদাদুল হক, শান্ত ও নূরুজ্জামানসহ অন্তত ছয়জন ঈদকে কেন্দ্র করে সাদ্দামের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা সাদ্দামের ওপর এলাপাথাড়িভাবে মারধর শুরু করতে থাকেন। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রামেকের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিতসা দিয়ে ছুটি দেন কর্তব্যরত চিকিতসক।

আহত ঠিকাদার সাদ্দাম জানায়, অনেক দিন ধরে লালু, এমদাদুল হক, শান্ত ও নূরুজ্জামানসহ ৬/৭ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা রেল ওয়ের বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ধরণা দেয়। সেই সুবাধে তাদের সাথে মুখচেনাচেনি সম্পর্ক হয় সাদ্দামের। তাছাড়া মোটরসাইকেলে তেল কেনার জন্য টাকাও চায় তারা। তাদের প্রায় ২/৪শত টাকা করে দিতো ঠিকাদার সাদ্দাম। গত প্রায় ৭দিন ধরে তারা ঈদের জন্য নতুন বাইনা ধরেছে। তা হলো তারা একটি প্রেসক্লাব পরিচালনা করে। ঈদের খরচ হিসেবে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হবে। এ নিয়ে মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে সাদ্দামকে দেখে তারা চাঁদা চায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় তারা সাদ্দামকে মারধর করে। ডিসকো ফকিরদের ছেড়ে দেয়নি সাধরন জনতা তারাও দিয়েছে গণধোলাই।

পরে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায় তারা। ঠিকাদার শাওন বলেন, এই ধরনের ডিসকো ফকির শহরে ভরে গেছে। বিভিন্ন উসিলায় টাকা চাইছে। জাত পাতের ঠিক নাই। এমন সব পত্রিকার নাম করে যা কোন এজেন্সি বা হকারের কাছে পাওয়া যায়না। এমন সব অনলাইন বা পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়ে দাপটের সাথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাতে করে সাংবাদিক জাতীর কলঙ্কিত করছে এই সব নামধারীরা।