ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে বনদস্যুরা গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ জুন পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলা গাজায় লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুর্নীতির সীমা পেরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালু উত্তোলন ,পরিবেশ বিপন্ন দেখার মত কেউ নেই।। মদনায় ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা, আহত ও অপহরণ মামলার আসামির টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, সিলেটে উচ্ছ্বাস ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ৩৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহী বাঘা প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় মেরাজকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা পুলিশ।
মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার বাড়ি ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরের শিরোইল বাস স্ট্যাড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় আক্কাসকে কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন তাঁর (আক্কাস) লোকজন নিয়ে পেছনে যেতে বলেন। এতে আক্কাস ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কামাল হোসেনের সঙ্গে তুই সম্বোধন করে কথা বলেন। এ সময় আক্কারের মেয়ে এসএম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারে।
এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন এক পর্যায়ে আক্কাসের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলনে হামলার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে পৃথক দুইটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দুইজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আরও দুইটি মামলা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

রাজশাহী বাঘা প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় মেরাজকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা পুলিশ।
মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার বাড়ি ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরের শিরোইল বাস স্ট্যাড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় আক্কাসকে কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন তাঁর (আক্কাস) লোকজন নিয়ে পেছনে যেতে বলেন। এতে আক্কাস ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কামাল হোসেনের সঙ্গে তুই সম্বোধন করে কথা বলেন। এ সময় আক্কারের মেয়ে এসএম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারে।
এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন এক পর্যায়ে আক্কাসের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলনে হামলার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে পৃথক দুইটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দুইজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আরও দুইটি মামলা হয়।