ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
  • / ৩১৪ ৫০০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো:

১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

৪) রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) সরকারি সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩ প্রমাণে নেই। যা বাতিল করা হয়েছে। এ সনদ বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারি চাকরির সব শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণিতে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা এবং হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষারে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো:

১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

৪) রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) সরকারি সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩ প্রমাণে নেই। যা বাতিল করা হয়েছে। এ সনদ বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারি চাকরির সব শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণিতে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা এবং হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষারে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।