ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত ১, গুরুতর আহত ১ ধানমন্ডিতে র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, আটক ৪ ঈদ’কে সামনে রেখে পরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে চবিতে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ নিম্নমান সহকারীর ঈদের ছুটিতে দূরে যাচ্ছেন? বাসা ছাড়ার আগে বিষয়গুলো খেয়াল করুন চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায়, বেতমোর ইউনিয়ন এ বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ধরমন্ডল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কাশিমপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৭৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো:

১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

৪) রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) সরকারি সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩ প্রমাণে নেই। যা বাতিল করা হয়েছে। এ সনদ বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারি চাকরির সব শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণিতে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা এবং হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষারে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো:

১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

২) সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৩) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

৪) রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

৫) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) সরকারি সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩ প্রমাণে নেই। যা বাতিল করা হয়েছে। এ সনদ বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারি চাকরির সব শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণিতে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা এবং হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষারে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।