অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে অসহায় দিনমজুর পিতা, দ্বিখন্ডিত পা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শিকলে বন্দি
![](https://somoyerkontha.com/wp-content/uploads/2024/10/FB_IMG_1727975776303.jpg)
- আপডেট টাইম : ০৩:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
- / ৭২০ ৫০০০.০ বার পাঠক
উপজেলা প্রতিনিধি ফুলবাড়ী দিনাজপুর ।।
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গরপিংলাই মৌজার আলের পাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলম বাদশা মিয়া (45 )পিতা মৃত মনসুর আলী তার নিজ বসতভিটার একটি গাছ বিক্রয় করিতে চাইলে পার্শ্ববর্তী জয়নগর বাজার এর স’মিল মালিক মোঃ রেজাউল হোসেন গাছ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে দামাদামির একপর্যায়ে গাছ মালিক বাদশা মিয়ার শার্টের পকেটে, জোরপূর্বক আটশত টাকা বায়না স্বরূপ দিয়ে আসে বায়নার টাকা গ্রহণ করিতে বাদশা মিয়ার আপত্তি থাকা শত্তেও। পরবর্তী বাড়ির লোকজন গাছ বিক্রয়ে অসম্মতি জানালে পরদিন খুব সকালে বায়নার আটশত টাকা রেজাউল হোসেনকে না পাইয়া তার মিলের মিস্ত্রীর নিকট বুঝাইয়া দিয়ে আসে এবং মুঠোফোনে কথিত কাঠ ব্যবসায়ী রেজাউল হোসেনকে মনঃক্ষুণ্ণ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করে ।
কিন্তু রেজাউল হোসেন বাদশা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অনেক বকাবকি করে এবং ধমক দিয়ে বলে যে তোমায় যদি জয়নগর বাজারে পাই তোমার পা দুটি ভেঙ্গে দিব অতঃপর 26 /2/ 2022 ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল 11 ঘটিকার দিগে জয়নগর বাজারে একটি চায়ের দোকানে কাঠ ব্যবসায়ী রেজাউল হোসেন বাদশা মিয়াকে চা খাইতে দেখিলে তার শার্টের কলার ধরিয়া টেনে-হিঁচড়ে তাহার নিজ স’মিলে নিয়ে যায় এবং উপর্যুপরি লাঠি দিয়া পিটাইতে আরম্ভ করে ,একপর্যায়ে বাদশা মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং বাদশা মিয়ার আত্মচিৎকারে বাজারের লোকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবংদেখে যে লাঠির আঘাতে তার একটি পা ভেঙ্গে গেছে সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান যোগে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রেরণ করে পরবর্তী এম্বুলেন্স যোগে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয় ।
এদিকে পিতার পা ভেঙ্গে দেওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর শুনে 22 বছরের একমাত্র মেয়ে মোসাম্মৎ মেঘনা আক্তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তার নিজের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা থেকে শুরু করে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙ্গাচুরা শুরু করে এবং একে-ওকে মারধর শুরু করে একপর্যায়ে বাড়ির লোক বাধ্য হয় তার পায়ে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে ।
জানা যায় এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি ।
তবে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিষয়টি জানে বলে জানা যায় ।
কিন্তু এ হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ গুলি এখন কার চিকিৎসা চালাবে পিতার নাকি মেয়ের কে যোগাবে তাদের পেটের খাবার ।কে শুনবে তাদের হৃদয়ের আত্মচিৎকার কে মুছে দিবে তাদের চোখের জল ।