কপোতাক্ষ খনন শুরু হতেই মইনুদ্দিন রোড হতে পাতাঘাটা পর্যন্ত মাছ ছেড়ে দখলের ষড়যন্ত্র
- আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ৩২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
শেখ সিরাজুল ইসলাম : বিপুল অর্থ ব্যয়ে খনন শুরু হয়েছে শালিখা হতে কয়রা আমাদি পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার কপোতাক্ষ নদী। খনন চলমান এই নদীর তালা পাইকগাছা ও আশাশুনি পাইকগাছা সীমান্তের শালিখা মঈনুদ্দিন রোড হতে পঞ্চানন তলা ও পঞ্চানন তলা হতে পাতাঘাটা পর্যন্ত দুটি খণ্ডে গোপনে অবৈধভাবে মাছ ছেড়ে দিয়ে একটি চক্র দখলে রাখার পাঁয়তারা করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। চক্রটি ৩২ কিলোমিটার নদী খনন হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু অংশ জোরপূর্বক দখলে রেখে অবৈধভাবে চিংড়ি চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নদীর এই দুটি খণ্ডে পৃথকভাবে চিংড়ির পোনা ছেড়ে দেয়া হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। নদী খনন শুরুতেই নদীতে গোপনে মাছ ছেড়ে দিয়ে দখলের বিষয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনসাধারণের বক্তব্য, নদী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তাই নদীতে এলাকার সাধারন জনগন মাছ ধরবে, এলাকার দুঃস্থ দরিদ্র পরিবার নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করবে। এলাকাবাসী আরো বলছেন, নদী সবার জন্য উন্মুক্ত, সেখানে কেউ সাধ করে মাছ ছাড়লে সেটা জনগণ মানবে না, নদীতে মাছ পেলে সাধারন জনগন মাছ ধরবে। শালিখা ১৫ ব্যান্ড গেটের গেট খালাসী বিকাশ সরকার বলেন, বাপ্পি নামের একজন ইউপি সদস্যসহ একটি চক্র অবৈধভাবে নদীতে মাছ ছেড়ে অবৈধ দখল নিয়ে খনন শেষ হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত চিংড়ি মাছ চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকার ফায়দা লোটার পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, খননকৃত নদীতে ব্যক্তিগতভাবে মাছ ছেড়ে দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। খননকৃত এই নদীতে মাছ হলে সাধারণ জনগণ মাছ শিকার করতে পারবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, মাছ হলে সাধারণ জনগণ মাছ শিকার করতে পারবে, এক্ষেত্রে কোনো বাধা আসলে এলাকাবাসী প্রশাসনের সহায়তা নিবেন।