ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বাড়তি উৎপাদন ব্যয়ের ঝুঁকি নিয়েই আগাম আলু চাষে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা মোংলায় বিনামূল্যে দুই শতাধিক চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা প্রদান মোংলায় মানববন্ধনে বক্তারা, রাস্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমতলীতে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত গাইবান্ধায় দলীয় জেরে ৩ মাস পরে এসপি ও ওসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বিএনপি’র দলীয় নামক জনতা। লক্ষ্মীপুরে আলিফ-মিম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের উদ্বোধন পীরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষ এক জনের মৃত্য মোংলায় শুরু হয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কালিয়াকৈরে মোহনা টিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াতের ১১ সদস্যের হিন্দু কমিটি ঘোষণা

বিকল্প ব্যবস্থায় কৃষি অফিসারের জলাবদ্ধতা নিরসন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • / ৪৭৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
জলাবদ্ধতায় বিলের প্রায় ২০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। বিকল্প ব্যবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসন করে আবাদের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। ভূপৃষ্টের জমা পানি ভূ-অভ্যন্তরে নামিয়ে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য কৃষকদের নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই কৃষি অফিসার। বাঘা উপজেলার পাটনি পাড়া বিলে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার শত-শত কৃষক।
জানা গেছে, এই বিলে শরিফাবাদ মৌজার,তেঁথুলিয়া ও কামার পাড়া,সিকদার পাড়া, বাজুবাঘা মৌজার নওটিকা,আরিফপুর,আমোদপুর তেপুকুরিয়াসহ অনেকের জমি রয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারনে কোন ফসলের আবাদ হয়না। যার ফলে জমি থেকেও ফসল ঘরে তুলতে পারেননা কুষকরা।
সরেজমিন সোমবার (১৪-০২-২০২২) দুপুরে বাঘা উপজেলার পাটনি পাড়া বিলে জলাবদ্ধতার এ দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে দেখা যায়, বিলের পানি ভ’গর্ভে (মাটির তলোদেশে) নামানোর জন্য পাইপ পোতার কাজ চলছে। আর এটি নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।
স্থানীয় কৃষক বয়েজুল ইসলাম, রনি প্রমানিক জানান, কৃষি অফিসারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিলের প্রায় দুইশ বিঘা অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আসবে। এতে করে অত্র অঞ্চলের শত-শত কৃষক বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারবেন।
দুলু প্রামানিক বলেন, এর আগে আমাদের এলাকার বিল সমুহে মাটির নিচে পাইপ পুতে স্যালো ম্যাশিনের মাধ্যমে পানি তুলে বোরো ধানের আবাদ করেছি। কিন্তু বর্তমানে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং কোন-কোন বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে অত্র এলাকার ৫-৬ টি গ্রামের প্রায় দুইশ বিঘা উপরে জমি জলাবদ্ধতায় পড়ে রয়েছে। এর ফলে আমরা সারা বছর কোন ফসলই ফলাতে পারছি না। বিষয়টি বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসারকে অবগত করা হলে তিনি আমাদের বিল পরিদর্শন করেন। অত:পর চারটি জায়গায় নিজ খরচে পাইপ পুতে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেন। এতে যেমন আবাদ করা সম্ভব হবে, অনুরুপ পরবর্তীতে সেই পানি খরা মৌসূমে সেচ কাজে ব্যবহার করেও অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। কৃষি অফিসারের এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বর্তমান সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক পরিমান ভুর্তুকি দিচ্ছেন। যাতে করে বাংলাদেশ কৃষি সমৃদ্ধশালী একটি উন্নত দেশে পরিনত হয় । আমি সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছি, এটিকে বলা হয় “ভূ-গর্ভাশায়ণ’’। উন্নত দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও কোন-কোন এলাকায় এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খরা প্রবণ এলাকায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা রেখে শুষ্ক মৌসুমে এ পানি র্নির্বিঘেœ ব্যবহার করা যাবে এবং জলাবদ্ধ এলাকার অতিরিক্ত পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে জলাবদ্ধ এলাকার জমিকে চাষাবাদ উপযোগী করা সহ লবনাক্ত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ এমনকি সুপেয় পানি হিসেবেও পান করা যাবে।##

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিকল্প ব্যবস্থায় কৃষি অফিসারের জলাবদ্ধতা নিরসন

আপডেট টাইম : ০৩:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
জলাবদ্ধতায় বিলের প্রায় ২০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। বিকল্প ব্যবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসন করে আবাদের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। ভূপৃষ্টের জমা পানি ভূ-অভ্যন্তরে নামিয়ে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য কৃষকদের নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন এই কৃষি অফিসার। বাঘা উপজেলার পাটনি পাড়া বিলে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার শত-শত কৃষক।
জানা গেছে, এই বিলে শরিফাবাদ মৌজার,তেঁথুলিয়া ও কামার পাড়া,সিকদার পাড়া, বাজুবাঘা মৌজার নওটিকা,আরিফপুর,আমোদপুর তেপুকুরিয়াসহ অনেকের জমি রয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারনে কোন ফসলের আবাদ হয়না। যার ফলে জমি থেকেও ফসল ঘরে তুলতে পারেননা কুষকরা।
সরেজমিন সোমবার (১৪-০২-২০২২) দুপুরে বাঘা উপজেলার পাটনি পাড়া বিলে জলাবদ্ধতার এ দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে দেখা যায়, বিলের পানি ভ’গর্ভে (মাটির তলোদেশে) নামানোর জন্য পাইপ পোতার কাজ চলছে। আর এটি নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।
স্থানীয় কৃষক বয়েজুল ইসলাম, রনি প্রমানিক জানান, কৃষি অফিসারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিলের প্রায় দুইশ বিঘা অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আসবে। এতে করে অত্র অঞ্চলের শত-শত কৃষক বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারবেন।
দুলু প্রামানিক বলেন, এর আগে আমাদের এলাকার বিল সমুহে মাটির নিচে পাইপ পুতে স্যালো ম্যাশিনের মাধ্যমে পানি তুলে বোরো ধানের আবাদ করেছি। কিন্তু বর্তমানে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন এবং কোন-কোন বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে অত্র এলাকার ৫-৬ টি গ্রামের প্রায় দুইশ বিঘা উপরে জমি জলাবদ্ধতায় পড়ে রয়েছে। এর ফলে আমরা সারা বছর কোন ফসলই ফলাতে পারছি না। বিষয়টি বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসারকে অবগত করা হলে তিনি আমাদের বিল পরিদর্শন করেন। অত:পর চারটি জায়গায় নিজ খরচে পাইপ পুতে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেন। এতে যেমন আবাদ করা সম্ভব হবে, অনুরুপ পরবর্তীতে সেই পানি খরা মৌসূমে সেচ কাজে ব্যবহার করেও অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। কৃষি অফিসারের এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বর্তমান সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক পরিমান ভুর্তুকি দিচ্ছেন। যাতে করে বাংলাদেশ কৃষি সমৃদ্ধশালী একটি উন্নত দেশে পরিনত হয় । আমি সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছি, এটিকে বলা হয় “ভূ-গর্ভাশায়ণ’’। উন্নত দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও কোন-কোন এলাকায় এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খরা প্রবণ এলাকায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা রেখে শুষ্ক মৌসুমে এ পানি র্নির্বিঘেœ ব্যবহার করা যাবে এবং জলাবদ্ধ এলাকার অতিরিক্ত পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে জলাবদ্ধ এলাকার জমিকে চাষাবাদ উপযোগী করা সহ লবনাক্ত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ এমনকি সুপেয় পানি হিসেবেও পান করা যাবে।##