মাঘের শেষে শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্নালী মুকুল
- আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
শীত শেষ হয়নি,ফালগুনও আসেনি। এরই মধ্যে স্বর্নালী মুকুলের দেখা মিলেছে আম গাছে। শীতের ¯িœগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্নালী মুকুল। আমগাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেওয়া মুকুলের ঘ্রান কাছে টানছে মৌমাছিদের। রাজশাহীর বাঘায় বেশ কিছু আম গাছে মাঘের শেষে এই মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। আর আশায় বুক বেঁধে পরিচর্যা শুরু করেছেন আম ব্যবসায়ী ও চাষিরাও। উপজেলার বাউসা গ্রামের হযরত আলী বলেন, গাছের মুকুল দেখে মনটা ভরে উঠেছে। তবে আগাম আসা মুকুল স্থায়ী হবে কি-না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। মনে করছি আবহাওয়া জনিত কারণে মুকুলের ক্ষতি না হলে এ বছর আমের উৎপাদন বেশি হবে।
উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার আম চাষি জিল্লুর রহমান বলেন,প্রতিবছরই কিছু কিছু আম গাছে আগাম মুকুল আসে। আবহাওয়া জনিত কারণে এসব মুকুল অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে, সেসব গাছের মুকুল স্থায়ী হবে।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়া ও জাতের কারনেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুলের জন্য প্রয়োজন,সেটা আগেই পেয়ে গেছে,তাই মুকুল এসেছে। তবে ঘন কুয়াশা ও বেশি শৈত প্রবাহে আগাম মুকুলের ক্ষতি হতে পারে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। নিরাপদ আম উৎপাদনে উপজেলার আম চাষিদের উন্নত প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা । বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। ##