বাঘায় কুকুর-শিয়ালের কামড়ের আতঙ্ক বাড়ছে, এক দিনের ব্যবধানে আহত- ১৬
- আপডেট টাইম : ০২:৩৯:১১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
- / ২০১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।
রাজশাহীর বাঘায়, এক দিনের ব্যবধানে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন ষোলজন। গত মঙ্গলবার (২৫-০১-২০২২) সন্ধ্যায় কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন ১১ জন। আগের দিন সোমবার (২৪-০১-২০২২) শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত হয়েছেন ৫জন। এনিয়ে জনমনে বেড়েছে আতঙ্ক।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫জানুয়ারি) উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা সরকারপাড়ার তিন রাস্তার মোডে কুকুরের কামড়ে এগারোজন আহত হয়েছেন। এরা হলেন- আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আফরোজা (৪৫), মৃত সামসের আলীর ছেলে আবদুস সাত্তার (৬০), তৈজাল আলীর স্ত্রী বেগম আরা (৪৫), সোনার মেল্লার স্ত্রী দোলেনা বেগম (৬০), নয়ন আলীর ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৪), আকাশ আলীর মেয়ে (আয়েশা খাতুন (৩), আবুল হোসেনের জামাই সাইদুর রহমান (৩৫)সহ লোকমানপুর এলাকার অজ্ঞাত দুইজন পথচারী ও দুইজন ভিক্ষুক ।
আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, বাচ্চা প্রসব করা ১টি কুকুর তাদের কামড়ে আহত করে। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে ভ্যাকশিন গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে কুকুরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এর আগের দিন সোমবার (২৪-০১-২০২২)উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর এলাকায় শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন ২ বছরের শিশুসহ ৫জন। এরা হলেন-তফিল উদ্দীনের ছেলে বাদশা আলী (৩৫), নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন (২১), মহরম আলীর দুই বছরের শিশু ছেলে মহিম হোসেন, সরেরহাট গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে রুবেল আলী (২৬) এবং দুড়দুড়িয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৩০)।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান শিশির জানান, তার এলাকায় যারা আহত হয়েছেন তারা এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় ১টি শিয়াল তাদের তাড়া করে কামড় দেয়। কয়েক দিন ধরে একটি শিয়াল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। ওই শিয়ালটিকে তাড়া করলে সেটি ফিরে এসে কামড় দেয়। এর মধ্যে শিশু মহিমের পিতা মহরম আলী তার ছেলেকে রেখে আহত অন্য ১জনকে উদ্ধার করতে যায়। এ সময় শিশুটিকে কামড় দেয় শিয়াল। পরে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রাশেদ আহমেদ জানান, কুকুর ও শিয়ালটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কামড়াচ্ছে কি-না,তাৎক্ষনিক জানা সম্ভব না। তবে সন্দেহে আহতরা প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন নিয়েছে। এতে তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম।