ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

পুলিশের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৫৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

নাটোর থেকে প্রতিনিধি।।

নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাদুয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় ভুক্তভোগী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজ হাজীর বাড়ির রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন পালিত হয়।

এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ গিয়ে মফিজ হাজির বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে মোটসাইকেলসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুরুদাসপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মফিজ হাজির বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে নানা আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। এছাড়া রতন নামে এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও তারা এ ধরনের ভাঙচুর চালায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে পুলিশ বলছে, প্রতিবেশী সেন্টু, কামাল, রফিকুল ইসলামের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ির গেট কুপিয়ে তাদের হুমকি দিয়েছে মফিজ হাজী, সাইফুল ও রতন বাহিনী। এ খবরে সেখানে যান তারা। তবে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ জানায়, নৌকার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাস্টার  নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কয়েকজনকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।

মফিজ হাজীর প্রতিবেশী সেন্টু বলেন, আমারসহ কয়েকজনের বাড়ি মফিজ বাহিনী ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

মফিজ হাজী বলেন, তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। সেন্টু-কামাল বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পুলিশের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

চেয়ারম্যান মতিন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, মফিজ হাজীসহ ২০-২৫ জন রাতে সেন্টু, কামাল ও রফিকুল ইসলামসহ পাঁচটি বাড়িতে ঝামেলা করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পুলিশ সেখানে যায়। মফিজ হাজীর বাড়ির গেট খুলতে বললে ওই বাড়ির মহিলারা জানান, গত পাঁচ বছর তারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন পুলিশ কেন এসেছে। এরপর গেটে লাথি মারা হয়। কোনো ভাঙচুর বা গালিগালাজ করা হয়নি। শুধু তল্লাশি চালানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১২:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

নাটোর থেকে প্রতিনিধি।।

নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাদুয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় ভুক্তভোগী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজ হাজীর বাড়ির রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন পালিত হয়।

এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ গিয়ে মফিজ হাজির বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে মোটসাইকেলসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুরুদাসপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মফিজ হাজির বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে নানা আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। এছাড়া রতন নামে এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও তারা এ ধরনের ভাঙচুর চালায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে পুলিশ বলছে, প্রতিবেশী সেন্টু, কামাল, রফিকুল ইসলামের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ির গেট কুপিয়ে তাদের হুমকি দিয়েছে মফিজ হাজী, সাইফুল ও রতন বাহিনী। এ খবরে সেখানে যান তারা। তবে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ জানায়, নৌকার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাস্টার  নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কয়েকজনকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।

মফিজ হাজীর প্রতিবেশী সেন্টু বলেন, আমারসহ কয়েকজনের বাড়ি মফিজ বাহিনী ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা আমার বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

মফিজ হাজী বলেন, তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। সেন্টু-কামাল বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পুলিশের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

চেয়ারম্যান মতিন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, মফিজ হাজীসহ ২০-২৫ জন রাতে সেন্টু, কামাল ও রফিকুল ইসলামসহ পাঁচটি বাড়িতে ঝামেলা করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পুলিশ সেখানে যায়। মফিজ হাজীর বাড়ির গেট খুলতে বললে ওই বাড়ির মহিলারা জানান, গত পাঁচ বছর তারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন পুলিশ কেন এসেছে। এরপর গেটে লাথি মারা হয়। কোনো ভাঙচুর বা গালিগালাজ করা হয়নি। শুধু তল্লাশি চালানো হয়েছে।