ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

অভিনেত্রী শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার নোবেলের

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
  • ২০৩ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে। অভিনেত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি মারুফ হাসান বলেন,  স্ত্রী শিমু হত্যার দায় স্বীকার করেছেন খন্দকার তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল। অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাকে বন্ধু ফরহাদ সহায়তা করেছেন।

প্রসঙ্গত, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু।  রোববার শুটিংয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি অভিনেত্রী শিমু। তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়টি থানায় জিডি করেন শিমুর স্বামী নোবেল।

এর মধ্যে সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাতে গিয়ে ওই লাশ শিমুর বলে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এখনও মামলা না হলেও অভিযুক্ত নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গাড়ি থেকে খুনের আলামতও মিলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শিমু হত্যায় তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী নোবেলে সঙ্গে শিমুর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই কলহের জেরে গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে যেকোনো সময় শিমুকে হত্যা করা হয়। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটিত হলো। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির, ও এএসপি মারুফ হোসেন সরদার।

ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, যে গাড়ি ব্যবহার করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে আমরা ইতিমধ্যেই সেই গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়েছি এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি। অভিনেত্রী শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

অভিনেত্রী শিমুকে হত্যার দায় স্বীকার নোবেলের

আপডেট টাইম : ১২:১৫:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে। অভিনেত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি মারুফ হাসান বলেন,  স্ত্রী শিমু হত্যার দায় স্বীকার করেছেন খন্দকার তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল। অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাকে বন্ধু ফরহাদ সহায়তা করেছেন।

প্রসঙ্গত, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু।  রোববার শুটিংয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি অভিনেত্রী শিমু। তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়টি থানায় জিডি করেন শিমুর স্বামী নোবেল।

এর মধ্যে সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাতে গিয়ে ওই লাশ শিমুর বলে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এখনও মামলা না হলেও অভিযুক্ত নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গাড়ি থেকে খুনের আলামতও মিলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শিমু হত্যায় তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বামী নোবেলে সঙ্গে শিমুর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই কলহের জেরে গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে যেকোনো সময় শিমুকে হত্যা করা হয়। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটিত হলো। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির, ও এএসপি মারুফ হোসেন সরদার।

ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, যে গাড়ি ব্যবহার করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে আমরা ইতিমধ্যেই সেই গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়েছি এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি। অভিনেত্রী শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।