ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি কালিয়াকৈরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি

৫ জানুয়ারির পরের সব নির্বাচন কিম্ভুতকিমাকার: রিজভী

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি ২০২২
  • ১৬০ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল কিম্ভুতকিমাকার ও উদ্ভট,  যা ছিল একতরফা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, পাইকারি হারে জালভোট দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, গায়েবি ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াসহ একের পর এক অভিনব ভোট।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই গণতন্ত্রকে পাত্তা দেয় না। জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিল। এর পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।

‘আওয়ামী সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, উদার মনোভাব, সবার একত্রীকরণ, সাংস্কৃতিক অনুরণন, বিনা বাধায় নিজের পছন্দমতো বিশ্বাস নিয়ে চলার অধিকার নেই। ’

তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে সে ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে একই কায়দায় মানুষের অধিকার হরণ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে আগের রাতে ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বর্তমানে দেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত। মানুষের বাকস্বাধীনতায় তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের আয়নায় সবকিছু দেখতে গিয়ে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের ওপর চলছে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা।  কথায় কথায় জারি করা হচ্ছে বিরোধী দলের সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা। মানুষ সত্য উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর নেমে আসে নানা কালাকানুন অথবা গুম-খুনের মতো ঘটনা। কথা বললেই নেমে আসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খড়গ। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যত মামলা করা হয়েছে সকল মামলা সরকারের সমালোচনা করার জন্য। বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার। ৫ লাখের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি

৫ জানুয়ারির পরের সব নির্বাচন কিম্ভুতকিমাকার: রিজভী

আপডেট টাইম : ১০:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল কিম্ভুতকিমাকার ও উদ্ভট,  যা ছিল একতরফা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, পাইকারি হারে জালভোট দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, গায়েবি ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াসহ একের পর এক অভিনব ভোট।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই গণতন্ত্রকে পাত্তা দেয় না। জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিল। এর পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।

‘আওয়ামী সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, উদার মনোভাব, সবার একত্রীকরণ, সাংস্কৃতিক অনুরণন, বিনা বাধায় নিজের পছন্দমতো বিশ্বাস নিয়ে চলার অধিকার নেই। ’

তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে সে ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে একই কায়দায় মানুষের অধিকার হরণ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে আগের রাতে ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বর্তমানে দেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত। মানুষের বাকস্বাধীনতায় তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের আয়নায় সবকিছু দেখতে গিয়ে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের ওপর চলছে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা।  কথায় কথায় জারি করা হচ্ছে বিরোধী দলের সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা। মানুষ সত্য উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর নেমে আসে নানা কালাকানুন অথবা গুম-খুনের মতো ঘটনা। কথা বললেই নেমে আসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খড়গ। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যত মামলা করা হয়েছে সকল মামলা সরকারের সমালোচনা করার জন্য। বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার। ৫ লাখের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।