ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ইশরাক হোসেনের শপথ দাবি নগর ভবন এলাকা ‘ব্লকেড’, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে: গভর্নর চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের খবর, যা বলল মার্কিন দূতাবাস নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ নাসিরনগরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ০৩ সোশ্যাল মিডিয়ায় টাইম দিতে না হলে আমি অনেক ইউজফুল কাজ করতে পারতাম রাজধানীর গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ডিবি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন অজ্ঞাতনামা প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৪১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তৃতীয়
ধাপের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ঘিডোব কেন্দ্র এলাকায় গুলিতে
তিনজনের মৃত্যু হয়। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোক সামলে ওঠার আগেই
পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঘিডোব গ্রামের অজ্ঞাতনামা প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে
আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। পীরগঞ্জ থানায় করা এই মামলায় গ্রেপ্তার
হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঘিটোব গ্রামের অনেক পুরুষ।সনগাও ইউনিয়নের ঘিডোব গ্রামে গেলে দেখা যায়, ঘিটোব সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে গুলির ছিদ্র ও যেখানে সেখানে রক্তের চিহ্ন। যা
আগের রাতের সহিংসতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। স্কুলটি এবার ভোট কেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহার করা হয়েছিলো। কেন্দ্রর আশেপাশের এলাকায় থমথমে নিস্তব্ধ পরিবেশ।
কেউ কান্না করতে চাইলেও হয়তো শব্দের ভয়ে চেপে রেখেছে। অপরিচিত মানুষ
দেখলেই ভয়ে সরে যেতে চাইছে। এছাড়াও গ্রাম ঘুরে কিছু ষাটোর্ধ বৃদ্ধ ছাড়া
আর কোনো পুরুষ মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, ঘিডোব শান্ত প্রকৃতির একটি গ্রাম
ছিলো। কিন্তু ভোটের সঠিক ফলাফলের দাবি করাই আমাদের হয়তো ভুল হয়েছে। আমরা
সংঘাত চাইনি। তবুও এই নির্বাচনটি আমাদের জন্যে দুঃস্বপ্নের মত এসেছে।
এই নারী জানান, পুলিশ বিজিবির গুলি বর্ষণের পরেই অনেকে গ্রাম ছেড়ে
পালিয়েছে। তবে মামলা হওয়ার পর থেকে সম্পুর্ণ গ্রামই পুরুষ শূন্য হয়ে
গেছে। আমরা নারীরাও ভয় পাচ্ছি। আমরাও নিজেদের নিয়ে আটকের শঙ্কায় আছি। তবে
বাড়ি ভিটার মায়ায় যেতে পারনি।
তিনি বলেন, আমরাই মরলাম আবার আমরাই মামলার শিকার হলাম। স্বজন হারানোর
ব্যথা আমাদের, আবার গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদেরকেই থাকতে হচ্ছে। আহত স্বজনের
চিকিৎসার খরচ আমাদের নিম্ন আয়ে সম্ভব না। উপরন্তু পালিয়ে থাকায় খাবারের
জন্যে অর্থ উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শান্তির জীবনের আশাও ভুলে যেতে
হচ্ছে।
এই বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,
থানা পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে
এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন অজ্ঞাতনামা প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে

আপডেট টাইম : ১১:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে তৃতীয়
ধাপের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ঘিডোব কেন্দ্র এলাকায় গুলিতে
তিনজনের মৃত্যু হয়। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। শোক সামলে ওঠার আগেই
পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঘিডোব গ্রামের অজ্ঞাতনামা প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে
আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। পীরগঞ্জ থানায় করা এই মামলায় গ্রেপ্তার
হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঘিটোব গ্রামের অনেক পুরুষ।সনগাও ইউনিয়নের ঘিডোব গ্রামে গেলে দেখা যায়, ঘিটোব সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে গুলির ছিদ্র ও যেখানে সেখানে রক্তের চিহ্ন। যা
আগের রাতের সহিংসতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। স্কুলটি এবার ভোট কেন্দ্র হিসেবে
ব্যবহার করা হয়েছিলো। কেন্দ্রর আশেপাশের এলাকায় থমথমে নিস্তব্ধ পরিবেশ।
কেউ কান্না করতে চাইলেও হয়তো শব্দের ভয়ে চেপে রেখেছে। অপরিচিত মানুষ
দেখলেই ভয়ে সরে যেতে চাইছে। এছাড়াও গ্রাম ঘুরে কিছু ষাটোর্ধ বৃদ্ধ ছাড়া
আর কোনো পুরুষ মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, ঘিডোব শান্ত প্রকৃতির একটি গ্রাম
ছিলো। কিন্তু ভোটের সঠিক ফলাফলের দাবি করাই আমাদের হয়তো ভুল হয়েছে। আমরা
সংঘাত চাইনি। তবুও এই নির্বাচনটি আমাদের জন্যে দুঃস্বপ্নের মত এসেছে।
এই নারী জানান, পুলিশ বিজিবির গুলি বর্ষণের পরেই অনেকে গ্রাম ছেড়ে
পালিয়েছে। তবে মামলা হওয়ার পর থেকে সম্পুর্ণ গ্রামই পুরুষ শূন্য হয়ে
গেছে। আমরা নারীরাও ভয় পাচ্ছি। আমরাও নিজেদের নিয়ে আটকের শঙ্কায় আছি। তবে
বাড়ি ভিটার মায়ায় যেতে পারনি।
তিনি বলেন, আমরাই মরলাম আবার আমরাই মামলার শিকার হলাম। স্বজন হারানোর
ব্যথা আমাদের, আবার গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদেরকেই থাকতে হচ্ছে। আহত স্বজনের
চিকিৎসার খরচ আমাদের নিম্ন আয়ে সম্ভব না। উপরন্তু পালিয়ে থাকায় খাবারের
জন্যে অর্থ উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন শান্তির জীবনের আশাও ভুলে যেতে
হচ্ছে।
এই বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,
থানা পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে
এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।