ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

নির্বাচনী ফলাফল অনিয়মের প্রতিবাদে চাপড়া সরমজানী ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / ২১৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টারঃনির্বাচনী ফলাফল অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১৪ নং চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মোঃ গাজী বকুল।গত সোমবার(১৫ ই নভেম্বর) বিকালে চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের, বেড়াডাণ্ডা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ১১ নভেম্বর নীলফামারী সদর উপজেলার ১৪ নং চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে আমি ইউপি সদস্য পদে ফুটবল মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় উক্ত কেন্দ্রের লিখিত ফলাফল হস্তান্তর করার গুরুত্বর হিসেব গড়মিল করেন প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমার ।
শুধু তাই নয়- গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি ভোটের কোনো ধরণের হিসাব না দিয়েই একজন পছন্দের প্রার্থীকে ৮৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে এমনটি দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করে চলে যান। সেই সাথে অভিযোগকারী মেম্বার পদপ্রার্থী গাজী বকুলকে ওই
হাফেজ মোঃ আজাহারুল ইসলাম কে তালা প্রতিকে বিজয়ীর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী দেখানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ৫ নং ওয়ার্ডে সর্ব মোট ভোট ২০৭৩ টি, প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমারের লিখিত রেজাল্ট শীটে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট দেখানো হয় , প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত বৈধ ভোটের মোট সংখ্যা ১৬৯৪, অবৈধ ও বাতিল ভোট ১৩৪=১৮২৮ মোট উপস্থিতি।
ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোটের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত বৈধ ভোটের মোট সংখ্যাঃ১৪৭৩ অবৈধ ও বাতিল ভোট ৩৫৫=১৮২৮ মোট উপস্থিতি। ও অনুপস্থিত ভোটের সংখ্যা ২৪৫ করে দেখানো হয়।প্রাপ্ত ভোট, বাতিল ভোট, মোট উপস্থিতি ১৮২৮ হিসেব করে অনুপস্থিত ভোটারের সংখ্যা ২৪৫ যথাযথ ভাবে দেখানো হলেও
মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত, বাতিল, মোট উপস্থিতি সংখ্যা হিসেবে রয়েছে ব্যাপক গরমিল। তিনজন মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় সর্বমোট ১৬৪৮ অবৈধ ও বাতিল ভোট ১০৫=১৭৫৩ হলেও যোগফল ১৮২৮ উল্লেখ করে লিখিত ভুল রেজাল্ট দিয়ে চলে যায়।১৭৫৩ থেকে ১৮২৮ মিলাতে ৭৫ ভোটের কোনো হিসাব না দিয়েই চলে যায়।
গাজী বকুলের পোলিং এজেন্ট মোঃ মোতাহার হোসেন ও প্রায় একই দাবী করেন। তিনি বলেন- কেন্দ্রে সেদিন আরও তিনজন প্রার্থীর এজেন্ট ছিলো। আমি পূনরায় ভোট গননা করতে বললে প্রিজাইডিং অফিসার তা করেননি উল্টো আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তী উপজেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার মোঃ আফতাব উজ্জামান সাক্ষরিত রেজাল্টে সর্বমোট ১৭২৩ ভোট দেখিয়ে রেজাল্ট প্রকাশ করেন। সেই হিসাব মোতাবেক ১০৫ ভোটের গরমিল দেখা যায়, মেম্বার পদপ্রার্থী গাজী বকুলের দাবি এই ১০৫ ভোট গেলো কোথায়?
এবং অনুপস্থিত ভোটারের ক্ষেত্রেও বসানো হয়েছে এক ভুতুড়ে সংখ্যা। যা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে ১০৫টি ভোটের কোনো হিসেব না মিলিয়েই ফলাফল ঘোষণা করে প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমার।লোক মারফত এ ঘটনা জানতে পেরে ১১ই নভেম্বর দিবাগত রাত্রে আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেই। তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং হল রুমে যাইতে বলেন।তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি আমার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সঙ্গে নিয়ে ১২ ই নভেম্বর নীলফামারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার বক্তব্য সংবাদপত্রের মধ্যে তুলে ধরে নির্বাচনের ফলাফল পূর্ণ গণনা চাই এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাই। এসময় চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমারের সাথে মুটো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাহার মুটো ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী ফলাফল অনিয়মের প্রতিবাদে চাপড়া সরমজানী ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃনির্বাচনী ফলাফল অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১৪ নং চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মোঃ গাজী বকুল।গত সোমবার(১৫ ই নভেম্বর) বিকালে চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের, বেড়াডাণ্ডা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ১১ নভেম্বর নীলফামারী সদর উপজেলার ১৪ নং চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে আমি ইউপি সদস্য পদে ফুটবল মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় উক্ত কেন্দ্রের লিখিত ফলাফল হস্তান্তর করার গুরুত্বর হিসেব গড়মিল করেন প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমার ।
শুধু তাই নয়- গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি ভোটের কোনো ধরণের হিসাব না দিয়েই একজন পছন্দের প্রার্থীকে ৮৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে এমনটি দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করে চলে যান। সেই সাথে অভিযোগকারী মেম্বার পদপ্রার্থী গাজী বকুলকে ওই
হাফেজ মোঃ আজাহারুল ইসলাম কে তালা প্রতিকে বিজয়ীর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী দেখানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ৫ নং ওয়ার্ডে সর্ব মোট ভোট ২০৭৩ টি, প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমারের লিখিত রেজাল্ট শীটে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট দেখানো হয় , প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত বৈধ ভোটের মোট সংখ্যা ১৬৯৪, অবৈধ ও বাতিল ভোট ১৩৪=১৮২৮ মোট উপস্থিতি।
ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোটের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত বৈধ ভোটের মোট সংখ্যাঃ১৪৭৩ অবৈধ ও বাতিল ভোট ৩৫৫=১৮২৮ মোট উপস্থিতি। ও অনুপস্থিত ভোটের সংখ্যা ২৪৫ করে দেখানো হয়।প্রাপ্ত ভোট, বাতিল ভোট, মোট উপস্থিতি ১৮২৮ হিসেব করে অনুপস্থিত ভোটারের সংখ্যা ২৪৫ যথাযথ ভাবে দেখানো হলেও
মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত, বাতিল, মোট উপস্থিতি সংখ্যা হিসেবে রয়েছে ব্যাপক গরমিল। তিনজন মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন কর্তৃক প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় সর্বমোট ১৬৪৮ অবৈধ ও বাতিল ভোট ১০৫=১৭৫৩ হলেও যোগফল ১৮২৮ উল্লেখ করে লিখিত ভুল রেজাল্ট দিয়ে চলে যায়।১৭৫৩ থেকে ১৮২৮ মিলাতে ৭৫ ভোটের কোনো হিসাব না দিয়েই চলে যায়।
গাজী বকুলের পোলিং এজেন্ট মোঃ মোতাহার হোসেন ও প্রায় একই দাবী করেন। তিনি বলেন- কেন্দ্রে সেদিন আরও তিনজন প্রার্থীর এজেন্ট ছিলো। আমি পূনরায় ভোট গননা করতে বললে প্রিজাইডিং অফিসার তা করেননি উল্টো আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তী উপজেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার মোঃ আফতাব উজ্জামান সাক্ষরিত রেজাল্টে সর্বমোট ১৭২৩ ভোট দেখিয়ে রেজাল্ট প্রকাশ করেন। সেই হিসাব মোতাবেক ১০৫ ভোটের গরমিল দেখা যায়, মেম্বার পদপ্রার্থী গাজী বকুলের দাবি এই ১০৫ ভোট গেলো কোথায়?
এবং অনুপস্থিত ভোটারের ক্ষেত্রেও বসানো হয়েছে এক ভুতুড়ে সংখ্যা। যা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে ১০৫টি ভোটের কোনো হিসেব না মিলিয়েই ফলাফল ঘোষণা করে প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমার।লোক মারফত এ ঘটনা জানতে পেরে ১১ই নভেম্বর দিবাগত রাত্রে আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেই। তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং হল রুমে যাইতে বলেন।তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি আমার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সঙ্গে নিয়ে ১২ ই নভেম্বর নীলফামারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার বক্তব্য সংবাদপত্রের মধ্যে তুলে ধরে নির্বাচনের ফলাফল পূর্ণ গণনা চাই এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাই। এসময় চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার নিরঞ্জন কুমারের সাথে মুটো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাহার মুটো ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।