ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আগামীতে সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ শিক্ষার্থীদের রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা খালেদা জিয়াকে সুখবর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: ড. ইউনূস পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হকের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগেও নেই প্রতিকার নেতানিয়াহুর বাসভবনে বোমা হামলা ড. ইউনূসের কাছে কী আশা যুক্তরাজ্যের, জানালেন মন্ত্রী ক্যাথরিন পুলিশ সংস্কার কমিশনের অনলাইন জনমত ২০ হাজার মতামত, বেশির ভাগই ৫৪ ধারা বিলোপের পক্ষে নিজ এলাকা ও ঢাকা পাঠাগারে বিশেষ আবদানের জন্য পেলেন গুণীজন সংবধর্না “বয়লার ট্রেকনিশিয়ান” শাহাদত হোসেন নাসিরনগরে হত্যা মামলার আসামী সহ ২ জন গ্রেফতার

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, নদীতে হ্যান্ডকাপ পরা লাশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে সুজন সাহা নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় হাঁড়িদোয়া নদী থেকে জাল ফেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে শহরের হাজিপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন সাহা (২২) হাজিপুর দাসপাড়া এলাকার অজিত সাহার ছেলে। তিনি শেকেরচরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।

নিহতের স্বজনদের দাবি, গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে বেদম প্রহার করে। এতে তার মৃত্যু হলে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সুজনকে গ্রেফতারের পর থানায় নেওয়ার সময় পথে সে  হ্যান্ডকাপ অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল মাইনুল আহত হয়েছেন।

নিহতের বাবা আজিত সাহা বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ সুজনের খোঁজের তার বাসায় যায়। তখন দরজা খুলতে না চাইলে পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। পরে তাকে ফোন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলে। পরে মঙ্গলবার সকালে ব্রাক্ষন্দী থেকে তাকে ধরে হাজিপুর বাবুলের চানাচুর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যার পর তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে হাজিপুরের হাঁড়িদোয়া নদীতে জাল ফেলে তাকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সুজনের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। সেই ওয়ারেন্ট তামিল করতে তাকে হাজিপুরের চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে সুজনকে থানায় নেওয়ার পথে সে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, সুজন একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই, মারামারিসহ ১০টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থানায় নেওয়ার সময় সুজন পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তখন সে নদীতে তলিয়ে যায়। সেখানে কোনো কিছুতে আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তা ছাড়া পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে সুজন সদর মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল মাইনুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, নদীতে হ্যান্ডকাপ পরা লাশ

আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে সুজন সাহা নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় হাঁড়িদোয়া নদী থেকে জাল ফেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে শহরের হাজিপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন সাহা (২২) হাজিপুর দাসপাড়া এলাকার অজিত সাহার ছেলে। তিনি শেকেরচরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।

নিহতের স্বজনদের দাবি, গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে বেদম প্রহার করে। এতে তার মৃত্যু হলে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সুজনকে গ্রেফতারের পর থানায় নেওয়ার সময় পথে সে  হ্যান্ডকাপ অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল মাইনুল আহত হয়েছেন।

নিহতের বাবা আজিত সাহা বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ সুজনের খোঁজের তার বাসায় যায়। তখন দরজা খুলতে না চাইলে পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। পরে তাকে ফোন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলে। পরে মঙ্গলবার সকালে ব্রাক্ষন্দী থেকে তাকে ধরে হাজিপুর বাবুলের চানাচুর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যার পর তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে হাজিপুরের হাঁড়িদোয়া নদীতে জাল ফেলে তাকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সুজনের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। সেই ওয়ারেন্ট তামিল করতে তাকে হাজিপুরের চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে সুজনকে থানায় নেওয়ার পথে সে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, সুজন একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই, মারামারিসহ ১০টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থানায় নেওয়ার সময় সুজন পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তখন সে নদীতে তলিয়ে যায়। সেখানে কোনো কিছুতে আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তা ছাড়া পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে সুজন সদর মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল মাইনুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।