ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশের এস আই কে হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া, আটক ৫

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন বাঘা রাজশাহী পতিনিধি।।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এসআইকে হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া করার পর তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছেন পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুল হক মিলন জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে পুঠিয়ার ফুলবাড়ি বাজারে চা স্টলের মালিক শহীদুলের সাথে পাশের দোকান এর মালিক মিজানুরের সাথে চা স্টলের চুলার ধোঁয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শহীদুলের লোকজন মিজানুর ও তার ছেলে শাহীন এবং ভাতিজা সাব্বিরকে মিজানুরকে বেপরোয়া মারধর করে। এ ঘটনার সময় মিজানুরের বড় ভাই মো: শহিদুল সেখানে গিয়ে গ্যাঞ্জাম ছাড়িয়ে দিতে গেলে তাকেও এরা মারধর করে। পরে মিজানুর ও শহিদুল কে দেখে তাদের গুষ্টির সকলে সেখানে এগিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে শহিদুল ও তার ছেলে শাহিন এবং তার ভাতিজা সাব্বিরকে তারাও বেপরোয়া মারধর করে। এবং এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। এবং তারা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে থানার এসআই স্বপন জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিকাল ৪ টার দিকে থানার এসআই স্বপন প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান।

এসময় মিজানুরের পক্ষ নিয়েছে বলে স্বপনকে বেপরোয়া ভাষায় গালিগালাজ ও তার প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এবং এসআই স্বপনকে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তার ওপর থেকে মাঠের মধ্যে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। পরে এসআই স্বপন বিষয়টি থানায় জানালে পরবর্তীতে পুনরায় আবার ফোর্স পাঠানো হয়।এ সময় মামুন নামের এক ব্যক্তি ধারালো হাসুয়া নিয়ে এএসআই চন্দনকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে জীবন বাঁচান। এবং সে সময় এসআই স্বপন এর হাত থেকে মামুনের বড় ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করেন। পরে পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া ও থানার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশিও অস্ত্র হাসুয়াসহ মামুন, ছিনতাইকারী শফিকুল, ব্যবসায়ী সবুজ, ইমরান ও খাইরুল নামের পাঁচজনকে আটক করেন। এসময় পুলিশের ছিনতাই হওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়ার ভালুকগাছী ইউপি চেয়ারম্যান তাকবির হাসান জানান, আমি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে ছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজনের মুখে ঘটনাটি শুনেছি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এবং যারা এই সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশের এস আই কে হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া, আটক ৫

আপডেট টাইম : ০৮:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন বাঘা রাজশাহী পতিনিধি।।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এসআইকে হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া করার পর তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছেন পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুল হক মিলন জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে পুঠিয়ার ফুলবাড়ি বাজারে চা স্টলের মালিক শহীদুলের সাথে পাশের দোকান এর মালিক মিজানুরের সাথে চা স্টলের চুলার ধোঁয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শহীদুলের লোকজন মিজানুর ও তার ছেলে শাহীন এবং ভাতিজা সাব্বিরকে মিজানুরকে বেপরোয়া মারধর করে। এ ঘটনার সময় মিজানুরের বড় ভাই মো: শহিদুল সেখানে গিয়ে গ্যাঞ্জাম ছাড়িয়ে দিতে গেলে তাকেও এরা মারধর করে। পরে মিজানুর ও শহিদুল কে দেখে তাদের গুষ্টির সকলে সেখানে এগিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে শহিদুল ও তার ছেলে শাহিন এবং তার ভাতিজা সাব্বিরকে তারাও বেপরোয়া মারধর করে। এবং এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। এবং তারা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে থানার এসআই স্বপন জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিকাল ৪ টার দিকে থানার এসআই স্বপন প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান।

এসময় মিজানুরের পক্ষ নিয়েছে বলে স্বপনকে বেপরোয়া ভাষায় গালিগালাজ ও তার প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এবং এসআই স্বপনকে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তার ওপর থেকে মাঠের মধ্যে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। পরে এসআই স্বপন বিষয়টি থানায় জানালে পরবর্তীতে পুনরায় আবার ফোর্স পাঠানো হয়।এ সময় মামুন নামের এক ব্যক্তি ধারালো হাসুয়া নিয়ে এএসআই চন্দনকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে জীবন বাঁচান। এবং সে সময় এসআই স্বপন এর হাত থেকে মামুনের বড় ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করেন। পরে পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া ও থানার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশিও অস্ত্র হাসুয়াসহ মামুন, ছিনতাইকারী শফিকুল, ব্যবসায়ী সবুজ, ইমরান ও খাইরুল নামের পাঁচজনকে আটক করেন। এসময় পুলিশের ছিনতাই হওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়ার ভালুকগাছী ইউপি চেয়ারম্যান তাকবির হাসান জানান, আমি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে ছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজনের মুখে ঘটনাটি শুনেছি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এবং যারা এই সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।