ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

বান্দরবানে অস্ত্র আইনে যুবকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / ২২২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বান্দরবান প্রতিনিধি।।

বুধবার দুপুরে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফ এ রায় দেন।

আসামি সাচিং মং মারমা রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া রাবার বাগান এলাকার বাসিন্দা। সে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তপন কুমার দাস এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেদারুল আলম জানান, অস্ত্র আইনে আটক যুবক সাচিং মং মারমাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২০১১ সালের ৩ জুলাই অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা বাহিনী দুজনকে আটক করেছিল। অপর আসামি শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ জুলাই বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চাকমাপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত টহল দল দেখে পালানোর চেষ্টা করে দুজন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গুংরু আগাপাড়া এলাকায় সেগুন বাগান থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

অস্ত্রগুলো হচ্ছে— দুটি চাইনিজ রাইফেল, সাত রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের তাজা গুলি, চার রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, ৯৫ রাউন্ড এমএম রাইফেলের তাজা গুলি, ২৫ রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, দুই সেট সেনা বাহিনীর আদলে জলপাই রঙের পোশাক, দুই সেট গুলি-ম্যাগজিন বাউন্ডুলারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।

এ ঘটনায় সেনাবাহিনী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক দুই আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আসামিরা হলেন— সাচিং মং মারমা এবং শিশু নেউ মারমা। তাদের অস্ত্র আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়।

আসামিদের মধ্যে সাচিং মং মারমা বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা, খুন ইত্যাদি অভিযোগে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। অপর আসামি নেউ মারমা শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

তবে অস্ত্র আইনে বিশেষ ট্রাইবুনাল মামলা নং-২০/২০১১-এর মূল আসামি সাচিং মং মারমাকে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ, সাক্ষী এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত ১৫ বছরে সশস্ত্র কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বান্দরবানে অস্ত্র আইনে যুবকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ১১:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

বান্দরবান প্রতিনিধি।।

বুধবার দুপুরে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফ এ রায় দেন।

আসামি সাচিং মং মারমা রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া রাবার বাগান এলাকার বাসিন্দা। সে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তপন কুমার দাস এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেদারুল আলম জানান, অস্ত্র আইনে আটক যুবক সাচিং মং মারমাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২০১১ সালের ৩ জুলাই অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা বাহিনী দুজনকে আটক করেছিল। অপর আসামি শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ জুলাই বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চাকমাপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত টহল দল দেখে পালানোর চেষ্টা করে দুজন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গুংরু আগাপাড়া এলাকায় সেগুন বাগান থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

অস্ত্রগুলো হচ্ছে— দুটি চাইনিজ রাইফেল, সাত রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের তাজা গুলি, চার রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, ৯৫ রাউন্ড এমএম রাইফেলের তাজা গুলি, ২৫ রাউন্ড মিস ফায়ার্ড গুলি, দুই সেট সেনা বাহিনীর আদলে জলপাই রঙের পোশাক, দুই সেট গুলি-ম্যাগজিন বাউন্ডুলারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।

এ ঘটনায় সেনাবাহিনী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক দুই আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আসামিরা হলেন— সাচিং মং মারমা এবং শিশু নেউ মারমা। তাদের অস্ত্র আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়।

আসামিদের মধ্যে সাচিং মং মারমা বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা, খুন ইত্যাদি অভিযোগে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। অপর আসামি নেউ মারমা শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

তবে অস্ত্র আইনে বিশেষ ট্রাইবুনাল মামলা নং-২০/২০১১-এর মূল আসামি সাচিং মং মারমাকে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ, সাক্ষী এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত ১৫ বছরে সশস্ত্র কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।