ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

ইউপি নির্বাচনে দলের কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষিত বিদ্রোহীরাই আ.লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল

  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ২০৪ ৫০০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেপরোয়া। দলের হাইকমান্ডের একাধিকবার কঠোর নির্দেশনার পরও থেমে নেই তারা।

প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও অধিকাংশ ইউপিতেই মাঠে রয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা (বিদ্রোহী)। এতে তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।

বিভিন্ন স্থানে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন অসংখ্য।

এমন অবস্থায় একরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। কারণ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু আগের মতোই দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে এখনই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থায় যাচ্ছে না।

এক্ষেত্রে একরকম ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ করা হচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরাই। সরকারি দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা যায় এসব তথ্য।

আরও জানা যায়, টানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা এবং বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এখনো একক প্রার্থী দিতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাবি-স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং এবং কেন্দ্রে নাম পাঠানোর সময় স্বজনপ্রীতি ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এ কারণে নিজেদের ‘অধিক জনপ্রিয়’ দাবি করে মাঠ ছাড়ছেন না তারা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, বিদ্রোহীদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান কঠোর। এবার কিন্তু আমরা আগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিইনি।

এবার যারা নির্বাচন করছেন, তারাও আর ভবিষ্যতে দলের মনোনয়ন ও দলীয় বড় কোনো পদ পাবেন না। এই বার্তা ভালো কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, এখনো যারা বিদ্রোহী আছেন, আমরা চেষ্টা করছি তাদের বসাতে। আমাদের জেলা-উপজেলার নেতারা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

তাদের বোঝাচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবার আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী বেড়েছে। বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ থাকত বলেও মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগান্তরকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। সুতরাং কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিতে হয়। চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া যায় না। কিন্তু কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে বা সংঘর্ষে জড়ায়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একক প্রার্থী নিশ্চিতে কাজ করছি। এখনো সময় আছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ চাইলে সরে দাঁড়াতে পারে।

দলীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে আাওয়ামী লীগের কেন্দ্রে। এসব অভিযোগে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এরপরও নানা কৌশলে ‘বিতর্কিতরা’ দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন অনেক বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যেন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে, সেদিকে শুরু থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারণী মহল। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যা-ই থাকুক সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এর মধ্যে ৮৯টি ইউপিতে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। প্রথম ধাপের ৮টি ও দ্বিতীয় ধাপের ৮১ ইউপিতে নৌকার কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এই ৮৯ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।

পাশাপাশি দ্বিতীয় ধাপে অন্তত ১৬ জন প্রার্থী পরিবর্তন করেছিল আওয়ামী লীগ। এত কিছুর পরও বিদ্রোহীদের নির্বাচনি মাঠ থেকে সরাতে পারেনি দলটি।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৯৪৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন মাত্র আড়াইশর মতো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

অন্যদিকে ৮১ ইউনিয়নে প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এসব ইউনিয়ন পরিষদ বাদ দিলে বাকি ৭৬৭ ইউপিতে এখনো প্রায় সাত শ বিদ্রোহী মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম ধাপে ২৮৬ ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছিলেন শতাধিক।

রাজশাহীর ১৬ ইউপিতে ৪২ প্রার্থী : রাজশাহী ব্যুরো জানান, গোদাগাড়ী ও তানোরের ১৬ ইউপিতে মোট প্রার্থী ৫৫ জন। মনোনয়ন কারসাজির ফলে ইতোমধ্যে গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ, পাকড়ি এবং তানোরের সরনজাই ইউপিতে নৌকার প্রার্থী নেই। ১৬ ইউপিতে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের অন্তত ৪২ জন নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে রয়েছেন।

তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাতে সমানে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউপিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল করিম শিবলী। সেখানে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা। তার দাবি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন। কিন্তু তাকে ভোট থেকে সরাতে নানা ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে।

গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউপিতে শফিকুল ইসলাম বেকায়দায় পড়েছেন বিদ্রোহীর চাপে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, তৃণমূল নেতাকর্মীদের একচেটিয়া সমর্থন তার পক্ষে।

রিশিকুল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোখলেসুর রহমান মুকুলকেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। মুকুল জানান, ভোটে কারচুপি না হলে তিনি বিপুল ভোটে হারাবেন মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম টুলুকে।

তানোর উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে কামারগাঁও ইউপির প্রার্থী ফজলে রাব্বী ফরহাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোসলেম উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমার জয় সুনিশ্চিত। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার কলমা ইউপিতে বিদ্রোহী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুন্নবী বাবু চৌধুরী।

পাঁচন্দর ইউপিতে বিদ্রোহী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের দাবি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তিনি নৌকার প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জিতবেন।

নওগাঁয় ২০ ইউপিতে ৪২ বিদ্রোহী : নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, জেলার ২০টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের ৪২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২৭ জন, রানীনগর ৮টি ইউনিয়নে ১৫ জন।

রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-খট্টেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা নজমুল হক, কাশিমপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান। গোনা ইউনিয়নে আব্দুল অরিফ রাঙ্গা, সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, আবু শাহিন।

পারইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সুজিত কুমার সাহা ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক। বড়গাছা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মল্লিক। কালিগ্রাম ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁদ। একডালা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজার রহমান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন। মিরাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম ও আওয়ামী লীগ নেতা ফাকরুল হাসান।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, দলীয় মনোনয়ন প্রদানে অনেক ইউনিয়নে হয়তো তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিল করা বিদ্রোহী প্রার্থী সংখ্যা আমাদের দলে বেশি। তবে দলের মনোনয়ন বোর্ড যাদের মনোনীত করেছেন, তাদেরকেই মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।

যশোরের ২০ ইউপিতে বিদ্রোহী ২৭ : যশোর ব্যুরো জানান, যশোরের চৌগাছার দুটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২০টির মধ্যে ১৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এদের একজন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকিরা বুধবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’

জানা যায়, চৌগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৩৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে আছেন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ফুলসারা ইউনিয়নে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ও চৌগাছা সদর ইউনিয়নে আবুল কাশেম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটের মাঠে আছেন ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থী।

পাশাপোল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী অবাইদুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে লড়ছেন সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা শাহীন রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতলেব।

সিংহঝুলি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান রেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মোহাম্মদ বাদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল হামিদ মল্লিক। ধুলিয়ানী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এসএম আব্দুস সবুরকে ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এসএম মোমিনুর রহমান ও আলাউদ্দীন। জগদীশপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তবিবর রহমান খানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আজাদুর রহমান খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম।

স্বরুপদাহ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সানোয়ার হোসেন বকুলকে ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কদর, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম খোকন। নারায়ণপুরে ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী শাহিনুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুৎ। সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রাথী বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মাকাপুর বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম। বিগত ইউপি নির্বাচনেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।

অপরদিকে, ঝিকরগাছার ১১ ইউনিয়নের ৮টিতে ১৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে নৌকার আমিনুর রহমানের বিদ্রোহী বদর উদ্দীন, শহিদুল ইসলাম, আতাউর রহমান ঝন্টু ও শাহেদুর রহমান। মাগুরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের বিদ্রোহী ওবায়দুর রহমান ও একেএম গিয়াস উদ্দীন। যদিও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন।

শিমুলিয়া ইউনিয়নে নৌকার মতিয়ার রহমান সরদার বিদ্রোহী জহুরুল হক। গদখালী ইউনিয়নে আশরাফ উদ্দীনের নৌকার বিদ্রোহী প্রিন্স আহম্মেদ, শাহাজান আলী ও সহিদুল ইসলাম। পানিসারা ইউনিয়নে নওশের আলীর নৌকার বিদ্রোহী জাকির হোসেন।

সাহারবাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মশিউর রহমান। বিদ্রোহী প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম টুটুল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন বাবুল হোসেন। বামুন্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ওবায়দুর রহমান কমল। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন হবিবর রহমান হবি, আজিজুল হক বিশ্বাস, আবদুল আওয়াল ও সম্রাট বিশ্বাস। তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা। মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবুল হাসেম বিশ্বাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহেল আহমেদ।

মাগুরায় ১৩ ইউপির ৭টিতে ১০ বিদ্রোহী : মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরায় দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর। নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি (কুচিয়ামোড়া, জগদল, আঠারখাদা, মঘি, কছুন্দি, বেরইল পলিতা ও রাঘবদাইড়) ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থি হিসাবে মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন দুজন। তারা হলেন-গতবারের চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা টিপু সুলতান।

জগদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন দুজন। তার হলেন-ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং জাহিদ হাসান। আঠারখাদা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন এবং অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। মঘি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান রনজু। রাঘবদাইড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব নান্টু। কছুন্দি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগ নেতা বাকি বিল্লাহ সান্টু। বেরইল পলিতা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক রাজা।

ফুলবাড়িয়ায় ১৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৬ বিদ্রোহী : ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, আ.লীগের ১৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে না দাঁড়ালে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে বলে মনে করছেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা। নাওগাঁও ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হোসেন। পুটিজানা ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. ময়েজ উদ্দিন তরফদার, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম আব্দুল্লাহ।

কুশমাইল ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী শামছুল হক, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল বাতেন পুলু। দেওখোলা ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বাবলু, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন। ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রুহুল আমীন, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা জয়নাল আবেদিন বাদল, মৎস্যজীবী লীগ নেতা মো. আতাহার আলী, আ.লীগ নেতা সিরাজুল হক।

বাকতা ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক সোহেল, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মির্জা মো. কামরুজ্জামান, বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের উপদেষ্টা শাহজাহান সিরাজ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। এনায়েতপুর ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. বুলবুল হোসেন, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মো. আ. সালাম।

কালাদহ ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. ইমান আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মাস্টার, আ.লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম। রাধাকানাই ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের কোষাধক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া তরফদার, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সারওয়ার আলম।

ভবানীপুর ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী আ.লীগ নেতা মো. জবান আলী সরকার, বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. আজহারুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা ডা. কামরুজ্জামান। উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেবিএম আমিনুল ইসলাম খাইরুল বলেন, দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাকাইলছেও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন। শিবপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. তফছির মিয়া। এখানে বিদ্রোহী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন মো. আলী আমজাদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম ও নলিউর রহমান তালুকদার।

বড়াইগ্রামের পাঁচ ইউনিয়নে ৬ বিদ্রোহী : বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, বড়াইগ্রামের পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুজন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ মোট ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। গোপালপুরে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক। এখানে দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। চান্দাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহনাজ পারভীন। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা মহিলা আ.লীগের সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জোহা। বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক মমিন আলী।

এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মাসুদ রানা মান্নান। জোনাইলে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইলের ২০টি ইউপিতে বিদ্রোহী ১২ : টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২ বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ আলম, যদুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খলিলুর রহমান, পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরশেদ আলী ও জাহাঙ্গীর আলম, দেলদুয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু তাহের তালুকদার বাবলু, আতিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাজ্জাদ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, এলাসিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মানিক রতন, ডুবাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম ফেরদৌস, কাকড়াজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুলাল হোসেন, বহুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নূরে আলম মুক্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার সদর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনে দ্বিতীয় ধাপে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৭টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

তারা হলেন-পালং ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম খান, আংগারিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, তুলাসার ইউনিয়নে মো. জাহিদ ফকির, রুদ্রকর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান ঢালী, ডোমসারে মাস্টার মজিবুর রহমান খান, মাহমুদপুর ইউনিয়নে মো. শাজাহান ঢালী, শাহীন তালুকদার, আলী হোসন, শৌলপাড়া ইউনিয়নে ইয়াসিন হাওলাদার, আব্দুল মান্নান খান ভাসানী।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, জেলার সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের মরহুম সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম ডন ও আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ হাসান আকবর।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউপি নির্বাচনে দলের কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষিত বিদ্রোহীরাই আ.লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেপরোয়া। দলের হাইকমান্ডের একাধিকবার কঠোর নির্দেশনার পরও থেমে নেই তারা।

প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও অধিকাংশ ইউপিতেই মাঠে রয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা (বিদ্রোহী)। এতে তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।

বিভিন্ন স্থানে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন অসংখ্য।

এমন অবস্থায় একরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। কারণ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু আগের মতোই দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে এখনই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থায় যাচ্ছে না।

এক্ষেত্রে একরকম ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ করা হচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরাই। সরকারি দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা যায় এসব তথ্য।

আরও জানা যায়, টানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা এবং বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এখনো একক প্রার্থী দিতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাবি-স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং এবং কেন্দ্রে নাম পাঠানোর সময় স্বজনপ্রীতি ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এ কারণে নিজেদের ‘অধিক জনপ্রিয়’ দাবি করে মাঠ ছাড়ছেন না তারা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, বিদ্রোহীদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান কঠোর। এবার কিন্তু আমরা আগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিইনি।

এবার যারা নির্বাচন করছেন, তারাও আর ভবিষ্যতে দলের মনোনয়ন ও দলীয় বড় কোনো পদ পাবেন না। এই বার্তা ভালো কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, এখনো যারা বিদ্রোহী আছেন, আমরা চেষ্টা করছি তাদের বসাতে। আমাদের জেলা-উপজেলার নেতারা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

তাদের বোঝাচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবার আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী বেড়েছে। বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ থাকত বলেও মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগান্তরকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। সুতরাং কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিতে হয়। চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া যায় না। কিন্তু কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে বা সংঘর্ষে জড়ায়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একক প্রার্থী নিশ্চিতে কাজ করছি। এখনো সময় আছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ চাইলে সরে দাঁড়াতে পারে।

দলীয় সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে আাওয়ামী লীগের কেন্দ্রে। এসব অভিযোগে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এরপরও নানা কৌশলে ‘বিতর্কিতরা’ দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন অনেক বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যেন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে, সেদিকে শুরু থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারণী মহল। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যা-ই থাকুক সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এর মধ্যে ৮৯টি ইউপিতে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। প্রথম ধাপের ৮টি ও দ্বিতীয় ধাপের ৮১ ইউপিতে নৌকার কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এই ৮৯ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।

পাশাপাশি দ্বিতীয় ধাপে অন্তত ১৬ জন প্রার্থী পরিবর্তন করেছিল আওয়ামী লীগ। এত কিছুর পরও বিদ্রোহীদের নির্বাচনি মাঠ থেকে সরাতে পারেনি দলটি।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৯৪৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন মাত্র আড়াইশর মতো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

অন্যদিকে ৮১ ইউনিয়নে প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এসব ইউনিয়ন পরিষদ বাদ দিলে বাকি ৭৬৭ ইউপিতে এখনো প্রায় সাত শ বিদ্রোহী মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম ধাপে ২৮৬ ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছিলেন শতাধিক।

রাজশাহীর ১৬ ইউপিতে ৪২ প্রার্থী : রাজশাহী ব্যুরো জানান, গোদাগাড়ী ও তানোরের ১৬ ইউপিতে মোট প্রার্থী ৫৫ জন। মনোনয়ন কারসাজির ফলে ইতোমধ্যে গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ, পাকড়ি এবং তানোরের সরনজাই ইউপিতে নৌকার প্রার্থী নেই। ১৬ ইউপিতে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের অন্তত ৪২ জন নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে রয়েছেন।

তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাতে সমানে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউপিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল করিম শিবলী। সেখানে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা। তার দাবি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন। কিন্তু তাকে ভোট থেকে সরাতে নানা ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে।

গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউপিতে শফিকুল ইসলাম বেকায়দায় পড়েছেন বিদ্রোহীর চাপে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, তৃণমূল নেতাকর্মীদের একচেটিয়া সমর্থন তার পক্ষে।

রিশিকুল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোখলেসুর রহমান মুকুলকেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। মুকুল জানান, ভোটে কারচুপি না হলে তিনি বিপুল ভোটে হারাবেন মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম টুলুকে।

তানোর উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে কামারগাঁও ইউপির প্রার্থী ফজলে রাব্বী ফরহাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোসলেম উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমার জয় সুনিশ্চিত। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার কলমা ইউপিতে বিদ্রোহী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুন্নবী বাবু চৌধুরী।

পাঁচন্দর ইউপিতে বিদ্রোহী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের দাবি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে তিনি নৌকার প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জিতবেন।

নওগাঁয় ২০ ইউপিতে ৪২ বিদ্রোহী : নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, জেলার ২০টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের ৪২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২৭ জন, রানীনগর ৮টি ইউনিয়নে ১৫ জন।

রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-খট্টেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা নজমুল হক, কাশিমপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান। গোনা ইউনিয়নে আব্দুল অরিফ রাঙ্গা, সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, আবু শাহিন।

পারইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সুজিত কুমার সাহা ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক। বড়গাছা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মল্লিক। কালিগ্রাম ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁদ। একডালা ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজার রহমান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন। মিরাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম ও আওয়ামী লীগ নেতা ফাকরুল হাসান।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, দলীয় মনোনয়ন প্রদানে অনেক ইউনিয়নে হয়তো তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিল করা বিদ্রোহী প্রার্থী সংখ্যা আমাদের দলে বেশি। তবে দলের মনোনয়ন বোর্ড যাদের মনোনীত করেছেন, তাদেরকেই মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।

যশোরের ২০ ইউপিতে বিদ্রোহী ২৭ : যশোর ব্যুরো জানান, যশোরের চৌগাছার দুটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২০টির মধ্যে ১৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এদের একজন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকিরা বুধবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’

জানা যায়, চৌগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৩৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে আছেন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ফুলসারা ইউনিয়নে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ও চৌগাছা সদর ইউনিয়নে আবুল কাশেম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটের মাঠে আছেন ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থী।

পাশাপোল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী অবাইদুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে লড়ছেন সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা শাহীন রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতলেব।

সিংহঝুলি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান রেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মোহাম্মদ বাদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল হামিদ মল্লিক। ধুলিয়ানী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এসএম আব্দুস সবুরকে ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এসএম মোমিনুর রহমান ও আলাউদ্দীন। জগদীশপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তবিবর রহমান খানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আজাদুর রহমান খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম।

স্বরুপদাহ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সানোয়ার হোসেন বকুলকে ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কদর, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম খোকন। নারায়ণপুরে ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী শাহিনুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুৎ। সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রাথী বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মাকাপুর বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম। বিগত ইউপি নির্বাচনেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।

অপরদিকে, ঝিকরগাছার ১১ ইউনিয়নের ৮টিতে ১৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে নৌকার আমিনুর রহমানের বিদ্রোহী বদর উদ্দীন, শহিদুল ইসলাম, আতাউর রহমান ঝন্টু ও শাহেদুর রহমান। মাগুরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের বিদ্রোহী ওবায়দুর রহমান ও একেএম গিয়াস উদ্দীন। যদিও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন।

শিমুলিয়া ইউনিয়নে নৌকার মতিয়ার রহমান সরদার বিদ্রোহী জহুরুল হক। গদখালী ইউনিয়নে আশরাফ উদ্দীনের নৌকার বিদ্রোহী প্রিন্স আহম্মেদ, শাহাজান আলী ও সহিদুল ইসলাম। পানিসারা ইউনিয়নে নওশের আলীর নৌকার বিদ্রোহী জাকির হোসেন।

সাহারবাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মশিউর রহমান। বিদ্রোহী প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম টুটুল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন বাবুল হোসেন। বামুন্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ওবায়দুর রহমান কমল। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন হবিবর রহমান হবি, আজিজুল হক বিশ্বাস, আবদুল আওয়াল ও সম্রাট বিশ্বাস। তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা। মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবুল হাসেম বিশ্বাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহেল আহমেদ।

মাগুরায় ১৩ ইউপির ৭টিতে ১০ বিদ্রোহী : মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরায় দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর। নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি (কুচিয়ামোড়া, জগদল, আঠারখাদা, মঘি, কছুন্দি, বেরইল পলিতা ও রাঘবদাইড়) ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থি হিসাবে মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন দুজন। তারা হলেন-গতবারের চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা টিপু সুলতান।

জগদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন দুজন। তার হলেন-ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং জাহিদ হাসান। আঠারখাদা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন এবং অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। মঘি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান রনজু। রাঘবদাইড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব নান্টু। কছুন্দি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগ নেতা বাকি বিল্লাহ সান্টু। বেরইল পলিতা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক রাজা।

ফুলবাড়িয়ায় ১৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৬ বিদ্রোহী : ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, আ.লীগের ১৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে না দাঁড়ালে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে বলে মনে করছেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা। নাওগাঁও ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হোসেন। পুটিজানা ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. ময়েজ উদ্দিন তরফদার, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম আব্দুল্লাহ।

কুশমাইল ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী শামছুল হক, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল বাতেন পুলু। দেওখোলা ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বাবলু, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন। ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রুহুল আমীন, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা জয়নাল আবেদিন বাদল, মৎস্যজীবী লীগ নেতা মো. আতাহার আলী, আ.লীগ নেতা সিরাজুল হক।

বাকতা ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক সোহেল, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মির্জা মো. কামরুজ্জামান, বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের উপদেষ্টা শাহজাহান সিরাজ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। এনায়েতপুর ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. বুলবুল হোসেন, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি মো. আ. সালাম।

কালাদহ ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. ইমান আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মাস্টার, আ.লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম। রাধাকানাই ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের কোষাধক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া তরফদার, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সারওয়ার আলম।

ভবানীপুর ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী আ.লীগ নেতা মো. জবান আলী সরকার, বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. আজহারুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা ডা. কামরুজ্জামান। উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেবিএম আমিনুল ইসলাম খাইরুল বলেন, দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাকাইলছেও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন। শিবপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. তফছির মিয়া। এখানে বিদ্রোহী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন মো. আলী আমজাদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম ও নলিউর রহমান তালুকদার।

বড়াইগ্রামের পাঁচ ইউনিয়নে ৬ বিদ্রোহী : বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, বড়াইগ্রামের পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুজন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ মোট ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। গোপালপুরে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক। এখানে দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম খান এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। চান্দাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহনাজ পারভীন। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা মহিলা আ.লীগের সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জোহা। বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক মমিন আলী।

এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মাসুদ রানা মান্নান। জোনাইলে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইলের ২০টি ইউপিতে বিদ্রোহী ১২ : টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২ বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ আলম, যদুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খলিলুর রহমান, পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরশেদ আলী ও জাহাঙ্গীর আলম, দেলদুয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু তাহের তালুকদার বাবলু, আতিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাজ্জাদ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, এলাসিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মানিক রতন, ডুবাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম ফেরদৌস, কাকড়াজান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুলাল হোসেন, বহুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নূরে আলম মুক্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার সদর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনে দ্বিতীয় ধাপে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৭টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

তারা হলেন-পালং ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম খান, আংগারিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, তুলাসার ইউনিয়নে মো. জাহিদ ফকির, রুদ্রকর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান ঢালী, ডোমসারে মাস্টার মজিবুর রহমান খান, মাহমুদপুর ইউনিয়নে মো. শাজাহান ঢালী, শাহীন তালুকদার, আলী হোসন, শৌলপাড়া ইউনিয়নে ইয়াসিন হাওলাদার, আব্দুল মান্নান খান ভাসানী।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, জেলার সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের মরহুম সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম ডন ও আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ হাসান আকবর।