পুরোনো পাপীরা আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে’
- আপডেট টাইম : ০১:৩৯:০৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
- / ২৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক
তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতার এ চরম পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সরকার ও দেশবাসীকে বিপদে ফেলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে পুরোনো পাপীরা আবারও তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে জেলে থাকা কিছু অপরাধী সেখান থেকে বিভিন্ন বার্তা ও নির্দেশনা দিয়ে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা করছে। আমরা এ বিষয়টিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠনে আলেমদের ভূমিকা শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠক থেকে সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনায় দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়।
মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এখনই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। দেশে বর্তমানে যে ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা বিরোধীদলীয় অপশক্তির চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি।
এ সময় জামায়াত, বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীদের দিয়ে মন্দিরে কুরআন রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ‘একেকবার একেক ধরনের পদক্ষেপ’ গ্রহণ করছে। একবার করা হলো হেফাজত নিয়ে, একবার মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে, এখন করা হচ্ছে কুরআন অবমাননা নিয়ে; কোরআনকে আল্লাহতায়ালা অধিক সম্মান দিয়েছেন, সেই কুরআন জামায়াত-বিএনপির লোকজন শিবির-ছাত্রদলের ছেলেদের দিয়ে সেই মন্দিরে রেখে এসে তার অবমাননা করেছে।’
গোলটেবিল বৈঠকে থেকে সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সংবিধান অনুযায়ী ধর্ম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানলে দল-মত নির্বিশেষে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন আলহাজ্ব মো. শাহীন খান, কাজী মাওলানা শাহ মো. ওমর ফারুক, মাওলানা শেখ সোয়াইব, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি ওলিউল্লাহ পাটোয়ারী প্রমুখ