ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না পুলিশের ওপর হামলা: মেঘমল্লার বসুসহ ১২ জনের নামে মামলা অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রত্যায়ন পত্র সাহায্যর আবেদন গুনিয়াউক ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, অনিয়মের ছড়াছড়ি, ইটভাটা গুলোতে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের নওগাঁয় নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করলেন সাহাজুল ইসলাম কোয়াসিম সিদ্দিকী জনী

লালমনিরহাট হাতীবান্ধায় জ্যাঠাকে হত্যার মুল হোতা ভাতিজা গ্রেফতার 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বহুল আলোচিত কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯) পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক  হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা-৭টায় নিজ বাড়ির সামনে ওই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪২) হত্যা কাণ্ডের শিকার হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আব্দুল মালেকের ভাই ভাতিজাসহ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার জ্যাঠার হতাকাণ্ডের সাথে পাশ্বর্বতী একটি পরিবার জড়িত। এই ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে উঠে পরে লাগেন এবং আঃ মালেকের পরিবারের লোকজনসহ আশে পাশের লোকজনকে কঠোর নজরদারীর মধ্যে রাখেন।
এরই পেক্ষিতে ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকেসোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এমন কি  তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেল রানা’র শারিরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জ্যাঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার জেঠাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল রানা। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা জ্যাঠার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। যা শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুড়ি উদ্ধার করোছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যা কাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর সাথে আরো কেও জড়িত আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাট হাতীবান্ধায় জ্যাঠাকে হত্যার মুল হোতা ভাতিজা গ্রেফতার 

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বহুল আলোচিত কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯) পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক  হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা-৭টায় নিজ বাড়ির সামনে ওই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪২) হত্যা কাণ্ডের শিকার হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আব্দুল মালেকের ভাই ভাতিজাসহ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।
মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার জ্যাঠার হতাকাণ্ডের সাথে পাশ্বর্বতী একটি পরিবার জড়িত। এই ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে উঠে পরে লাগেন এবং আঃ মালেকের পরিবারের লোকজনসহ আশে পাশের লোকজনকে কঠোর নজরদারীর মধ্যে রাখেন।
এরই পেক্ষিতে ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকেসোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকাণ্ডে তার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এমন কি  তার স্বীকারউক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেল রানা’র শারিরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জ্যাঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার জেঠাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল রানা। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা জ্যাঠার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। যা শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুড়ি উদ্ধার করোছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যা কাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর সাথে আরো কেও জড়িত আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।