ঢাবিতে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নির্বাচন
- আপডেট টাইম : ০১:১৩:৪০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৬০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর দেয়ালে দেখা মিলছে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনসংবলিত প্রার্থীদের ছবি। অফিসগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রচার। শনিবার অনুষ্ঠেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন সামনে রেখে এসব তৎপরতা।
এই নির্বাচনে ব্যাপক অর্থব্যয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে একেকজন প্রার্থী লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে। এটি প্রতিষ্ঠার পর কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের গুরুত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে কর্মচারী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ভাগ্যের চাকাও ঘুরে গেছে। এতে এই পদে যাওয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করার মতো। কার্যত যে কোনো মূল্যে জয়লাভের বিষয়ে টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করছেন না তারা।
আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৬৬ জন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে যুগান্তরের। নাম প্রকাশ করে তারা কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তারা স্বীকার করেছেন, এই প্রার্থীরা নির্বাচনে ক্ষেত্রবিশেষে আট লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা ব্যয় করছেন। এই ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে পোস্টার, লিফলেট ছাপানো; কর্মীদের আপ্যায়ন ব্যয়। তবে এই টাকার বড় একটা অংশ ব্যয় হয় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে। এছাড়া বাকি ২২টি পদের কোনোটিতে ব্যয় এক লাখ কারও ৫০ হাজার আবার কারও ২০ হাজার। যদিও এসব টাকার উৎস সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে টাকা ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী যুগান্তরকে বলেন, চতুর্থ শ্রেণির নির্বাচন হচ্ছে টাকার খেলা। এখানে টাকা দিয়ে যে ভোট কেনা হয় সেটি ওপেন সিক্রেট।
কীভাবে টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক প্রার্থীর নির্বাচনে জিততে ৮০০ ভোট দরকার। সে বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকা বিবেচনায় ৫০০ প্রার্থীর ভোটের নিশ্চয়তা পেয়েছে। এখন বাকি ৩০০ ভোট ম্যানেজ করার জন্য তিনি কাউকে ১০ হাজার, কাউকে দুই হাজার আবার কাউকে ২০০ টাকাও দিয়ে থাকেন। মূলত এভাবেই টাকার মাধ্যমে ভোট কেনা হয়।