ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

সব সময় আন্দোলন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশি রক্ত দিয়েছে : শেখ হাসিনা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৮৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্য কোনো দলে এটা খুব বেশি পাওয়া যাবে না, আমাদের ছাত্রলীগে সব থেকে বেশি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসলো। তার আগে সে মদদ দিয়েছিলেন খন্দকার মোশতাককে।

পরে মোশতাককে হটিয়ে নিজে রাষ্ট্রপতি হলেন। এরপর তার যে কাজ ছিল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করা। একদিকে তাদের প্রলোভন দিয়ে দলে টানার চেষ্টা আর সেটা না হলে তাদের গুম, খুন-হত্যা করা।

শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করে। অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা তো সক্রিয় ছিল। দেশীয় এবং বিদেশি এজেন্টরা সবসময় সক্রিয় ছিল।

তিনি সাড়ে তিন বছর হাতে যে সময় পেয়েছিলেন এ সময়ে একটা স্বাধীন দেশকে গড়ে তোলার সব কাজের ভিত্তিটাই তিনি তৈরি করে দিয়ে যান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সঞ্চালনা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির হাজারো নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর ইউনিটসহ বিভিন্ন থানা ইউনিটের নেতা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সব সময় আন্দোলন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশি রক্ত দিয়েছে : শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্য কোনো দলে এটা খুব বেশি পাওয়া যাবে না, আমাদের ছাত্রলীগে সব থেকে বেশি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসলো। তার আগে সে মদদ দিয়েছিলেন খন্দকার মোশতাককে।

পরে মোশতাককে হটিয়ে নিজে রাষ্ট্রপতি হলেন। এরপর তার যে কাজ ছিল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করা। একদিকে তাদের প্রলোভন দিয়ে দলে টানার চেষ্টা আর সেটা না হলে তাদের গুম, খুন-হত্যা করা।

শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করে। অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা তো সক্রিয় ছিল। দেশীয় এবং বিদেশি এজেন্টরা সবসময় সক্রিয় ছিল।

তিনি সাড়ে তিন বছর হাতে যে সময় পেয়েছিলেন এ সময়ে একটা স্বাধীন দেশকে গড়ে তোলার সব কাজের ভিত্তিটাই তিনি তৈরি করে দিয়ে যান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সঞ্চালনা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির হাজারো নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর ইউনিটসহ বিভিন্ন থানা ইউনিটের নেতা।