ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায়

নির্মাণের পথে স্বপ্নের ‘শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়’, সহযোগিতার আহবান।

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪৭৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের একটি অবহেলিত জনপদ ‘শোভনছড়ি গ্রাম’। এই গ্রামে বাঙ্গালী-পাহাড়ী মিলে কয়েক’শ পরিবারের বসতি হলেও নেই কোন উচ্চ বিদ্যালয়। কৃষি এই গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের প্রধান পেশা। ভৌগলিক অবস্থান এবং মানুষের নিম্ন আয়ের কারণে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকটা পিছিয়ে। তার উপর আশে-পাশে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীকে ১০ কি.মি দূরে গিয়ে মাধ্যমিকের পাঠ চুকাতে হয়। বরষা-বাদল ছাড়াও পাহাড়ী পথ বেয়ে তীব্র গরমে পায়ে হেঁটে কোমলমতী ছেলে মেয়েদের যেতে হয় স্কুলে ৷ ফলে মাঝপথেই প্রাথমিক শিক্ষার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পড়া-শোনা বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শোভনছড়ির একদল স্বপ্নবাজ তরুণ স্বপ্ন দেখে বিদ্যালয় নির্মাণের, শুরু হয় নানা উদ্যোগ।

উচ্চতর শিক্ষা থেকে এ জনগোষ্ঠীর পিঁছিয়ে পরার অসহায়ত্ব নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করে ‘দৈনিক ফটিকছড়ির খবর’। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিদ্যালয় নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এলাকার বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীরা।

বিদ্যালয় নির্মাণে তহবিলে পরা অনুদানের টাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ৯৬ শতক জায়গার বায়নাপত্র করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় ইউপি সদস‍্যগনের উপস্থিতিতে জমি বিক্রেতা গংদের সাথে বায়নানামা দলিল হয়। জমি গ্রহিতা (প্রস্তাবিত) শোভন ছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি এম. নুরুল আলম নুরু, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল আলম , সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন মেম্বার, অর্থ সম্পাদক মিন্টু কুমার চৌধুরী মেম্বার , হামিদুর রহমান মেম্বার প্রমূখ। বায়নানামার পর সাংগঠনিক কমিটি ও স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে প্রস্তাবিত শোভনছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের নির্ধারিত জায়গায় সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়।

বায়না নামার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূ্রণ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। জায়গা ক্রয়ে আরো বিপুল সংখ্যক অর্থের প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে গঠিত সাংগঠনিক কমিটি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্মাণের পথে স্বপ্নের ‘শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়’, সহযোগিতার আহবান।

আপডেট টাইম : ০৫:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের একটি অবহেলিত জনপদ ‘শোভনছড়ি গ্রাম’। এই গ্রামে বাঙ্গালী-পাহাড়ী মিলে কয়েক’শ পরিবারের বসতি হলেও নেই কোন উচ্চ বিদ্যালয়। কৃষি এই গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের প্রধান পেশা। ভৌগলিক অবস্থান এবং মানুষের নিম্ন আয়ের কারণে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেকটা পিছিয়ে। তার উপর আশে-পাশে কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীকে ১০ কি.মি দূরে গিয়ে মাধ্যমিকের পাঠ চুকাতে হয়। বরষা-বাদল ছাড়াও পাহাড়ী পথ বেয়ে তীব্র গরমে পায়ে হেঁটে কোমলমতী ছেলে মেয়েদের যেতে হয় স্কুলে ৷ ফলে মাঝপথেই প্রাথমিক শিক্ষার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পড়া-শোনা বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শোভনছড়ির একদল স্বপ্নবাজ তরুণ স্বপ্ন দেখে বিদ্যালয় নির্মাণের, শুরু হয় নানা উদ্যোগ।

উচ্চতর শিক্ষা থেকে এ জনগোষ্ঠীর পিঁছিয়ে পরার অসহায়ত্ব নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন করে ‘দৈনিক ফটিকছড়ির খবর’। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিদ্যালয় নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এলাকার বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীরা।

বিদ্যালয় নির্মাণে তহবিলে পরা অনুদানের টাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ৯৬ শতক জায়গার বায়নাপত্র করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় ইউপি সদস‍্যগনের উপস্থিতিতে জমি বিক্রেতা গংদের সাথে বায়নানামা দলিল হয়। জমি গ্রহিতা (প্রস্তাবিত) শোভন ছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি এম. নুরুল আলম নুরু, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুল আলম , সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন মেম্বার, অর্থ সম্পাদক মিন্টু কুমার চৌধুরী মেম্বার , হামিদুর রহমান মেম্বার প্রমূখ। বায়নানামার পর সাংগঠনিক কমিটি ও স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে প্রস্তাবিত শোভনছড়ি উচ্চ বিদ‍্যালয়ের নির্ধারিত জায়গায় সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়।

বায়না নামার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূ্রণ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। জায়গা ক্রয়ে আরো বিপুল সংখ্যক অর্থের প্রয়োজন। তাই সমাজের বিত্ত্বশালী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে গঠিত সাংগঠনিক কমিটি।