ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভাঙ্গুড়ায় মোড়ক জাত করে নিম্নমানের ঘি বাজারে সয়লাব ঐতিহ্যবাহী কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত ধর্ষককে গণ ধোলাই পবিত্র মাহে রমজানে নগরজুড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ডমিনেশন পেট্রোলিং ও আইনশৃঙ্খলা তদারকি গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে হেরোইনহ মোহাম্মদ আলী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক ০২ জন। সংকট উত্তরণে পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিল চীন মাগুরার সেই শিশুর সব ছবি অপসারণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র হাইমচরে আগুনে পুড়ল দোকান অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেলো আল- কুরআন

ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ক্ষতিকর পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২০৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ধানের ক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে
এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানের জমিতে গাছের ডাল, খুঁটি,
বাঁশের কঞ্চি ও ধইঞ্চার ডাল পোতা হয়।
সেগুলোর উপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে
ফেলে। এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য অত্যন্ত কম ব্যয়বিহীন এবং
পরিবেশবান্ধব। এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে
পাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক আমন ফসলের
ক্ষেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি
ব্যবহার করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর
ঠাকুরগাঁওয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ
৯৭ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।  মহামারী করোনার মধ্যেও জেলার কৃষকরা অনেক
স্বপ্ন নিয়ে তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। বর্তমানে তাদের রোপণকৃত
ধানগাছগুলো বড় হচ্ছে। এখন সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠগুলো। আর এই ধানের
গাছ কৃষকদের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি। পার্চিং সাধারণতঃ দুই প্রকারের
হয়ে থাকে। ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিলে তা হবে
ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল জমিতে পুঁতে দিলে তা হবে লাইভ
পার্চিং। কৃষকরা তাদের আমন ফসলের ক্ষেতকে ক্ষতিকারক পোকা থেকে রক্ষার
জন্য বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, গাছের ডাল এবং জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল পুঁতে
বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করেছেন। এসব ব্যবহারে শালিক, বুলবুলি,
ফিঙ্গেসহ বিভিন্ন ধরনের পোকাখাদক পাখি ক্ষেতের পার্চিংয়ের উপরে বসে।
সেখান থেকে উড়ে উড়ে গিয়ে ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলে।
এর ফলে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছগুলো রক্ষা পাচ্ছে। এছাড়া
পরিবেশের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ধান উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
ঠাকুরগাঁও জেলার  ৫ টি উপজেলা বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, হরিপুর,
রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও সদর সহ পীরগঞ্জ উপজেলার ঘিডোব গ্রামের ধানচাষি
প্রদিব রায় জানান, এবার তাদের জমিতে ধান এখন সবুজ ও সতেজ হয়ে উঠেছে। তারা
সম্পূর্ণ ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ক্ষতিকর পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি

আপডেট টাইম : ১০:২১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ধানের ক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে
এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানের জমিতে গাছের ডাল, খুঁটি,
বাঁশের কঞ্চি ও ধইঞ্চার ডাল পোতা হয়।
সেগুলোর উপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে
ফেলে। এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য অত্যন্ত কম ব্যয়বিহীন এবং
পরিবেশবান্ধব। এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে
পাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক আমন ফসলের
ক্ষেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি
ব্যবহার করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর
ঠাকুরগাঁওয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ
৯৭ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।  মহামারী করোনার মধ্যেও জেলার কৃষকরা অনেক
স্বপ্ন নিয়ে তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। বর্তমানে তাদের রোপণকৃত
ধানগাছগুলো বড় হচ্ছে। এখন সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠগুলো। আর এই ধানের
গাছ কৃষকদের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি। পার্চিং সাধারণতঃ দুই প্রকারের
হয়ে থাকে। ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিলে তা হবে
ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল জমিতে পুঁতে দিলে তা হবে লাইভ
পার্চিং। কৃষকরা তাদের আমন ফসলের ক্ষেতকে ক্ষতিকারক পোকা থেকে রক্ষার
জন্য বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, গাছের ডাল এবং জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল পুঁতে
বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করেছেন। এসব ব্যবহারে শালিক, বুলবুলি,
ফিঙ্গেসহ বিভিন্ন ধরনের পোকাখাদক পাখি ক্ষেতের পার্চিংয়ের উপরে বসে।
সেখান থেকে উড়ে উড়ে গিয়ে ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলে।
এর ফলে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছগুলো রক্ষা পাচ্ছে। এছাড়া
পরিবেশের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ধান উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
ঠাকুরগাঁও জেলার  ৫ টি উপজেলা বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, হরিপুর,
রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও সদর সহ পীরগঞ্জ উপজেলার ঘিডোব গ্রামের ধানচাষি
প্রদিব রায় জানান, এবার তাদের জমিতে ধান এখন সবুজ ও সতেজ হয়ে উঠেছে। তারা
সম্পূর্ণ ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি করেছেন।