ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকছে আরও ৫ বছর, সংসদে বিল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:১৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উঠেছে।

বুধবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বিদ্যুৎ ও জ্বলানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল।  সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের সায় নেওয়ার জন্য বিল তোলা হল।

তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে বলে সরকার মনে করে।

তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে।  ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেন, এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনলে টাকা দেওয়া হবে, না কিনলে দেওয়া হবে না, এভাবেই চলবে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত মার্চে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এ খাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী আরও বলেন- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকছে আরও ৫ বছর, সংসদে বিল

আপডেট টাইম : ০৬:০১:১৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উঠেছে।

বুধবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বিদ্যুৎ ও জ্বলানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল।  সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের সায় নেওয়ার জন্য বিল তোলা হল।

তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে বলে সরকার মনে করে।

তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে।  ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেন, এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনলে টাকা দেওয়া হবে, না কিনলে দেওয়া হবে না, এভাবেই চলবে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত মার্চে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এ খাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রী আরও বলেন- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।