ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঠালিয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার সীমান্তের ওপারে ঝুলছে বাংলাদেশির মরদেহ; ৩ দিনের যুগলজীবনের ইতি দেড় বছরে ঠাকুরগাঁয়ে গ্রাম আদালতে ২ হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হাসিনার আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আরও এক সেশন শ্রীলংকার, চাপে পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারে অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারি ইরানের আরাক পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ইসরাইল কোস্ট গার্ডের উদ্যোগে তারুন্যের উৎসব ২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন এম.সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দুর্নীতি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার সাবেক সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সাবেক ১০ জেনারেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান-তদন্ত করছে দুদক

আমেরিকায় থেকে বাংলাদেশে স্কুলের চাকরি করছেন জেসমিন!

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩৪২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

আমেরিকায় বসে দেশে সরকারি চাকরি করছেন জেসমিন সুলতানা নামে এক প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি ব্যাংক থেকে নিয়মিত সরকারি বেতনও উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেসমিন সুলতানা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধ এসব অভিযোগের পর শুরু হয়েছে তদন্ত।

জেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল যোগদানের পর মাত্র এক বছর বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে তিনি অনুপস্থিত। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেসমিন সুলতানা সোনালী ব্যাংক ঢাকা দক্ষিণ শাখা থেকে মোট ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুমান মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আমি এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি এবং খাতাপত্র দেখেছি। প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন বিদ্যালয়ে যে অনুপস্থিত তার সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাব।
অভিযুক্ত জেসমিন সুলতানার বড় ভাই রায়হান আহমদ জানান, স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেসমিন সপরিবারে আমেরিকায় বাস করছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান যুগান্তরকে জানান, প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, হাজিরা খাতা ও স্লিপের টাকা নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে লাপাত্তা। শুনেছি সপরিবারে আমেরিকায় আছেন। তবে ২০১৭ সালে এসে ব্যাংক থেকে সরকারি বেতন উত্তোলন করার সময় কয়েক দিন বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়তী রানী চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। এছাড়াও জেসমিন বেগম আমাকে চাপ প্রয়োগ করে গ্রান্টার করে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সেই টাকাও তিনি দেননি। ব্যাংক আমাকে চাপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জেসমিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তৎকালীন শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে তিন মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন আমার জানা নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমেরিকায় থেকে বাংলাদেশে স্কুলের চাকরি করছেন জেসমিন!

আপডেট টাইম : ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

আমেরিকায় বসে দেশে সরকারি চাকরি করছেন জেসমিন সুলতানা নামে এক প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি ব্যাংক থেকে নিয়মিত সরকারি বেতনও উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেসমিন সুলতানা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধ এসব অভিযোগের পর শুরু হয়েছে তদন্ত।

জেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল যোগদানের পর মাত্র এক বছর বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে তিনি অনুপস্থিত। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেসমিন সুলতানা সোনালী ব্যাংক ঢাকা দক্ষিণ শাখা থেকে মোট ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুমান মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আমি এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি এবং খাতাপত্র দেখেছি। প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন বিদ্যালয়ে যে অনুপস্থিত তার সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাব।
অভিযুক্ত জেসমিন সুলতানার বড় ভাই রায়হান আহমদ জানান, স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেসমিন সপরিবারে আমেরিকায় বাস করছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান যুগান্তরকে জানান, প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, হাজিরা খাতা ও স্লিপের টাকা নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে লাপাত্তা। শুনেছি সপরিবারে আমেরিকায় আছেন। তবে ২০১৭ সালে এসে ব্যাংক থেকে সরকারি বেতন উত্তোলন করার সময় কয়েক দিন বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়তী রানী চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। এছাড়াও জেসমিন বেগম আমাকে চাপ প্রয়োগ করে গ্রান্টার করে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সেই টাকাও তিনি দেননি। ব্যাংক আমাকে চাপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জেসমিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তৎকালীন শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে তিন মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন আমার জানা নেই।