ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

আমেরিকায় থেকে বাংলাদেশে স্কুলের চাকরি করছেন জেসমিন!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

আমেরিকায় বসে দেশে সরকারি চাকরি করছেন জেসমিন সুলতানা নামে এক প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি ব্যাংক থেকে নিয়মিত সরকারি বেতনও উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেসমিন সুলতানা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধ এসব অভিযোগের পর শুরু হয়েছে তদন্ত।

জেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল যোগদানের পর মাত্র এক বছর বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে তিনি অনুপস্থিত। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেসমিন সুলতানা সোনালী ব্যাংক ঢাকা দক্ষিণ শাখা থেকে মোট ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুমান মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আমি এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি এবং খাতাপত্র দেখেছি। প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন বিদ্যালয়ে যে অনুপস্থিত তার সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাব।
অভিযুক্ত জেসমিন সুলতানার বড় ভাই রায়হান আহমদ জানান, স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেসমিন সপরিবারে আমেরিকায় বাস করছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান যুগান্তরকে জানান, প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, হাজিরা খাতা ও স্লিপের টাকা নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে লাপাত্তা। শুনেছি সপরিবারে আমেরিকায় আছেন। তবে ২০১৭ সালে এসে ব্যাংক থেকে সরকারি বেতন উত্তোলন করার সময় কয়েক দিন বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়তী রানী চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। এছাড়াও জেসমিন বেগম আমাকে চাপ প্রয়োগ করে গ্রান্টার করে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সেই টাকাও তিনি দেননি। ব্যাংক আমাকে চাপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জেসমিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তৎকালীন শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে তিন মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন আমার জানা নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমেরিকায় থেকে বাংলাদেশে স্কুলের চাকরি করছেন জেসমিন!

আপডেট টাইম : ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

আমেরিকায় বসে দেশে সরকারি চাকরি করছেন জেসমিন সুলতানা নামে এক প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি ব্যাংক থেকে নিয়মিত সরকারি বেতনও উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেসমিন সুলতানা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধ এসব অভিযোগের পর শুরু হয়েছে তদন্ত।

জেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল যোগদানের পর মাত্র এক বছর বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে তিনি অনুপস্থিত। ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জেসমিন সুলতানা সোনালী ব্যাংক ঢাকা দক্ষিণ শাখা থেকে মোট ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুমান মিয়া যুগান্তরকে বলেন, আমি এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের বক্তব্য শুনেছি এবং খাতাপত্র দেখেছি। প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন বিদ্যালয়ে যে অনুপস্থিত তার সত্যতা পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাব।
অভিযুক্ত জেসমিন সুলতানার বড় ভাই রায়হান আহমদ জানান, স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেসমিন সপরিবারে আমেরিকায় বাস করছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান খান যুগান্তরকে জানান, প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, হাজিরা খাতা ও স্লিপের টাকা নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে লাপাত্তা। শুনেছি সপরিবারে আমেরিকায় আছেন। তবে ২০১৭ সালে এসে ব্যাংক থেকে সরকারি বেতন উত্তোলন করার সময় কয়েক দিন বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়তী রানী চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। এছাড়াও জেসমিন বেগম আমাকে চাপ প্রয়োগ করে গ্রান্টার করে তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সেই টাকাও তিনি দেননি। ব্যাংক আমাকে চাপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, জেসমিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তৎকালীন শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে তিন মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় আছেন আমার জানা নেই।